সাম্প্রতিক আমার দেয়া কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাস।
লিখেছেন লিখেছেন গ্রহান্তরের আগুন্তক ২৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৪১:৫৫ রাত
# যে সকল নব্যদালালরা মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তারে উল্লসিত হয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত গণহত্যায় সাপোর্ট দিয়েছে, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তুলনা করে তাদের আকামকে জায়েজ করতে চাইছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের অনুভুতির সাথে মশকরা করে নাস্তিকদের পাশে দাড়িয়েছে, এদেরকে চিনে রাখুন। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সাথে এদেরও নতুন দালাল আইনে বিচার করা হবে, ইনশাহআল্লাহ।
#১। আজকে রয়েসয়ে জনকন্ঠ ওরপে মতির আলু মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তার এবং আমারদেশ বন্ধ করে দেয়া নিয়ে একটি সম্পাদকীয় ছাপিয়েছে। সম্পাদকীয়টি লিখেছেন তাদের বিশিষ্ট ত্যানা প্যাঁচানো আদালত প্রতিবেদক মিজানুর রহমান। পুরো সম্পাদকীয়তে মিজান অনবরত ত্যানা প্যাচাইছে। প্রথমে তিনি লিখলেন যে এটি কোনও ভালো উদাহারন হইলনা, ভবিষ্যতে অন্য সরকার এসে এভাবে অন্য সম্পাদককেও গ্রেপ্তার এবং অন্য সংবাদপত্রও বন্ধ করে দিতে পারে। আবার আরেকদিকে ত্যানা পেঁচিয়ে বলল যে, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা যেত, যেগুলো সরকার আনতেসেনা। তবে পুরো কলামে দুর্বোধ্য ভাষায় যা বলল তার সারমর্ম হইলো, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার এবং আমারদেশ বন্ধের ব্যাপারটা ঠিক হইসে, তবে মতির আলু ভয় পাইতেসে ভবিষ্যতে তাদের নিজেদের কি অবস্থা হবে তা ভেবে। বলি কি মতি এবং মিজান, এত তাড়াতাড়ি ডরাইলা? তোমাদের দালালির পেমেন্ট ভবিষ্যতে খুব ভালো করেই দেয়া হবে, এসব ত্যানা প্যাচানি সম্পাদকীয় দিয়ে কাজ হবেনা।
২। মাহমুদুর রহমানের মুক্তি এবং আমারদেশ চালুর দাবীতে গতকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অনশন পালন করছে কিছু মিডিয়া কর্মী এবং কয়েকজন অনলাইন এক্টিভিস্ট। রুমি স্কোয়াডের তরুণদের অনশনকে "সেরাম কিছু" ভাব নিয়ে হাইলাইট করা ফ্যাসিবাদীদের দোসর বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া এই খবর ব্ল্যাকআউট করেছে। আর আজকে কিছু ছাত্রলীগ নামধারী দুপেয়ে জানোয়ার গিয়ে অনশনকারিদের মারধোর করে ওখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে এবং একজন নারী অনশনকারিকে লাঞ্ছিত করেছে। এইসব খবরও ব্ল্যাকআউট করেছে আমাদের চুতিয়া মিডিয়া। মতির আলুর মত এই মিডিয়াগুলোকেও দালালির পেমেন্ট ভবিষ্যতে বুঝিয়ে দেয়া হবে ইনশাহআল্লাহ।
#বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আতিউর রহমানের হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন ইসলামী ব্যাঙ্কের এমডি আব্দুল মান্নান। পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন ডঃ জাফর ইকবাল। আহা, মুজা, দিগন্ত টিভিতে সাক্ষাতকার দেননা, কিন্তু ইসলামি বযাঙ্কের ম্যানেজারের হাতে পুরস্কার দিয়ে হাততালি দেন।হোয়েন মানি টকস, দেন বিহেভিয়ার চ্যাঞ্জ। দিগন্ত টিভির কি ইসলামি ব্যঙ্কের মত টাকা আছে? তাই এ অবস্থা।
#ডিয়ার শাহবাগি, জাফর ইকবালকে পচায়েন্না। বইলা দেন, জাফর সার বুঝতে পারেননাই, উনার এখন বয়স হইসে, চোখের পাওয়ার কমসে, কানও পুরোপুরি ঠিক না থাকতে পারে, সবচেয়ে বড় কথা দীর্ঘদিন শিশুতোষ কাহিনী লিখে উনিও এখন শিশুর মত সহজ সরল হয়ে গেসেন। উনি বুঝতে পারেননাই, ইসলামী ব্যাঙ্ককে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে, তাই না বুঝে মঞ্চে দাড়াই ছিল, হাততালি দিসিল। যেভাবেই হোক, জাফর সাররে ডিফেন্ড করুন। জাফর সার যদি পচে যায়, আপনাদের আর থাকল কি?
#মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন " হেফাজতে ইসলাম নয়, হেফাজতে ইনসান দরকার"।
গেদুচাচা বলেছেন " কিছুদিন পর হেফাজতে ইসলাম বা হেফাজতে ইনসান কোনটাই দরকার হবেনা, তখন দরকার হবে হেফাজতে মিজানুর"।
#সাবেক স্পিকার আবদুল হামিদকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার তীব্র নিন্দা জানাই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে একজন এক্টিভ লোককে এভাবে কর্মহীন বানানো একটা বিম্পি জামায়াতের চক্রান্ত, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার থমকে দেয়ার একটা অপচেষ্টা। স্পিকার থাকাকালিন আবদুল হামিদ এলাকার ছাত্রলীগ, আওয়ামিলিগের দেখভাল করা ছাড়াও সংসদের মধ্যে বিভিন্ন রকম সার্কাসে মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। মহাজোটের সাংসদদের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কাজিয়াও তিনি সমাধান করতেন। সংসদে মাঝে মাঝে তিনি চার্লি চ্যাপলিনের ভুমিকাও তিনি পালন করতেন। অথচ, বিম্পি জামাতের ফান্দে পইড়া তিনি এখন কার্যত কর্মহীন। তার কাজ এখন সর্বসাকুল্যে মাঝে মাঝে কবর জিয়ারত করা এবং ফাঁসির আসামিদের ক্ষমা করা, দুই ঈদের দিন এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বঙ্গভবনে বিশিষ্টজনদের সাথে মোলাকাত করা। এসব কাজও যে তিনি স্বাধীনভাবে করতে পারবেন তার নিশ্চয়তা নেই। বিম্পির আমলে বি চৌধুরিকে কবর জিয়রত নিয়েও জটিলতায় পড়ে বিদায় নিতে হয়। সুতরাং স্পিকার থেকে প্রেসিডেন্ট করে কিশোরগঞ্জের এই কৃতী সন্তানকে মূলত ইনেক্টিভ বানিয়ে দেয়া হল। এর প্রতিবাদে অগ্নিকন্যা মতিয়া কথা বলা বন্ধ করে চুপ মেরে গিয়েছেন, সাজেদা চৌধুরীও রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চেয়েছেন, প্রাক্তন কবি এরশাদ অভিমানে কেঁদে মহাজোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। আমিও ফেসবুকে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের হুমকি দিচ্ছি।
#হুম,ভদ্রলোকেরা ৭১টিভিতে যায়না শুধু তোফায়েলরা যায়।
#আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনেকে হতাশ। অন্য সব কারণ বাদ দিয়ে যদি শুধু রিমান্ড ফেরত সিপির পরবর্তী রিমান্ডে যাওয়ার দৃশ্য কেউ দেখে, তাই এক একজনের হতাশ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। সিপিকে মেরে ফেলা হচ্ছে, আর আমরা বসে বসে দেখছি, এভাবে আন্দোলন চলে? কিন্তু আমার মনে হয়, আন্দোলনের অবস্থার উপর হতাশ হওয়া উচিত হবেনা। আমাদের উচিত আমাদের সাধ্যঅনুযায়ী চেষ্টা করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা ,আল্লাহ যেন এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেন। আজ এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন যেভাবে আগাচ্ছে, প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, তার চাইতে ভালো কিছু করা মনে হয় সম্ভব ছিলোনা। কোন পরিস্থিতিতেই আন্দোলন চরমপন্থার দিকে অগ্রসর হবে বলে মনে হয়না, এবং এটাই ঠিক। প্রশ্ন আসতে পারে, সিপি শহিদ হয়ে যাবে আর শিবির এভাবে বসে থাকবে? না, শিবির বসে থাকবেনা, বসে নেই। আন্দোলনের সবাই যেদিকে যতটুকু সম্ভব ততটুকু চেষ্টা করছে। ইখওয়ানের আন্দোলনের সেই কঠিন সময়ের কথা একটু স্মরন করে দেখি। হাসান আল বান্না, সাইয়েদ কুতুব, আবদুল কাদের আওদা, এইসব নক্ষত্রকে হত্যা করে হয়েছে। তারপরও ইখওয়ান যে পথে চলেছে, সেটি কোন চরমপন্থা ছিলোনা। আজকে ইখওয়ান সফল হয়েছে বলে নয়, পদ্ধতিগতভাবেই সেটি ছিল সবচেয়ে সঠিক পথ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নেতৃবৃন্দকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার এবং আমাদের সবাইকে আন্দোলনের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে নেতৃবৃন্দের আনুগত্য করার তৌফিক দিন।
#শেখ মুজিবর রহমান যখন বাকশাল কায়েম করেন, তখন যেসব ঘাড়ত্যারা পাবলিক বাকশালের বিরোধিতা করেন, তাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামীলীগের নেতারা বলতেন, " হয় বাংলাদেশে থেকে বাকশাল করো, নয় নকশাল হয়ে সুন্দরবনে চলে যাও"। এখন নব্যবাকশাল কায়েম করে এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে সুন্দরবন ধ্বংস করে শেখ হাসিনা বলতে পারেন, " নব্য বাকশাল মেনেই বাংলাদেশে থাকতে হবে, নকশাল হয়ে এখন সুন্দরবনে যাওয়ারও আর সুযোগ নেই"।
ফেসবুক লিঙ্কঃ শরীফ উদ্দিন
বিষয়: বিবিধ
১৭৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন