ভণ্ডামি কারে কয়?
লিখেছেন লিখেছেন গ্রহান্তরের আগুন্তক ২২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৪৮:৩৭ সকাল
১। ইমদাদুল হক মিলন, যিনি এখন কালের কণ্ঠের সম্পাদক, আমার দেশে ফিচার বিভাগে কাজ করেছেন। তার পত্রিকা এখন শাহবাগ আন্দোলনের মুখপত্র হয়ে গেছে। আমার দেশ বন্ধ এবং সম্পাদক গ্রেপ্তারে তাদের উল্লাস পত্রিকার পাতা ভেদ করে বাইরে এসে পরিবেশ দূষিত করেছে। কিন্তু এটা কোনও সমস্যা না।
২। আরিফ জেবতিক, আমার দেশের ভিমরুল আর নয়া দিগন্তের থেরাপিতে চার দলীয় জোটের আমলে নিয়মিত লিখতেন, তার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির একাউন্ট ছিল ইসলামী ব্যাঙ্কে। তিনি এখন হলুদ ব্যান্ড মাথায় বেঁধে টিভিতে শাহবাগ নিয়ে টকশো করেন, যিনি এখন নিয়মিত মাহমুদুর রহমানের পিন্ডি চটকান, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ, নয়া দিগন্তকে রাজাকার বানিয়ে শাহবাগে শ্লোগান দেন। কিন্তু এটাও কোনও সমস্যা না।
৩।সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান জামায়াতের টাকায় দুইবার হজ করেছেন। এখন তিনি জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এটাও কোনও সমস্যা না।
৪। প্রেসিডেন্ট জিয়া যখন শিক্ষা কমিশন গঠন করেন, তখন সেই কমিশনের সদস্য হিসেবে একসাথে কাজ করেন জাহানারা ইমাম এবং ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা চিহ্নিত রাজাকার আব্দুল মান্নান। পরে জাহানারা ইমাম রাজাকারের বিচারের দাবি তুলে বিরাট মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান। কিন্তু এটাও সমস্যা না।
৫। মুর্গী কবির, মুন্তাসির মামুন, জাফর ইকবাল, তরুন বয়সে সবাই যখন মুক্তিযুদ্ধে যায়, তখন এরা ঘরের কোণায় বসে ছিল। আজ চেতনার দোহাই দিয়ে এনারাও মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু এটাও সমস্যা না।
.
.
.
.
.
সমস্যা শুধু ফরহাদ মজহারের। একদা তিনি জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুলেছিলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছিলেন, একদা তিনি নাস্তিক ছিলেন। তাই আজ তিনি জামায়াত নিষিদ্ধের বিরোধিতা করতে পারবেননা, জামায়াতের বিরুদ্ধে চলমান জুলুম নিয়ে কথা বলতে পারবেননা, মুসলমানদের বিশ্বাসকে যারা কটাক্ষ করে তাদের বিচার চাইতে পারবেননা।
.
.
এই যে পদ্ধতি, এটার নাম হচ্ছে প্রগতিশীলতা, এটার নাম হচ্ছে মুক্তবুদ্ধির চর্চা, এটার নাম হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এসব যদি প্রগতিশীলতা , মুক্তবুদ্ধি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হয়, তাহলে ভণ্ডামি কারে কয়?
বিষয়: বিবিধ
১৫২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন