আহম্মদ শফি এগিয়ে চলুন আমরা আছি আপনার সাথে।
লিখেছেন লিখেছেন সিকদারর ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:০৪:০৭ দুপুর
হেফাজতে ইসলামীর আমীর ও বেফাক চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেয়া ‘কওমী মাদ্রাসা শিক্ষানীতি ২০১২’ এর সাথে আমার ও বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) কোনো সম্পর্ক নেই। তারা অনুমতি না নিয়ে সেখানে আমার নাম ব্যবহার করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাদের দেয়া এ শিক্ষানীতি রিপোর্টের সাথেও আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
আগামী ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি বাস্তবায়নের কর্মকৌশল নীতি নিধারন নিয়ে দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সোমবার রাতে জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল হেফাজতের আমীরের সাথে দেখা করেন। তাঁরা জানতে চান ১৩ দফা দাবির মধ্যে গুরুত্বপূর্ন হিসেবে কোন দাবিগুলো মানা হলে হেফাজতে ইসলাম sআন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন। এ সময় দলের আমীর বলেন, সব কটি দাবিই গুরুত্বপুর্ণ। কোনোটাই বাদ দেয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য গত ১৩ এপ্রিল বেফাকের সহ সভাপতি আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাতে ‘কওমী মাদ্রাসা শিক্ষানীতি ২০১২’ হস্তান্তর করেন। দলের অন্য দুই সদস্য হলেন, সদস্য সচিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নিজামুল হক।
হেফাজতে ইসলামের প্রচার সচিব মাওলানা মুনীর আহমেদের পাঠানো লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে- গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টানা এ জরুরি সভা চলে। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকরা উপস্থিত ছিলেন। মাঝখানে দুপুরের নামাজ ও দুপুরের খাবারের জন্য আধা ঘন্টা বিরতি দেয়া হয়।
বৈঠকে হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন, আখেরী নবী হযরত রাসূলুলল্লাহ্ (সা.), পবিত্র কুরআন, ইসলাম ধর্ম ও ইসলামের রীতিনীতি নিয়ে নাস্তিক ব্লগাররা মিথ্যা, বানোয়াট, অশ্লীল ও উদ্ভট কল্পকাহিনী ব্লগে তুলে ধরে দীর্ঘ দিন থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তার প্রতিবাদে উলামা-মাশায়েখ ও ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার লাগাতার প্রতিবাদ সত্ত্বেও এসব বন্ধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এতে ইসলামের দুশমনরা যেন দ্বিগুণ উৎসাহে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শাহবাগের কথিত জাগরণ মঞ্চ থেকে এদেশের প্রকৃত উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষোদগারমূলক বক্তব্য ও হুংকার দেওয়ার দু:সাহস দেখাচ্ছে তারা। সরকার উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়নি। বরং সরকার ইসলাম বিদ্বেষীদের দাবি বাস্তবায়নে কাজ করছে। কথিত গণজাগরণ মঞ্চের দাবি মতে সরকার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার এবং পত্রিকাটির প্রেসে তালা দিয়েছে।
আল্লামা শাহ্ আহ্মদ শফী দলমত নির্বিশেষে সকলকে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে শরীক হয়ে ইসলাম বিরোধী সকল অপতৎপরতা ও অপসংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধের ঈমানী দাবিতে শরীক হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, এখনি এসব বন্ধে যদি আমরা সক্ষম না হই, আগামীতে মুসলিম পরিচিতি নিয়ে এদেশে বসবাস করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জরুরি এ বৈঠকে আগামী ৫ মে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি সফল বাস্তবায়নের কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা, রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং জেলা ভিত্তিক হেফাজতে ইসলামের কমিটির সাথে আলোচনা এবং কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আওতায় ৭টি উপ-কমিটি আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে জেলা কমিটির সাথে বৈঠকের জন্য দেশব্যাপী সফর শুরু করবেন। তারা হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সাথে বৈঠক করে ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন এবং ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচিতে ব্যাপক জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখবেন
(কপি পেষ্ট ) দৈনিক পূর্বকোন
বিষয়: বিবিধ
৩৩২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন