আমি কি মরার পর তাঁদের ফোন দিব?
লিখেছেন লিখেছেন জাইদী রেজা ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:০৮:০২ সকাল
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভেতরে পেছনের সারির একটি বেঞ্চে বসে আছেন নিহত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও তাঁর বাবা শহিদুল ইসলাম। আদালতের কার্যক্রম তখনো শুরু হয়নি। বাবা-মেয়ে কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের ঠিক পেছনে এসে দাঁড়ালেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল বাদলসহ চারজন। মুহূর্তেই সেলিনা ইসলাম চুপ করে গেলেন।
সেলিনা ইসলাম পেছনের ওই চারজনকে দেখিয়ে আদালতকক্ষে থাকা এই প্রতিনিধিকে বললেন, ‘দেখেন কী অবস্থা! এরা সব সময় আমাকে ফলো (অনুসরণ) করে। কোথায় যাচ্ছি, কী করছি—সব। মামলার ধার্য দিনে আদালতের চারপাশে পাহারা বসায়। ভয়ে আমার পরিবারের বাইরের আর কেউ আসে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি না হয় স্বামী হত্যার বিচারের জন্য আসি, সাক্ষীরা এই অবস্থায় কেন আসবে?’
অভিযোগ গঠন শেষে আদালতের বাইরে এলে সেলিনা ইসলামের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গেও কথা বলে প্রথম আলো। তিনি বলেন, সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারত থেকে দেশে আসার পরে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি পেতে শুরু করেছেন। এ অবস্থায় সাত খুন মামলার বাদী আদৌ ন্যায়বিচার পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
১৩ মামলার আসামি নূর হোসেন এই মামলায় বিচারের মুখোমুখি হলেও ইতিমধ্যে তিনি একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। একটি মামলায় বাদীর সঙ্গে তিনি আপস করে ফেলেছেন। গতকালই আরও তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন।
নিহত নজরুলের স্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘পুলিশের অভিযোগপত্রের ব্যাপারে আমি নারাজি দেওয়ার পর আমার বাড়ি থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এখন পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ফোন নম্বর রাখেন, কিছু হলে ফোন দিয়েন। আমি কি মরার পর তাঁদের ফোন দিব?
বিষয়: রাজনীতি
১৪৬৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একজন লোকও পাওয়া গেলোনা যে কিনা প্রকাশ্যে শেখের পক্ষে কথা বলে
সুতারাং হাসিনার ভাবনা ভুল
গনেস কাত হতে এক মুহুর্তও লাগবেনা ইনশাআলা্লাহ
নূর হোসেনের বাপ + ভাইয়ের দাপটই রাজ করতেছে এই কেসে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন