শহীদ নায়েক মিজানুর রহমান আমাদের ক্ষমা করো না ।

লিখেছেন লিখেছেন সিকদারর ০১ জুন, ২০১৪, ১০:০৯:৫৩ রাত



১৯৭১ সালে গর্জে উঠা, এরপর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করা সেই বাংগালী জাতি আজ কোথায় ? কোথায় তাদের সেই বাঘের গর্জন যার ভয়ে পাক সেনারা ভয়ে কেঁপে উঠত।

১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাস। সদ্য গঠিত বিএনপি সরকার তখন ক্ষমতায়। হঠাৎ করেই মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী নাসাকা বাহিনী বিনা উষ্কানিতে কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্তে গুলি চালানো শুরু করে। পালটা জবাব দেয় বিডিআর। এরই মধ্যে উখিয়া বিডিয়ার ফাঁড়িতে রাতের আঁধারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দুই বিডিআর সদস্যকে হত্যা করে চোরের মত পালিয়ে যায় নাসাকা।

ঘটনার পর পরই ঢাকা থেকে রেড এলার্ট জারি করা হয়। সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধাবস্থা্র প্রস্তুতি নেয় বিডিআর। এর কয়েকদিন পরেই সীমান্ত এলাকায় বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটায় মায়ানমার। সাথে আনা সকল প্রকার ভারী যুদ্ধাস্ত্র বাংলাদেশের দিকে তাক করে ধরে ।মায়ানমার সেনা ব্যাটেলিয়ান সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে মার্চ শুরু করে ।

তখন ঢাকা থেকে সর্বাত্বক পাল্টা হামলার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই সাথে রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি থেকে আকাশে উড়াল দেয় এফ সিরিজের বাংলাদেশের যুদ্ধবিমানগুলো। আর্মি তখনো দৃশ্যপটে আসেনি। কারণ তৎকালীন বিডিআররের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, মায়ামনারকে ঠেকাতে তারাই যথেষ্ট। কক্সবাজার-টেকনাফ-উখিয়াতে মানুষের আতঙ্ক। কিন্তু নিশ্চল, দৃঢ়, অটল ভঙ্গিতে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে বিডিআররের অকুতভয় সৈনিকরা। সাথে সাধারণ মানুষ হাতের দা থেকে শুরু করে পাথর-লাঠি নিয়ে প্রস্তুত। নাফ নদীর উপর পৌঁছে গেলো বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান। সাথে সাথেই মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মার্চ থেমে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশৃঙ্খল ভাবে উলটো দিকে চলে যেতে শুরু করে তারা। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের মতেই মায়ানমার সেনাবাহিনীর সেই আতঙ্ক ছিলো দেখার মত দৃশ্য!

এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের উপর প্রথম প্রত্যক্ষ সামরিক আক্রমণ অসাধারণভাবে মোকাবেলা করে সদ্য ক্ষমতায় আসা তৎকালীন সরকার।

“১৮এপ্রিল,২০০১” বি এস এফ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার বড়াইবাড়িতে বিডিআর ক্যাম্পে আক্রমন করার জন্য রাতের আধারে ( আনুমানিক ৩.৩০ এ) বাংলাদেশে সশস্ত্র অবস্থায় ঢুকে বিডিআর ক্যাম্প খুঁজতে থাকে।

এ সময় রাত এ ধান ক্ষেতে পানি দিতে আসা যুবক মিনহাজ উদ্দিন কে জিজ্ঞাস করে বিডিআর ক্যাম্পটি কোনদিকে ?

বাংলাদেশী বীর মিনহাজ উদ্দিন ঘটনা কিছুটা আঁচ করতে পারে। সে ওদের উলটা দিকে পথ দেখিয়ে দেয় । এরপর বি এস এফ চোখের আড়াল হতেই ,মিনহাজ নিজের জীবন বাজী রেখে বিডিআর ক্যাম্পে যেয়ে ঘটনা খুলে বলে। বিডিআর ক্যাম্পে তখন মাত্র ২৫জন বিডিআর ছিলেন । অপর দিকে বি এস এফ ছিল ৩০০ এর বেশি । বিডিআর গ্রামবাসীদেরকে নিয়ে টহল দিতে থাকে।

বি এস এফ টহল রত বিডিআর সদস্য ও গ্রামবাসীদের দেখার সাথে সাথে গুলি চালায়। বিডিআর সদস্য ও গ্রামবাসী পিছু না হটে দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে রুখে দাড়ায় ।

শুরু হয় যুদ্ধ । বিডিআর সদস্য ও গ্রামবাসীদের নির্ভীক ও সাহসী প্রতিরোধে হানাদার বি এস এফ বিশাল বাহিনী নিয়ে পিছু হটতে থাকে ।

ইতিমধ্যে খবর পেয়ে রংপুর থেকে লে. কর্নেল শায়রুজ্জামান- এর নেতৃত্বে একদল বিডিআর ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

অপরদিকে বি এস এফ এ ইন্ডিয়ান আর্মির কমান্ডোরাও এসে যোগ দেয়।

প্রায় ৩ দিন(১৮-২০) বি এস এফ মরিয়া যুদ্ধ করলেও,শেষ পর্যন্ত হার মানে। নিজেদের দেশ ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে ভারতীয় অনেক কমান্ডো সহ ৪০০ এর বেশি বি এস এফ মারা যায়। তারা বেশির ভাগ লাশ নিয়ে গেলেও বিভিন্ন জায়গায় তাদের ১৬ টি লাশ ওরা নিতে ব্যার্থ হয় । পাশাপাশি ২ জন বি এস এফ আত্নসমর্পণ করে

অপরদিকে বাংলাদেশি ৩ জন বীর (ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদ মিয়া,সিপাহি মাহফুজুর রহমান,সিপাহী আব্দুল কাদের শহিদ হন। ৬ জন গুরুতর আহত হয়।

রৌমারী সীমান্তে হানাদার ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফকে উচিত শিক্ষা দেওয়া সেই বিডিআর কোথায় ? তাদের কন্ঠে একি শুনছি বিড়ালের মিউ মিউ আওয়াজ।

গত ২৮ মে ২০১৪ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাতৃভূমির ভূখন্ড রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিজিবি ও বিজিপির সদস্যরা নিয়মিত টহলে বের হয়েছিলেন। টহলের এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা ৫২ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে যায়। এই সময় মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা বাংলাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি সদস্যদের ওপর বিনা উস্কানিতে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে । নায়েক মিজানের হাতে ১২০ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ভারি মেশিনগান ছিল, দলে ভারি বিজিপির দল গুলি করতে এগিয়ে এলে, অকুতভয় মিজান ওদের গুলির পাল্টা জবাব দিতে দিতে মেসিনগানের একটানা গুলিবর্ষন করে নিজ দলের সহযোগী ৩ জনকে প্রান বাঁচানোর সুযোগ করে দেন।

এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিজিবি সদস্য নায়েক মিজান। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ৫২ নম্বর সীমান্ত পিলারের এলাকার মাটি শহীদ নায়েক মিজানের পবিত্র রক্তে ভিজে ছিল । ছড়িয়ে থাকা রক্তই বলে দেয় মিজান আর বেঁচে নেই। গুলি লাগার পর তার নিথর দেহটি বাংলাদেশের সীমান্তের ভিতরে মাটিতে পড়েছিল। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা পরে বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে বিজিপি সদস্য নায়েক মিজানুরের লাশটি নিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায়। বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমান নিখোঁজ হওয়ার পরে বিজিবি লাশ ফেরত চাইলেও মিয়ানমারের বিজিপি তখন কোনো সাড়া দেয়নি।

তিনদিন পর শনিবার বিকেলে বিজিপি নায়েক মিজানুর রহমানের লাশ বিজিবি’র হাতে হস্তান্তর করে। মায়ানমারের সীমান্ত এলাকা থেকে লাশটি এনে শনিবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়িতে পাইনছড়ি ক্যাম্পে রাখা হয়।



রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নৌকায় করে সেখানে আনা হয় মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের হাতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ। নিহত মিজানুরের পরনে তখনও বিজিবির পোশাক, পায়ে জুতা। লাশ ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ এড়াতে লাশের শরীরে বারবার ঢালা হচ্ছে কেরোসিন।"

পঁচে, ফুলে ভারী হয়ে যাওয়া লাশটি পাড়ে তুলতে পারছিলেন না বিজিবি সদস্যরা। বাধ্য হয়ে তারা উপস্থিত সাধারণ লোকের সহযোগিতা চান। কিন্তু দুর্গন্ধের কারণে কেউই লাশটি তুলতে চাচ্ছিলেন না।

এসময় এক বিজিবি অফিসার লোকজনের উদ্দেশ্যে কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা দেশ পাহারা দিই, আমাদের লাশ কাঁধে নিতে আপনাদের এত সমস্যা!’ অপর এক বিজিবি সদস্য লাশ তোলার জন্য সবার কাছে গিয়ে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, একদিন সবাইকে মরতে হবে। এই জওয়ান দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের সহযোগিতা করুন।



পিতার কাঁধে সন্তানের লাশের মত নায়েক মিজানুর রহমানের লাশও , তার সহকর্মীদের কাঁধে ভিষন ভারি অনুভূত হয়। এসময় দুছড়ি খালপাড়ের পরিবেশ বেদনায় ভারী হয়ে উঠে।

নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের বাবাও একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ।



ল্যান্স কর্পোরাল আবদুল হাফিজ মোল্লা। সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর দেশ রক্ষায় ১৯৭১ সালের রণাঙ্গণে রাজশাহীতে শহীদ হয়েছিলেন । শহীদ হাফিজ মোল্লার লাশ দেখেনি তার পরিবার। সে সময়ে মিজানুর রহমানের মা রাবিয়া খাতুন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । জন্মের পর বাবা হাফিজ উদ্দিন ছিলেন মিজানুর রহমানের কাছে তার মায়ের কাছে শোনা বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্ব গাঁথা এক মহান ইতিহাসের নায়ক।

বিজিবির নায়েক সুবেদার (অবHappy আবুল কাশেম মোল্লা পিতৃস্নেহে বড় করার পর বিশেষ বিবেচনার কোটায় ১৯৮৮ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মিজানুর রহমান তত্কালীন বাংলাদেশ রাইফেলসে (বিডিআর) যোগদান করেন। পরে নায়েক সুবেদার পদোন্নতি লাভ করেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি লালমনিরহাট থেকে বদলি হয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে যোগদান করেন।

৪ দিন ধরে একজন জওয়ান গায়েব- আর আমাদের

কথিত ডিজি মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ সাব এসি রুমে বসে সাহিত্যিক বর্ণনা যেন- রক্তের দাগ চলে গেছে মায়ানমার সীমান্তে...


হে বীর! আমাদের ক্ষমা করো না ।কারন আমাদের রাষ্ট্র তোমার মৃতদেহে আতর-লোবান দিতে পারেনি দিয়েছে কেরোসিন! একটি হেলিকপ্টার জোগার করতে পারেনি- এনেছে বিকল্প বাঁশের খাটিয়ায়...



বিষয়: বিবিধ

২৪৮৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

229242
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আমরা সবসময়ই অকৃতজ্ঞ ।
ক্ষমা করো আমাদের।
তথ্যবহুল পোষ্টটি স্টিকি করার আবেদন জানাচ্ছি মডারেশন টিমের প্রতি।
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৯
175943
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ভাইয়া পোষ্টে যে ৪০০ বি এস এফ মারা গেছে এবং অন্যান্য তথ্যগুলোর লিংক দিলে পোষ্টটি স্টিকি হবে আশা করছি।
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩০
175951
সিকদারর লিখেছেন : এই যুদ্ধে ভারতীয় অনেক কমান্ডো সহ ৪০০ এর বেশি বি এস এফ মারা যায়।
https://www.facebook.com/rowmari44/posts/267155816766911
229243
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৭
নোমান২৯ লিখেছেন :






হে বীর! আমাদের ক্ষমা করো না ।কারন আমাদের রাষ্ট্র তোমার মৃতদেহে আতর-লোবান দিতে পারেনি দিয়েছে কেরোসিন! একটি হেলিকপ্টার জোগার করতে পারেনি- এনেছে বিকল্প বাঁশের খাটিয়ায়...
০২ জুন ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
176115
সিকদারর লিখেছেন : এদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বিদেশে বাংলাদেশের মাথাকে হেয় করছে। হারিজিতি ফলাফল পরে আগেত প্রতিরোধ করতে হবে। পাহাড়ে উপজাতির হাতে , সীমান্তে ভারতীয়দের কাছে মায়ানমারদের কাছে আমরা প্রতিনিয়ত মার খেয়েই চলছি।
229248
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৯
হতভাগা লিখেছেন : এটাও সরিয়ে ফেলা হবে নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:২২
175945
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এ পোষ্ট সড়ালে মডারেশন কে জবাব দেয়া হবে।
তবে বি এস এফ এর ৪০০ জন বাদে আর কোন সমস্যাতো নাই।
০২ জুন ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
176117
সিকদারর লিখেছেন : সরিয়ে ফেললেও সমস্যা নাই । দেশকে ভালবাসি দেশের অপমানকে নিজের আপমান মনে করি ।
০২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
176119
সিকদারর লিখেছেন : আওন রাহবার তৎকালীন বিডিআর যদি ৪০০০ হাজারও মারত তাও আমি বিশ্বাস করি ও করতাম কারন আমাদের বুকের ভিতর এতটাই দেশ প্রেম আছে ইন্ডিয়ার কুজাতরা আমাদের সাথে এখানেই হেরে যাবে। ৭১এ আমরা গাদা বন্দুক দিয়েই পাক হানাদারদের সাথে নয়মাস যুদ্ধ করেছি। এরপরও কি আপনার সন্দেহ হয়। আমি যে লিংক থেকে তথ্য দিয়েছি তা রৌমারীর স্থানিয়দের বরাতে । কারন মূল ঘটনার চাক্ষুষ ওরাই করেছে ।
229254
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:২২
নোমান২৯ লিখেছেন :






সত্যি বলতে কি শেষ লাইনগুলো পড়ার সময় চোখে পানি চলে আসল ।
কিন্তু হে শহীদ নায়েক মিজানুর রহমান ভাইয়া আমাদের ক্ষমা করো না । কারণ আমরা তোমার জন্যে কিছুই করতে পারিনি । কিন্তু পারি ২৬'শে মার্চ তরুণ প্রজন্মকে টিজ করার অবাধ সুযোগ করে দিতে ..................।
০২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
176120
সিকদারর লিখেছেন : আমরা এমন দূর্ভাগা জাতি আমরা কখনও আমাদের আসল দেশ প্রেমীদের মূল্যায়ন করি না । তাই মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হয় পাকিস্থানের চর।
229257
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ১৯৯১ সালের ঘটনার পরদিনই আমি আমার এক ফুফা যিনি কৃষি ব্যাংক এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন তার সাথে আমাদের পরিবার সহ টেকনাফ যাই। আমি তখন সদ্য হাইস্কুলে উঠা বালক। টেকনাফ ঢুকার আগে বিডিআর চেক পোষ্টে ঘটনা জানতে পারি। সেদিন টেকনাফের বিখ্যাত বাজারটি বন্ধ ছিল। অনেক মানুষ কে বিভিন্ন জায়গায় জটলা করতে দেখি। আমরা দুপুরের খাওয়ার পরই চলে আসি। আসার পথেই দেখা হয় তৎকালিন ২৪ ডিভিশনের অধিনায়ক এর সাথে যিনি আমার আব্বার সহপাঠি ছিলেন। আসার পথে আরো দেখি সুসজ্জিত সামরিক দল যাচ্ছে। পরদিন চট্টগ্রাম আসার সময় কামান সহ প্রচুর সেনাদল এবং বিডিআর কে যেতে দেখি।
তখন মানুষের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখেছিলাম এখন তার কিছুই দেখছিনা। যেন আমাদের হৃদয় মরে গিয়েছে।
০২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
176121
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আপনি বড়ই সৌভাগ্যবান । কারন আপনি এই দেশের গৌরবময় ইতিহাসের একজন সাক্ষি হতে পেরেছেন ।Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
229258
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩২
০২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
176122
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। Praying Praying Praying Praying Praying
229265
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪৭
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আফসোস! আফসোস!! আফসোস!!! এই শহীদ বীরের রক্তের সাথে গাদ্দারী করে বর্তমানে অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদে জগদ্ধল পাথরের ন্যায় চেপে বসা ভিনদেশী গোলামের বাচ্চাগুলো আমাদের সাথে নতুন মস্করার কাহানী শুনাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা তথাকথিত "গোপন সূত্রের বরাত" দিয়ে মিথ্যা প্রচারনায় নিয়োজিত রয়েছে নিজেদের ব্যার্থতাকে ডাকার জন্য। বাংলাদেশীয় বিজিবির গুলিতে নাকি দু'জন বার্মিজ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে আরো চারজন নাকি গরুতর আহত হয়েছে। অথচ এসব ফাউ খবরটি মায়ানমার কর্তৃপক্ষও স্বীকার করে এযাবত কোন বক্তব্য দেয়নি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জাতির অতিতের ঐতিহ্যবাহী কিছু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করণের জন্য।
০১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৫৯
175965
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : যে জনগন একজন বীরের লাশকে নিতে অনীহাভোদ করে তাদের ভালো শাষক আর কিভাবে আশা করা যায়?
০২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১০
176127
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। দেশের প্রতি ভালবাসাই আমাকে এই পোষ্ট দিতে উদ্বুদ করেছে। এই ঘটনায় আমাদের বাংলা ব্লগগুলিতে আরও অনেক বেশি পোষ্ট আসা উচিৎ ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের প্রতি ভালবাসা সেই আগের মত নাই।
229271
০১ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৮
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : দেখুন- প্রতিবেসির বিরুদ্ধে ফৌজি/জেহাদী উন্মাদনা কখনো হতদরিদ্র বাংলাদেশের জন্য কল্যান বয়ে আনবে না। বরংচ সুপ্রতিবেসি সুলভ আচরন, বলিষ্ঠ পররাষ্টনীতি, শক্তিশালি অর্থনীতি এবং সুশিক্ষিত জাতিই কেবল পরস্পর প্রতিবেশিদের মোকাবেলা করার একমাত্র হাতিয়ার।

নিজেদের মাঝে বিভাজন, রাজনৈতিক ধান্ধা, সস্তা আবেগ আর শহীদ হওয়ার বাসনা কাল্পনিক বাসনা প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের কপালে ইরাক, আফগানিস্তান ছাড়া ভাল কিছু জুটবে না।

সবার আগে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ চাই। তারপর প্রতিবেসির সাথে পাল্লা। ধন্যবাদ।
০২ জুন ২০১৪ রাত ১২:১৫
176011
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,অপ্রিয় সত্য কথা,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া, 
মারিয়া 
পরীবানু 
মরুর মুসাফির 
পরীবানু ,সততার আলো 
অশ্বথমা 
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
পরমা ,নীলমণীলতা 
বিলকিস লায়লা 
দস্তার 
রুপবান 
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
লেয়লা ইসলাম 
বিলকিস 
বাংলা ৭১ 
ভিক্টোরিয়া 
হেলেনা 
পল্লব প্রভাতে 
খালেদ 
রুশো তামজিদ 
বারাংগনা 
মধুবালা 
সখি 
ফয়সাল১ 
মাঝি-মাল্লা, , 
লায়লার 
লায়লা০০৭ 
রাতুল দাস 
চকো চকো 
সায়েদ-রিয়াদ 
বিভ্রান্ত নাবিক 
ফাজিল 
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
মুক্তিযুদ্ধ ৭২ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
পিচ্চি পোলা 
কাওসাইন হক 
চাষা 
jahed_ullah 
নীরু 
সাদা মন 
সাদা মন 
চোথাবাজ 
আমি বিপ্লবী 
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা 
এই নেরিকুত্তার এত নিক
খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,অপ্রিয় সত্য কথা,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া, 
মারিয়া 
পরীবানু 
মরুর মুসাফির 
পরীবানু ,সততার আলো 
অশ্বথমা 
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
পরমা ,নীলমণীলতা 
বিলকিস লায়লা 
দস্তার 
রুপবান 
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
লেয়লা ইসলাম 
বিলকিস 
বাংলা ৭১ 
ভিক্টোরিয়া 
হেলেনা 
পল্লব প্রভাতে 
খালেদ 
রুশো তামজিদ 
বারাংগনা 
মধুবালা 
সখি 
ফয়সাল১ 
মাঝি-মাল্লা, , 
লায়লার 
লায়লা০০৭ 
রাতুল দাস 
চকো চকো 
সায়েদ-রিয়াদ 
বিভ্রান্ত নাবিক 
ফাজিল 
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক 
মুক্তিযুদ্ধ ৭২ 
দ্রাবীড় বাঙাল 
পিচ্চি পোলা 
কাওসাইন হক 
চাষা 
jahed_ullah 
নীরু 
সাদা মন 
সাদা মন 
চোথাবাজ 
আমি বিপ্লবী 
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা 
এই নেরিকুত্তার এত নিক
০২ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:১৫
176051
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : দেশ বিরোধী নির্লজ্জ বেহায়া কোথাকার আপনার লজ্জা থাকলে সরম মান সম্মান এর মাথা খেয়ে বারবার নতুন নিক নিয়ে আসতেননা।
০২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১১
176130
সিকদারর লিখেছেন : আপনি একজন পেইড নারী ব্লগার এটা জানতাম কিন্তু আপনি যে হিজড়া এটা জানতাম না ।
০২ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৫
176416
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : প্লীজ ভাইয়া এই নির্লজ্জটাকে হিজরা বলে হিজরাদের অপমান করবেননা।
কারন হিজরাদেরকে আমি দেখেছি মাটির কাজ করে উপার্জন করতে।
কেউ এদেরকে কাজ দেয়না কোন প্রতিষ্ঠান কাজে নেয়না অনেকটা বাধ্য হয়ে টাকা উঠায়। আপনি যদি হিজরাকে দুটাকার যায়গায় চারটাকা দেন তবে আপনার শুকরিয়া করবে সবসময়।
এদের মধ্যে মায়া দয়া আছে।
এদের অনেকের আত্মসম্মানবোধ আছে,
এরা আপনার ধর্ম বিশ্বাষে কখনও আঘাত হানবেনা।
এই বেয়াদব বেহায়া আত্মসম্মানবোধহীনটা একটা শুকরের থেকে অধিক নিকৃষ্ট।
229314
০২ জুন ২০১৪ রাত ০১:৩৮
আবদুল্লাহ বাংলাদেশী লিখেছেন : যদি একটা রাইফেল পেতাম আর বার্মার সীমান্তে যেতে পারতাম, লাশ না হওয়ার আগ পর্যন্ত ফিরতাম না(যদি বার্মিজ বাহিনী লাশ ফেরত দেয়)। ভাই মিজানুর রহমান, আপনি চিরদিন আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। জাতি আপনার জন্য দোয়া করবেই কারণ আপনি আমাদের ভাই।
০২ জুন ২০১৪ রাত ০২:৫০
176029
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : **** আটি বাঁধবেন?
০২ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
176133
সিকদারর লিখেছেন : একেই বলে দেশপ্রেম। পারি না পারি তারপরওত দেশকে নিয়ে ভাবি। কারন এই দেশ আমাদের পূর্বসূরীদের রক্তে কেনা ।
১০
229754
০২ জুন ২০১৪ রাত ০৯:২৪
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : প্লীজ ভাইয়া এই নির্লজ্জটাকে হিজরা বলে হিজরাদের অপমান করবেননা।
কারন হিজরাদেরকে আমি দেখেছি মাটির কাজ করে উপার্জন করতে।
কেউ এদেরকে কাজ দেয়না কোন প্রতিষ্ঠান কাজে নেয়না অনেকটা বাধ্য হয়ে টাকা উঠায়। আপনি যদি হিজরাকে দুটাকার যায়গায় চারটাকা দেন তবে আপনার শুকরিয়া করবে সবসময়।
এদের মধ্যে মায়া দয়া আছে।
এদের অনেকের আত্মসম্মানবোধ আছে,
এরা আপনার ধর্ম বিশ্বাষে কখনও আঘাত হানবেনা।
এই বেয়াদব বেহায়া আত্মসম্মানবোধহীনটা একটা শুকরের থেকে অধিক নিকৃষ্ট।
০২ জুন ২০১৪ রাত ১০:১০
176438
সিকদারর লিখেছেন : এই বেয়াদব বেহায়া আত্মসম্মানবোধহীনটা একটা শুকরের থেকে অধিক নিকৃষ্ট।
সহমত ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File