বদরুলের বদ খাসলত ও দেশবাসির গোস্বা
লিখেছেন লিখেছেন জাইদী রেজা ০৬ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:৪৪:৩৪ বিকাল
পৃথিবীর অনেক অসম্ভবের কাজের মধ্যে একটি হল কুকুরের লেজ সোজা করা । ইল্লত যায় না ধুলে, আর খাসলত যায় না মলে। এত সহজে কি খাসলত বদলানো যায় ? এই খাসলত হটাত করে গড়ে উঠেনা । সুদীর্ঘ বছরের বংশীয় ঐতিহ্য, পারিবারিক কালচার, দলীয় কালচার, ঊর্ধ্বতন নেতাদের অনুসরণের মাধ্যমে খাসলত তৈরি হয় । আরও আনেক ভাবে খাসলত তৈরি হয়, তা অবশ্য এখানে বলা সম্ভব নয় ।
আম্মা বাদ , বদ রুলের বদ কর্মের খাসলত তো হটাত করে হয় নি । তা সুদীর্ঘ বছরের সাধনার ফল । কেন যে দেশবাসী গোস্বা করেন !! বুছিনা । তাকে তো পুরস্কৃত করা উচিত । প্রকাশ্য দিবালোকে, জনগনের যাতায়াতের রাস্তায় যুবতী মেয়েকে কোপানো, তাও আবার যে সে মেয়ে নয় । যে মেয়ের মা তাকে রান্না করে খাইয়েছে, বাড়িতে থাকার যায়গা দিয়েছে । যে মেয়ে তার ছাত্রী, সেই মেয়েকে কোপানো যাতামাতা কথা নয় । এত বড় দুঃসাহসিক কর্মের কারণে তাকে তো রীতিমত মেডেল দেয়া উচিত, এই সোনার ছেলেরা, বাংলা মায়ের দামাল সন্তান । এরাই দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ । কেন যে আপনারা গোস্বা করেন !!
খাসলত ইন্সটল করার বিষয় নয় । ডাউনলোড করাও যায় না । সাধনার বিষয় । বসে বসে সুখপাঠ্য অনেক কিছুই রচনা করা যায়, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। নিজের মেরুদন্ড সোজা না করে দাঁড়ালে সীমান্তের কাঁটাতারে বেড়ায় ঝুলতে হয় । উলঙ্গ হয়ে বি.এস.এফ এর হাতে মার খেতে হয় ।
মননশীলতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে আমরা ভারতীয়দের তুলনায় অনেক এগিয়ে। কিন্তু একটা দিক থেকে আমরা তাদের থেকে পিছিয়ে, আর সেটা হল খাসলত । আমাদের খাসলত খুবই নিচু মানের । বিদেশীদের অন্ধ অনুকরণ না করলে আমাদের মনে সুখ আসেনা, নিজেদের ঐতিহ্য- সংস্কৃতি সস্তাদরে বিকিয়ে দিয়ে চড়া দামে ফালতু সংস্কৃতির চাদর গায়ে না ঘুরলে আমাদের ইমেজ বাড়েনা । ভারতের আবর্জনা ছাড়া আমাদের কম্পোস্ট সারও তৈরী করা চলেনা । চিংকুপিয়াহে কিংবা মুন্নী বদনাম হুঁইয়ে বাজনা ছাড়া আমাদের বিয়ে শাদী, বনভোজন কিছুই পূর্ণতা পায় না । ঈদ-পূজা যাই হোক না কেন , কাহারুক খান স্যুট প্যান্ট না পরলে বাঙ্গাল দাদাবাবুদের ইজ্জত ঢাকেনা, ‘কারিনা কামিজ-সালোয়ার’ ছাড়া খোকার মায়ের আহ্লাদ পূরণ হয় না । আরো আছে ভয়ংকর দিক । চটি গল্প অবলম্বনে রচিত স্টারপ্লাসের বস্তাপচা পরকীয়া কাহিনি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়া দিদিমনি, ভাবী সাহেবানরা নিদ্রা যায় আর স্বপ্নে দেখেন পাশেরবাড়ির ছোকরাটা তার গা টিপে দিচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের গন্তব্য । নিজেরা উন্নত হওয়া সত্বেও আমরা অবনত ও নোংরা ভারতীও সংস্কৃতি গিলছি । এসবই কিন্তু খাসলত ।
জয় হোক খাসলতের ! জয় হোক বদ রুলের !! জয় বাংলা !!!
বিষয়: রাজনীতি
১৪৬৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এক্সচেললেনট
এই তেনা মার্কা একটাকে থামাতে তো একজনই যথেষ্ট ছিল!
মোবাইল ক্যামেরা.............!
এক করুন মিউজকের সূরে বদরুলের রিপোর্ট হয়েছিল “বদরুল আর হাটতে পারবেনা, শিবির কেড়ে নিল তার স্বপ্ন”। সকল হলুদ মিডিয়া গুলোও প্রতিযোগিতা করে রিপোর্ট করেছিল কে কার চাইতে করুন ভাবে রিপোর্ট করবে। বাদ জায়নি জাফর ইকবাল তিনিও কলম ধরেছিলেন “মেধাবী বদরুলের আর হাটা হবে না“। সবাই মিলেই উৎসাহ ও প্রেরণা দিয়েছিলেন আজকের এক পাশবিক বদরুলকে, তা কি অস্বিকার করা সম্ভব?
সত্য ঠিকই প্রকাশ পেল আজকের থুথু চাটা মিডিয়া গুলোও তাদের নিজের মূখে বলছে ঐদিন বদরুল ইভটিডজংয়ের জন্য গণটিপুনি খেয়েছিল। সত্য এভাবেই প্রকাশ হয়, যদি আগে মিডিয়াগুলোা সত্য প্রকাশ করত তবে আজ এ ঘটনা ঘটত না, নার্গিসের এ অবস্থার জন্য কি মিডিয়া আর জাফর ইকবালেরা দায়ী নয়?
একনজরে দেখে নিন মিডিয়া আর জাফর ইকবালদের জন্য বদরুল কিকি পুরষ্কার পেয়েছিলঃ-
১. প্রায় দু বছর সে ১২-১৪ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন অতিথি ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরছে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল
২. দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযুদ্ধা উপাধীতে ভূষিত হওয়া
৩. ছাত্রলীগের জয়েন-সেক্রেটারীর পদ লাভ
৪. মাননিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দুই বার ২ লক্ষ্য টাকা দিয়েছেন। তা কি অস্বীকার করতে পারবেন?
৫. তার চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার শেখ হাসিনাই নিয়েছিলেন
নিরিহ জামায়াত ও শিবিরের ভাইদের যে হয়রানী করা হয়েছিল তা বাদই দিলাম।
তাদের মুখে থুথু দেই যারা দলকানার মতো ঐদিন শিবিরকে একতরফা ভাবে দোষারোপ করেছিল, বদরুলকে বাহবা দিয়ে মাথায় তুলেছিল। নার্গিসের উপড় হামলার জন্য বদরুল একা দায়ী নয় তারাও দায়ী যারা এই কুলাঙ্গার বদরুলকে তৈরী করেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন