মাতৃ স্নেহের অলৌকিকতা !!
লিখেছেন লিখেছেন সিকদারর ২১ জুন, ২০১৩, ০৪:১৯:৪৯ বিকাল
তাইওয়ানের ডাক্তারদের কাছে অন্যতম এক বিস্ময়ের নাম শিশু "লুই পিউং"!!
বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার সময় তার দুটো কিডনি কোনো কারণে কাজ করছিলো না। এতো ছোট বাচ্চা, তাই ডাক্তাররা কোনো রকম জটিল অপারেশনের ঝুঁকি নেননি। কৃত্রিম লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে রাখেন । এভাবে প্রায় ১০দিন রাখার পর ডাক্তাররা এক রাতে ঘোষণা দেন এভাবে তাকে আর রাখা সম্ভব না। এরপর তারা বাচ্চার বাবা মাকেও জানিয়ে দেন তাদের অপারগতার ব্যাপারটা । ডাক্তারদের সিদ্ধান্ত জানতে পেরে বাচ্চার মা কাঁদতে থাকেন । কাদঁতে কাঁদতে এক পর্যায়ে মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর দিন সকাল ৭টায় লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হবে।
খুলে নেওয়ার দিন ভোর ৫টার দিকে বাচ্চাটির মা হাসপাতালে গেলেন তার বাচ্চাকে শেষবারের মতো দেখতে চান। কেননা জন্মের পর থেকে বাচ্চাটিকে তার অসুস্থার কারনে একবারও মায়ের কাছে রাখা হয় নি। এমন কি মায়ের বুকের দুধও একবার খেতে দেয়া হয় নি । স্নেহময়ী মা দুই চোখের জলে আপ্লুত হয়ে কম্পিত হাতে তার কলিজার টুকরাটিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন । মায়ের ছোঁয়া পেয়ে বাচ্চাটিও মায়ের বুকের ভিতর প্রথমবারের মত কেঁদে উঠে। তখন মা নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না। পরম মমতায় আদরের সোনামণিকে পরম মমতায় তার বুকের দুধ খেতে দেন। তারপর কাঁদতে কাঁদতে বাচ্চাটিকে রেখে এক সময় হাসপাতাল থেকে বিদায় নেন।
পরদিন সকালে ডাক্তার এসে দেখে এক আশ্চর্য ঘটনা। বাচ্চাটির লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার আগে শেষবারের মতো তাকে একটা পূর্ণাংগ মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়। এবার দেখা যায় বাচ্চার কিডনি আস্তে আস্তে সচল হছ্ছে। ডাক্তার তখন অবাক হয়ে নার্সকে জিগ্গাসা করলে জানতে পারেন সকালে বাচ্চাটির মা তার বুকের দুধ খাইয়েছেন ।
এরপর থেকে পুরো এক সপ্তাহ বাচ্চাটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।। এসময় তাকে মায়ের দুধ ছাড়া আর কোনো ঔষধ বা কিছুই বাড়তি দেয়া হয় নি। ধীরে ধীরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই বাচ্চাটি মায়ের দুধ আর পরম মমতায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে।
যা উক্ত হাসপাতালের ডাক্তাররা মিরাকল বলে আখ্যায়ীত করেছেন।
আল্লাহই সর্ব বিষয়ে সব কিছু জানেন।
( ফেবু সংগ্রহীত ) কপি পেষ্ট নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন