শৈশবের সাথী ।( দুই )

লিখেছেন লিখেছেন সিকদারর ০১ মে, ২০১৪, ০৮:১০:০৯ রাত



শৈশবের সাথী । (এক )

আমরা দুজনে তাড়াতাড়ি বাড়ির দিকে রওয়ানা হলাম। করবস্থানের বড় বড় গাছ গুলো তখন ঝড়ো বাতাসের সাথে মোচড়ানো শুরু করে দিয়েছে । মানিক ভাই বলল " তাড়াতাড়ি কবরস্থানটা পাড় হ । নাইলে মাথার উপর ডাইল ভাইংগা পড়তে পারে । "

আমি এই কথা শুনে আরও জোরে দৌড়াতে লাগলাম। মানিক ভাই আমার জন্য আস্তা আস্তে দৌড়াছ্ছে । এখানে চাইলেও জোরে দৌড়ানো যায় না , কারন বড় বড় গাছের জন্য রাস্তাটা আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে । ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ইয়া মোটা মোটা এক একটা ফোটা । গায়ে লাগলে চামড়া জ্বলে উঠে ।

মানিক ভাই আবার বলল " চৈতি জোরে আরও জোরে দৌড়া । এখন ঠাডা পড়া শুরু অইব । তখন এই সব গাছের নিচে থাকলে বিপদ। গাছের উপর ঠাডা বেশি পড়ে । ঠাডা পড়ার সময় গাছের নিচের থিকা খোলা জায়গায় থাকনডা বেশি নিরাপদ।

এর মধ্যেই আমরা কবরস্থান পাড় হয়ে গেলাম । বিকট আঁওয়াজে বজ্রপাত হছ্ছে । মনে হছ্ছে কান ফেটে যাবে । ভয়ে আমি দুই চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে গেলাম । মানিক ভাই আমাকে দাড়িয়ে পড়তে দেখে এগিয়ে এল " আমাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে বলল " কিরে ডর লাগে ? ক্যান আমি আছি না । এই ঠাডা তোর গায়ে পড়ার আগেই আমি নিজের বুক পাইত্যা ঠেকামু । "

আমি চোখ খুলে মানিক ভাইয়ের দিকে তাকালাম । মাথার চুলগুলো ভিজে মুখের উপর লেপ্টে আছে। গভীর কালো দুই চোখে কিশোরের দুরন্ত ভয়হীন কোমল দৃষ্টি । দেখেই বুঝতে পারলাম সেখানে আমার অবস্থানটা কোথায় ? আমার কিশোরী দেহ কিসের এক অজানা শিহরনে কেঁপে উঠল। বুজতে পারলাম না তাকি বৃষ্টির হিমেল স্পর্শে না অন্য কিছু। মনে হল সত্যি তাই করবে। এর উপর ভরসা করা যায়। হঠাৎ করে আমার ডর-ভয় সব কোথায় চলে গেল।

" মানিক ভাই আমি আর দৌড়ামু না হাইট্টা যামু । তুমি লগে থাকলে আমার একটুও ডর লাগব না । আমার হাতটা ধর। "

মানিক ভাই আমার কথা শুনে আমার দিকে তাকাল

তারপর মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল " ঠিক আছে চল। "

আমরা দুইজন কিশোর- কিশোরী হাত ধরাধরি করে, জমির আল বেয়ে হাটছি । চারদিকে ধূ ধূ জমিন, তার মাঝে ঝড়ো বাতাসের সাথে ঘন বৃষ্টি আমাদের অবগাহন করছে । বৃষ্টির ঘনত্বে চারদিকটা হয়ে গেছে ধোয়াশা । মাঝে মাঝে বিকট শব্দে আছড়ে পড়া বজ্রপাত, মাটির বুকে মাথা ঠুকে নিষ্ফল আতংক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি এখন আর কিছুকেই ভয় পাইনা ।

সেদিন বাসায় ফেরার পর আমার গায়ে প্রচন্ড জ্বর এল । পরবর্তিতে সেই জ্বর নিউমোনিয়ায় রুপ নিল; , আমাকে প্রথমে গ্রামের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হল। সেখানকার ডাক্তাররা অপারগতা প্রকাশ করায়, ঢাকা বিভাগীয় হাসপাতালে নেওয়া হল। ওখানে প্রায় পনের হতে বিশদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হলাম । সুস্থ হলেও শরীর খুব দুর্বল ছিল তাই আর গ্রামে যাওয়া হল না । বাবা ঢাকায় সরকারী চাকরী করতেন তাই মেসে থাকতেন । আমি অসুস্থ হয়ে ঢাকা আসার পর বাবা সরকারী কলোনীতে বাসা পেলেন । মা ও আমার ছোট ভাইসহ সবাই গ্রামের তল্পি তল্পা গুটিয়ে ঢাকার স্থায়ি ভাবে বসবাস করতে লাগলাম। আমদের দুই ভাই-বোনকে এখানে একটা স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হল।

আমি গ্রামের মেয়ে । দড়ি ছাড়া গরুর মত সারাদিন বান্ধবীদের সাথে টৈ টৈ করে পাড়াময় ঘুরে বেড়াতাম । শহরে আসার পর কয়েকদিন নতুনত্বের কারনে ভাল লাগলেও , পরবর্তিতে এই ছোট্ট গন্ডির ভেতর হাপিয়ে উঠলাম । মাস খানেক পরই শুরু করলাম ঘ্যানঘ্যানানি ।

" এইহানে থাকুমা চলেন আমরা আমাগো বাড়িতে যামুগা । আমার এই হানে ভাল লাগে না । একটু বেড়ান যায়না । কেউর লগে কথা কওন যায়না । সবাই যার যার ঘরে বইয়া থাকে । আমার ভাল লাগে না । "

আমার এই ঘ্যাননানিতে মা -বাবা দুজনেই স্বান্তনা দিতেন ।

" আর কয়ডা দিন থাক দেখবি তখন খুব ভাল্লাগবো । "

তারপরও আমি কান্না করতাম।

আমার মন সারাক্ষন পড়ে থাকত সেই সবুজ ছায়া ঘেরা পাখির কলতানে সরব গ্রামে ।

দখিনা বায়ুর ছুয়ে যাওয়া অনাবীল সবুজ -সোনালী ধান ক্ষেতের বুকে।

কলকল - ছলছল করে এঁকে বেঁকে যাওয়া ছোট্ট খালের বুকে ভাসা কোসা নায়ে।

পুকুরের বুকে দাপাদাপি করে, গোসল করা ভেজা কাপড়ে সোনালী রোদের ছোয়া সেই দুপুরে ।

গাছের ডালে ঝুলে শামুক ভাংগা দিয়ে আমের চামড়া ছিলে খাওয়া সেই ছুটির দিনে ।

বাঁদল দিনের ঘন বরষে ভিজে কাদায় লুটোপুটি করা সেই দুষ্টুমিতে ।

মেঠো পথে দুই পাশের জংলা গাছের আশেপাশে উড়া জোনাকি পোকা দুই হাতের মুঠায় ধরে বাড়ি ফেরা সেই রাতে ।

শীতের কুয়াশায় কাঁপতে কাঁপতে খেজুর রস খাওয়া সেই ভোরে ।

মন পড়ে থাকত মানিক ভাইয়ের ডানপিটে কাহিনী শোনা সেই রুপকথাতে ।

মন চাইত ছুটে যাই এই দালানের কারাগার ভেংগে ছোট্ট আমার সবুজ গাঁয়ে । যেখানে আছে আমার সহপাঠি বান্ধবীরা । আছে খালা-ফুপু দাদী-নানীরা আরও আমার রোমান্চে ভরা সেই প্রিয় দিন গুলির সাথী মানিক ভাই । যেখানে ফেলে এসেছি আমার রাংগানো শৈশব ।

আছ্ছা মানিক ভাই এখন কি করছে ? নিশ্চয় আমার কথা ভেবে আমার মতই কাঁদছে । আমাদের বাড়ির উঠানে বারবার এসে দেখছে আমরা এসেছি কিনা ।এই সব ভাবনায় কেটে যেত আমার সারাদিন । স্কুলেও সারাদিন উদাস হয়ে থাকতাম । তবে পড়ালেখা ঠিক ছিল।

এভাবে আস্তে আস্তে বছর শেষ হয়ে গেল। স্কুলের সমাপনী পরিক্ষা শেষ হলে আমরা স্বপরিবারে গ্রামের বাড়িতে এলাম ।আমরা বাড়িতে আসা মাত্র আমাদের আত্মিয় স্বজনরা এল । আমার বান্ধবীরা সবাই আমাকে দেখে বলল " কিরে শহরে যেয়ে তুই অনেক সুন্দরী আর ডাংগর অইয়া গ্যাছস । "

আমি ওদের কথা শুনে লজ্জিত হয়ে যাই ।

সবাই এল মানিক ভাই এল না । দুই চোখে শুধু তাকেই খুজি । বাইরে কারও আওয়াজ শুনলেই মনে হত এই বুঝি মানিক ভাই এল । কিন্ত দুই দিন পার হওয়ার পরও মানিক ভাই এল না । দুই দিনের দিন মানিক ভাইয়ের মা এলেন । সইকে দেখে আমার মা কি খুশি ! দুজন দুজনকে বুকে জড়িয়ে কত অভিযোগ করে ফেললেন ।

" কিরে সই আইজ দুইদিন অইল আমি আইছি, তোর এত দিনে আমার লগে দেখা করতে আহনের সময় অইল ?

" কি করুম ক , একা মানুষ তার উপর বাবা অসুস্থ । আজকা বাবা একটু সুস্থ অইছে । তয় মানিকেরে ঘরে থুইয়া তরে দেখতে আইছি ।''

আমি সামনে এসে খালাকে সালাম দিলাম । খালা আমাকে দেখেই বুকে টেনে নিলেন " কিরে তুইতো আরও ডাংগর অইয়া গ্যাছস, সুন্দরও অইছস । সই কয়দিন পরত তর মাইয়ার লিগা রাজপূত্র আনন লাগবরে । "

এই কথা শুনে আমি জোর করে খালার হাত থেকে ছুটে বের হয়ে গেলাম । যেতে যেতে শুনলাম মা বলছে " তোর রাজপুত্রটাকে দিয়া দে না ।"

আমি দৌড়ে আমার বাড়ির সামনের রাস্তায় আসতেই দেখি আমার কয়েকজন বান্ধবী আমার বাড়ির দিকে আসছে ।

চলবে......।

বিষয়: বিবিধ

১৯৭২ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

216164
০১ মে ২০১৪ রাত ০৮:১৪
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ওরের বাপ্রে...... এত্তদিন পরে ২য় পর্ব? Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming Time Out Time Out Time Out Time Out
০১ মে ২০১৪ রাত ০৮:২৭
164344
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন, এত্ত অপেক্ষা সহ্য হয়না Crying Crying Crying
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১২
164746
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
মনের ভেতর থেকে তাগিদ না এলে লেখাটা ঠিক মত আসে না তাই এত দেরী । এই জন্য দুঃখিত।
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
164767
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ওয়া.....সালাম। আচ্ছা বলেন তো দেখি মনের ভেতর থেকে তাগিদ আসার জন্য কি করতে হবে?Crying Crying
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
164774
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আপনার নাম সুর্যের পাশে হারিকেন না হয়ে ব্লগ বাগানের মৌমাছি Bee Bee Bee নাম হওয়া উচিৎ ছিল। তাই না ?
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
164785
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ওটা আমার বউ এর নিক বানামোনি?Tongue
216169
০১ মে ২০১৪ রাত ০৮:১৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ভাইয়া অনেক মজার ছিল শৈশব,সে দিন আর ফিরে আসবে না ভাইয়া কিন্তু লিখা যাবে। ভালো লাগলো চালিয়ে যান সাথে আছি। Good Luck Rose
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
164749
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। সাথে আছেন জেনে ভাল লাগছে। কারন আমার লেখার মান তেমন একটা ভাল নয় তাই পাঠক কম। তবুও না লিখে পারি না । ধন্যবাদ।
216195
০১ মে ২০১৪ রাত ০৯:২৭
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৪
164750
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আপনাকেও ধন্যবাদ ।
216236
০১ মে ২০১৪ রাত ১০:২০
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : প্রথম পর্বটা পড়া হয়নি। ২য়টা পড়ে খুবই আগ্রহ জন্মেছে ১মটা পড়ার। দারুন লেখেন তো আপনি। Day Dreaming Day Dreaming
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৪
164751
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। উৎসাহ দেওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহ খায়ের।
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
164769
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এই বুড়ো বয়সেও এত্ত রোমান্টিক ভাব দেখানো ঠিক নয় সুম্মু.......Tongue Tongue
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
164775
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। চুল পাকিলে লোকে হয় না বুড়ো.....।
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
164784
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি কিন্তু চুল দেখি নাই Love Struck Love Struck
216299
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:১৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : গল্পের নায়ক/নায়িকার গ্রাম কি গাজীপুরে বা তার আশেপাশে? কিছু শব্দ বেশ পরিচিত মনে হল। ভাল লাগলো পর্বটা Good Luck Rose
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৫
164753
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। হ্যাঁ আপনার ধারনার কাছাকাছি ।
216532
০২ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : মজার কাহিনী শুরু করেছেন। ধন্যবাদ চালিয়ে যান। সাথেই আছি।
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
164756
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আপনারা সাথে থাকলে সাহস পাই। যদিও আপনি এই জাতীয় লেখার পাঠক না । আপনি সাহিত্যর চেয়ে দেশ ও সমাজের ব্যাপারে অগ্রগামী ।
216575
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : একটু তাড়াতাড়ি তৃতীয় পর্ব দেন। চমৎকার হচ্ছে.......
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
164771
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমারও একউ কথা গুরুজ্বী।Rolling Eyes Rolling Eyes
০২ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩০
164777
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। চেষ্টা করছি । দোয়া করবেন। আপনার নতুন কোন ধারাবাহিক পাছ্ছি না যে ?
216740
০৩ মে ২০১৪ রাত ০৪:৪৪
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এই বয়সেই! Worried
০৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
166591
সিকদারর লিখেছেন : কিশোরী ভালবাসা এটাকে এখনও ঠিক প্রেম বলা যায় না । তবে ভালবাসার অংকুর বলা যায়। এই প্রেম ছোট বড় সবার হৃদয়ে লুকায়িত থাকে তাই ছোটকালে প্রায় ছেলে মেয়ে বালু হাড়ি পাতিল দিয়ে জামাই-বউ সেজে সংসার পাতানো খেলা করে। এটাকে নির্দোষ প্রেম বলে সাহিত্যর ভাষায় বলে প্লুটোনিক প্রেম।
218594
০৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : প্রতিটি পর্বেই আমি শুধু মুগ্ধ পাঠক!
০৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
166592
সিকদারর লিখেছেন : আমার কাছে তার চেয়েও বেশি ।
১০
218643
০৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৪
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : মাশাআল্লাহ্‌! আসাধারণ হচ্ছে।।
০৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
166593
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। দোয়া করবেন লেখায় আরও যেন পরিপক্ক হতে পারি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File