ব্লাসফেমি আইন করতে বাধ্য হবেন প্রধানমন্ত্রী’
লিখেছেন লিখেছেন মীর ফারহান ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:৪৭:২৬ রাত
ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।এই আইন করার পরিকল্পনা সরকারের নেই- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে হুমকি দিল চট্টগ্রামভিত্তিক ইসলামী সংগঠনটি।
মঙ্গলবার বন্দর নগরীর লালখান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি জনগণের ম্যান্ডেট বুঝে থাকেন, তাহলে ব্লাসফেমি আইন করবেন, নইলে তাকে বাধ্য করা হবে।”
“ব্লাসফেমি আইন না করলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না ও ক্ষমতায় আসতেও পারবে না,” বলেন তিনি।
ব্লাসফেমি আইনে ধর্ম সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে আলোচনার পথ রুদ্ধ করে বলে এই আইন প্রণয়নের বিরোধিতা রয়েছে।
তবে হেফাজত গত শনিবার মতিঝিলে সমাবেশে যে ১৩টি দাবি তুলে ধরেছে, তাতে সরাসরি উল্লেখ করা না হলেও ব্লাসফেমির মতো আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের কথা বললেন হেফাজত নেতা।
হেফাজতের সমাবেশের পর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
হেফাজতের ওই দাবির সমালোচনা উঠছে দেশজুড়ে। নারী অগ্রযাত্রার পথ রুদ্ধ করবে বলে সংগঠনটির বিরোধিতা করে আসছে দেশের নারী সমাজ।
মুফতি ইজহার বলেন, “আমাদের ১৩ দফা দাবি সুস্পষ্ট। এ দাবি সরকারকে মেনে নিতে হবে।”
নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরোধিতাকারী হেফাজতের অন্যতম দাবি হচ্ছে- নারী ও পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করা; তারা এই দাবি তোলার পর নারী সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়েছে।
নারী ও ইসলামকে মুখোমুখি না করতে সরকার ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হেফাজত নেতা বলেন, “ইসলাম নারীদের পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছে। নারীদের পূর্ণ মর্যাদা ফিরিয়ে আনতেও আমাদের এ আন্দোলন।”
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠলেও মুফতি ইজহার দাবি করেছেন, তাদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে কোনো রাজনৈতিক ‘উচ্চাভিলাষ’ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে সরকার সমর্থক সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
লংমার্চে বাধার অভিযোগ তুলে সোমবার সারাদেশে হরতাল ডাকে হেফাজত। এতে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে সংঘাত হয়।
চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে হেফাজতের ৫০ কর্মী আহত হয়েছেন দাবি করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন রুহি, তাজুল ইসলাম, মুফতি হারুন ইজহার প্রমুখ।
বিষয়: রাজনীতি
১০৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন