এক রুপি দিয়ে ট্রানজিট নিল ভারত

লিখেছেন লিখেছেন জাইদী রেজা ০৪ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৩৬:৩০ সকাল



মাত্র এক রুপি প্রতীকী মাশুল দিয়ে ট্রানজিট নিল ভারত। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক সড়কপথে ঢাকা হয়ে ত্রিপুরার আগরতলা গেল। এটি পরীক্ষামূলক চালান। তাই প্রতীকী মাশুল হিসেবে এক রুপি নিয়েছে বাংলাদেশের শুল্ক বিভাগ। এটি শুল্ক নয়, সেবা মাশুল। এখনো ট্রানজিটের মাশুল চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রতীকী মাশুল নেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পণ্যবাহী ট্রাকটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় গেছে। গত রোববার সকালে ট্রাকটি কলকাতা ছেড়ে আসে। সেদিনই বেনাপোল স্থলবন্দরে পৌঁছে। এরপর গত সোমবার বেনাপোল থেকে ভৈরব আসে। রাত যাপনের পর গতকাল দুপুরে সীমান্ত অতিক্রম করে এ পণ্যের চালানটি।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে যান চলাচল চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলক চালান হিসেবে এটি কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে আগরতলায় পাঠানো হলো। এ চালানটি পরিবহন করেছে আন্তর্জাতিক পরিবহন প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল গ্লোবাল ফরওয়ার্ডিং।

মাশুল সম্পর্কে জানতে চাইলে আখাউড়া শুল্ক বিভাগের সহকারী কমিশনার মিহির কিরণ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, দুই দেশের সরকারের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে পরীক্ষামূলক চালানে এক রুপি মাশুল নেওয়া হয়েছে। এটি শুল্ক বিভাগ যে সেবা দিয়েছে এর বিপরীতে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু পণ্যগুলো বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেনি, তাই কোনো শুল্ক নেওয়া হয়নি।

এ পরীক্ষামূলক চালানটিতে দুই ধরনের পণ্য ছিল। ট্রানজিটের পণ্য হিসেবে কলকাতা থেকে আগরতলায় গেছে ভোডাফোন কোম্পানির সাত প্যাকেট যন্ত্রাংশ। এ যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ রুপি। এ যন্ত্রাংশের চালান ট্রানজিটের জন্য এক রুপি নেওয়া হয়েছে, যা বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশের আগেই দেওয়া হয়েছে।

একই চালানে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের বাটা শু কোম্পানির কিছু পণ্য ছিল, যা ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ পণ্যগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে বাটা শু কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য শুল্ক-কর নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সড়কপথে কলকাতা থেকে আসাম ও মেঘালয় হয়ে আগরতলার দূরত্ব ১ হাজার ৫৫৯ কিলোমিটার। পণ্য পরিবহন করতে সময় লাগে মোট আট দিন। কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা পথে দূরত্ব মাত্র ৫৬০ কিলোমিটার। এ পথে চালানটি গেছে মাত্র ৫১ ঘণ্টায়। আর দূরত্ব কমেছে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার।

সরেজমিন: সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেলা বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছে ডিএইচএলের পণ্যবাহী ট্রাকটি। এরপর শুল্ক বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। ফটোকপি মেশিন না থাকায় শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ফটোকপি করতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে আখাউড়া বাজারে যেতে হয়। ফলে পণ্যবাহী ট্রাকটি প্রায় এক ঘণ্টা সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে আটকে থাকে। পরে কাগজপত্রের ফটোকপি এনে শুল্ক সেবার কাজটি শেষ করা হয়। বেলা ১টা ৩২ মিনিটে পণ্যের ট্রাকটি সীমান্ত অতিক্রম করে আগরতলা যায়।

ভারতীয় এ চালানটির সঙ্গে কলকাতা শুল্ক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট এম আর পায়েনের নেতৃত্বে চার সদস্যদের প্রতিনিধিদল আসে। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের সড়কের প্রকৃত অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

৯৩৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

348441
০৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : এটাও নেওয়া উচিত হয় নাই
348471
০৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৮
শেখের পোলা লিখেছেন : মানুষ গুলো বাদে আর সবই তাদের গনিমতের মাল, সেখানে শুল্ক নেবে কেমন করে৷ এক টাকা পান বিড়ির জন্য দিয়েছে৷
348547
০৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৪
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বাংলাদেশ কে টাকা দিতে হবে এই ধারনাটি যে ভারতের মনে বদ্ধমুল হয়েছে সেটাই বা কম কিসে? ভারত আমাদের এমন এক প্রতিবেশী যার আন্তরিকতার প্রমান তার পাশের কোন দেশই কোনদিন পায়নি। ভারতীয়রা বংশগত ভাবেই হিনমন্য। তারা অধিকার দেবার কথা কখনও চিন্তা করেনা বরং অধিকার ছিনিয়ে নেবার বিদ্যাই তাদের দেওয়া হয়। ফলে তাদের দ্বারা আপন জনও উপকৃত হয়না। নিজের ধর্মের মানুষও বঞ্চিত হয়।

তাদের কে কেউ উদারতা দেখালে, সেটাকে তারা সফলতা ভাবে।
তাদেরকে উপহার দিলে, তারা সেটার হকদার ভাবে।
তাদের কাছে হক চাইলে, তাকে তারা শত্রু ভাবে।

এটা ইতিহাসের শিক্ষা, তাই এসব মাথায় রেখেই তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে স্বয়ং আল্লাহ কোরআনে পরামর্শ দিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File