মিয়ার দালান ।
লিখেছেন লিখেছেন সিকদারর ২২ মে, ২০১৩, ০৯:৩৭:২৯ রাত
মিয়ার দালান
ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মুরারীদহ এলাকায় অবস্থিত এটি একটি পুরানো জমিদার বাড়ী। বাড়িটি স্থানীয় নবগঙ্গা নদীর উত্তর দিকে অবস্থিত। প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী ইমারতের প্রধান ফটকে নির্মান সময়ের কিছু কথা কাব্যিক ভাবে খোদাই করা আছে।
তাতে লেখা, ‘শ্রী শ্রী রাম, মুরারীদহ গ্রাম ধাম, বিবি আশরাফুন্নেসা নাম, কি কহিব হুরির বাখান। ইন্দ্রের অমরাপুর নবগঙ্গার উত্তর ধার, ৭৫,০০০ টাকায় করিলাম নির্মান। এদেশে কাহার সাধ্য বাধিয়া জলমাঝে কমল সমান। কলিকাতার রাজ চন্দ্র রাজ, ১২২৯ সালে শুরু করি কাজ, ১২৩৬ সালে সমাপ্ত দালান।
বঙ্গাব্দ ১২৩৬ সালে নির্মাণ শেষ হওয়া এই ইমারতটি ঠিকঠাক মত রক্ষনাবেক্ষণ করা গেলে সেটা ঝিনাইদহ শহরের একটি উল্লেখযোগ্য বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। যত দূর জানা যায় যে জমিদার এই দালানটি নির্মাণ করেন তিনি ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময় ভবনটি বিক্রি করে দেন সেলিম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির কাছে। তাই ভবনটিকে স্থানীয় ভাবে সেলিম চৌধুরীর বাড়ীও বলা হয়ে থাকে।
বর্তমানে মিয়া বাড়ি জরাজীর্ণ এক ইমারত ।চারদিকে সুপারী আর নারিকেল গাছে ঘেরা বাড়িটি সন্ধ্যার পর ভুতুরে বাড়ি বলে মনে হয়। সামনে কাছাড়ি ঘর গুলোর বেশির ভাগেরই ছাদ নাই । ছাদের রেলিং প্রায় ভাংগা । বাড়ির ও বাড়ির সীমানা দেয়ালের পলেস্তারা প্রায় খসে পড়েছে । বলা হয়ে থাকে বাড়ীটি থেকে নবগঙ্গা নদীর নিচ দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ছিল। সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখ এখনো চিহ্নিত করা যায়। নদীতে যে ভাবে বাধ দিয়ে ইমারতটি নির্মান করা হয়েছিল সেভাবে তৈরী আর কোন পুরানো ইমারত ঝিনাইদহ শহরে দেখা যায় না।
বাড়ীটির স্থানীয় ভাবে ব্যাপক পরিচিতি আছে।
কিভাবে যাবেন ?
ঝিনাইদহ শহর হতে মিয়া বাড়ির দুরত্ব ০৩ কিঃমিঃ। ঝিনাইদহ শহরের যে কোন স্থান হতে অটোরিকসা / রিকসা যোগে আরাপপুর বাসষ্ট্যান্ড হয়ে মুরারীদহ মিয়ার দালানে যাওয়া যাবে।
বিষয়: বিবিধ
২৫৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন