মুসলিম বিশ্বে আশার আলো
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ০৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৫১:১৪ সকাল
ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, বসনিয়া, কসভো, রোহিঙ্গা, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান মুসলিম বিশ্বের সমস্যার দিকে তাকালে মনে হয় সে কথা সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা। অনেকেই মুসলিম বিশ্বের এই সমস্যকে মুসলমানদের মজ্জাগত সমস্যা বলে চালাতে চান। আর মুসলিম নামধারী কিছু কনফিউজড আঁতেল এটাকে তোটা পাখির মত শেখানো বুলি আওড়াতে থাকেন। কিন্তু এদের কেউ একবারো নিজেরা ভেবে দেখেন না, কিংবা বিবেক কে প্রশ্ন করেন না যে মুসলিম বিশ্বের এই সমস্যাগুলুর সূত্রপাত কোথায়, বা কারা এ সমস্যাগুলো লাগিয়ে রেখেছেন। আমরা যদি একটা একটা করে আলোচনা করি দেখতে পাই যে মুসলিম বিশ্বের সবগুলো সমস্যার পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ইন্ধন।
ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলা যাক, জায়নবাদি বা তাদের দোসরদের দাবী হল, এই ফিলিস্তিন হাজার হাজার বছর আগে ইহুদীদের ছিল, সুতরাং আরব, ফিলিস্তিনি যারাই এখন এখানে বসবাস করছে তারা পুরা এই ভু খণ্ড ইহুদীদেরকে ছেড়ে দিতে হবে। এটাই আরব ইজরাইল – ফিলিস্তিন সমস্যার এক নম্বর দাবী, তাদের এই দাবীর সুন্দর একটি উত্তর দিয়েছেন ইলান পাপে (Ilan Pappé ) নামে একজন ইহুদি প্রফেসর, ইসারাইলি ইতিহাসবিদ এন্টি জায়নিস্ট এক্টিভিস্ট এবং ইউনিভেরসিটি অফ এক্সিটা (University of Exeter ) এর অধ্যাপক যিনি জায়নবাদি ইজরাইলী জবরদখলকে অন্যায় মনে করেন। বলা বাহুল্য পৃথিবীর অনেক বিবেকবাদি ইহুদী কিন্তু জবরদখল কারি ইজরাইলের অন্যায়কে সমর্থন করেন না। উল্লেখিত এই বিবেকবাদি ইহুদী কিছুদিন আগে লন্ডনের এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন যেখান আধুনিক বিশ্বের বিখ্যাত মুসলিম সাংবাদিক মেহদি হাসান ও উপস্থিত ছিলেন। বিতর্কের বিষয় ছিল “এন্টিই জায়নিজম ইস এন্টি সেমেটিজম” উক্ত বিতর্ক অনুষ্ঠানে একজন এই প্রশ্ন করেছিলেন যে এই ইজরাইলী জন বসতি তো হাজার হাজার বছর আগে ইহুদীদের ছিল। তখন তিনি প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন যে, হ্যাঁ হাজার বছর আগে এখানে ইহুদীরা বসবাস করত, কিন্তু তার অর্থ হল তুমি লন্ডন শহরে আজ যে বাড়িতে বাস করছ সে বাড়িতে তোমার বাপ দাদা চৌদ্দ গুষ্ঠি বাস করে আসছ, গতকাল একজন এসে তোমাকে বলল যে আমার পিতৃ পুরুষ কয়েক হাজার বছর আগে এই বাড়িতে থাকতেন, তাই তুমি এই বাড়ি থেকে উঠে যাও, এই বাড়ি আমার। শুধু তাই নয় সেই অচেনা আগুনতুক পরদিন পুলিশ নিয়ে এসে তোমাকে বাড়িঘর থেকে বের করে দিল, তোমার জিনিশ পত্র সব ফেলে দিল। কাশ্মীরের কাহিনী সে একই, সাম্রাজ্যাবাদি ফাসিস্ট চরম পন্থী হিন্দুরা প্রচার করতে থাকে যে, এই ভারত বা কাশ্মীরে হাজার হাজার বছর আগে শুধু হিন্দুরাই ছিল, তাই মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে হিন্দুদেরকেই রাখতে হবে।
পৃথিবীর ইতিহাস পরিবর্তন হয়, মানুষ রিজিকের সন্ধানে এক দুনিয়া থেকে আরেক দুনিয়াতে যায়, কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ বিগ্রহ এসবের কারণে এক জগত থেকে আরেক জগতে চলে যায়। এক জাতীর ফেলে যাওয়া বিধ্বস্ত ভূমিতে আরেক স্থান থেকে বিতাড়িত কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত জাতী এসে বাসা বাধে এবং আস্তে আস্তে বসতি ও সভ্যতা গড়ে তোলে। নবাগত জাতী শুধু বসতি এবং সভ্যতাই গড়ে তোলেনা, সময়ের পরিবর্তনে, ভুগোলের পরিবর্তনে তারাও পরিবর্তিত হয়। আমেরিকা ইউরোপের প্রেক্ষাপটে দেখলে আমরা বুঝতে পারি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ ইমিগ্রান্ট হয়ে আমেরিকায় আসে, এই ইমিগ্রান্টদের সন্তানরা আস্তে আস্তে সময় এবং স্থানের সাথে পরিবর্তিত হয়ে যায়। আপনার আমার বাবা বা দাদা যেভাবে জীবন যাপন করেছেন সে তুলনায় আপনার আমার সন্তানরা সম্পূর্ণ ভিন্ন জীবন যাপন করে, যেখানে যারা জন্ম নেয় বেড়ে উঠে সেটাই হয়ে উঠে তাদের সবকিছু, সে সময় হঠাৎ কেউ এসে যদি বলে এটা তোমার ঘর বা বাড়ি নয়, তুমি এখান থেকে চলে যাও, এটা আমার ঘর, তখন এ ধরনের দাবী বা আচরণ শুধু অন্যায়ই নয় অমানবিক।
এখানে দুটি প্রশ্ন, প্রথম প্রশ্ন, হিন্দুদের আগে কারা ছিল। হিন্দুরা তো বানর থেকে আসেনি, কিংবা আদম আঃ থেকে আসেনি? তাহলে হিন্দুদের আগে কারা ছিল, তেমনিভাবে ইজরাইলে বা ফিলিস্তিনে ইহুদীদের আগে কারা ছিল। মুসলমানদের মূল বিশ্বাস অনুযায়ী, মুসলমানরা মোহামেডান নয়, কিংবা মোহাম্মাদ সা থেকেই মুসলমানদের শুরু নয়, মুসলমানরা আদম আঃ থেকেই তাদের যাত্রা শউর বিশ্বাস করে, একজন মুসলমান কোন একজন নবীকেও যদি বিশ্বাস না করে তাহলে সে মুসলমান হতে পারবে না। মুসলমানদের জাতীর পিতা ইব্রাহিম আঃ হিসাবে মুসলমানর বিশ্বাস করে, তাহলে ইজরাইল ভারত কিং পৃথিবীর যে কোন স্থানে মুসলমানরাই ছিল আদি অধিবাসী। এ কথাটি তো আমার বা কার বানানো কথা নয়। এটাই একজন মুসলমানের বিশ্বাস। পবিত্র কোরানের প্রাথমিক ভূমিকা সুরা ফাতিহার পরপরই সুরা বাকারার শুরু হয়েছে এই ঘোষণা দিয়ে একজন মুত্তাকী যিনি পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে বিশ্বাস করেন। একজন মুসলমান মুসলমান হবার সাথে সাথে যে সব মৌলিক ঘোষণা দেন যে গুলোকে কালিমা বলা হয় সেই কালিমার ইমানে মুফাসসাল বা বিবৃত বিশ্বাস হল আমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস আনলাম, আল্লাহর ফিরিশতাদের অস্তিত্বের উপর, আল্লাহর প্রেরিত সকল কিতাব সমূহের প্রতি, আল্লাহর প্রেরিত সকল নবীদের উপর বিশ্বাস আনলাম। ইসলামের বিশ্বাস এবং শিক্ষা হল, ইসলাম আল্লাহর প্রেরিত এবং মনোনীত জীবন ব্যাবস্থা। মানুষ সৃষ্টির প্রথম থেকেই আল্লাহ পাক নবীদেরকে পাঠিয়েছেন বিধান দিয়ে কিতাব দিয়ে। মূল কথা হল যারা আজ প্রচার করছেন যে মুসলমানদের ইতিহাস মাত্র চৌদ্দশ বছরের ইতিহাস তা সত্য নয়। তাছাড়া এটা একটা অমানবিক এবং বেকুবি কথা যে, আমি বা আমার পূর্ব পুরুষরা কয়েকশ বা হাজার বছর ধরে যে লোকালয়, যে দেশে বসবাস করে আসছি, যে ভূমিকে আমার চৌদ্দ পুরুষ ধরে আমার বাসস্থান হিসাবে দেখে আসছি আপনি হঠাত এসে বলবেন তিন চার হাজার বছর আগে আপনার কোন অজানা অজ্ঞাত এমনকি অসম্ভব পুরব পুরুষ এই জনবসতিতে বাস করতেন তাই আপনি আমাকে উঠিয়ে দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিবেন, বাস্তুহারা করে রাখবেন সেটা আমি কিভাবে মেনে নেব?
এবার আসি মুসলিম বিশ্বের সমস্যার আরেকটি দিক আলোচনায় আনি। ধরুন আফগানিস্তানের কথা, ইরাকের কথা। আফগানিস্তান আর ইরাকে সমস্যার জন্য আফগান আর ইরাকিরা কি দায়ী? পশ্চিমা বিশ্ব জবর দখল করার আগে তাঁরা তো শান্তিতেই বসবাস করছিল।
প্রশ্ন হতে পারে তাহলে কি আমি বলতে চাইছি মুসলিম বিশ্বের সমস্যার জন্য মুসলমানরা মোটেই দায়ী নয়? শুধু ইসলাম বিরোধীদের ষড়যন্ত্র? না, সেটা অবশ্যাই নয় কিংবা দাবী করা হচ্ছেনা। প্রতিটি সমাজেই কিছু স্বার্থপর, অন্যের পদলেহি, চাটুকার দালাল থাকে, যারা দেশ জাতী বা বৃহত্তর স্বার্থ না দেখে নিজের স্বার্থটাই দেখে, যারা নিজেদের যোগ্যতা না থাকলেও চাটুকারী করে, বাইরের শক্তির পদলেহন করে কিংবা দালালি করে স্বার্থ হাসিল করে, নিজেদের মধ্যে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। নিজেদের মধ্যকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব আপসরফা করা সম্ভব যদি শেখা তৃতীয় ব্যাক্তি বা শক্তি যদি নাক না গলায়। একটা সহজ উদাহরণ দেয়া, মানুষের মধ্যে অনেক সময় পারিবিরিক কলহ হয়ে থাকে, স্বামী স্ত্রী কিংবা ভাই ভাই বা ভাই বোনে, কিংবা পিতা পুত্রের মাঝে ও ভুল্ বুঝাবুঝি বা কলহ থাকতেই পারে কিন্তু সেই পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করে যখন তৃতীয় ব্যাক্তি নাক গলানো শুরু করে। বা পরিবারের কেউ একজন যদি তৃতীয় ব্যক্তিকে এর মধ্যে নাক গলানোর সুযোগ দেয়।
ব্রিটিশরা আমাদের দেশগুলোতে গিয়েছিল ব্যাবসার নামে, কে সে সময় তাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল? কেউ নয়, তাঁরা নিজেরাই গিয়েছিল। তারপর ষড়যন্ত্র করে ষড়যন্ত্র করে শাসন শোষণ করে, আমাদের সম্পত্তি চুরি করে, তারপর যখন বুঝল আর থাকা যাচ্ছেনা, তখন আসার সময় কিছু বিষ বৃক্ষ বপন করে আসে। কি ছিল সে সব বিষ বৃক্ষ? ডিভাইড এন্ড রুল পলিসি। আমার একটা প্রশ্ন আমি অনেকদিন থেকে করে আসছি, গত বিশ তিরিশ বছরে আমার লেখা লেখির হাতে খড়ির পর থেকে বিভিন্ন লেখায় যে প্রশ্ন করে আসছি। আমার প্রশ্ন হল, আমেরিকার মানচিত্রে বিভিন্ন রাজ্যাগুলর ম্যাপ যেভাবে সোজা আমাদের দেশগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ভুটানের মানচিত্র এমন আঁকাবাঁকা কেন? অথচ পশ্চিম বঙের বাঙ্গালীদের ভাষা বাংলা ধর্মে অধিকাংশ মুসলমান অথচ পশ্চিম বঙ্গ কেন ভারতের সাথে, সিলেটের পাশে আসাম অধিকাংশ নাগরিক মুসলমান তাদের ভাষা আসামি যা প্রায় সিলেটি ভাষার মত, অথচ আসামকে সিলেট থেকে আলাদা করে ভারতের সাথে যুক্ত করা হয়েছে কেন। ব্যপারটা বুঝার জন্য একটা বাস্তব উদাহরন দেই। আগেই যেমন বলেছিলাম আমেরিকার ষ্টেট বা রাজ্যগুলর ম্যাপের দিকে তাকালে দেখা যায় একেবারে সোজা সরল রেখা কিংবা নদী নালা বা পাহাড় দিয়ে বিভাজিত, কিন্তু অনেকগুলো কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট রয়েছে যেগুলোর দিকে তাকালে বাংলাদেশ ভারতের ম্যাপের কথাই মনে পড়ে। আর এই কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্টগুলোর কাহিনী হলো, যেটা আমার বাস্তব দেখা, আমেরিকায় প্রতি দশ বছর পর আদমশুমারি অনুসারে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিকগুলো জনসংখ্যার অনুপাতে ভাগ করা হয়, এক্ষেত্রে আমার নিজ দেখা অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রিপাব্লিকানরা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা কোন কংগ্রেস সদস্যকে টারগেট করলে, তাঁর ডিস্ট্রিক্ট এমনভাবে ভেঙ্গে রি ডিসট্রিক্ট করে যেখানে সম্পূর্ণ নতুন এলাকা যোগ করে, কিংবা কালো সাদা এমনভাবে ভাগ করে যাতে করে, আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখা ২০০২ সালে মিশিগানের একজন প্রবীণ শক্তিশালী কংরেসম্যন ডেভিড বোনিওর বুশ প্রশাসনের সময় এইভাবে রি দিস্ট্রিক্টিং এর কারণে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তিনি এবার জিতবেন না তখন কংগ্রেস নির্বাচন আর করেন নি। তেমনি ভাবে, মিশিগানের অন্য প্রবীণতম কংগ্রেসম্যান জন কনিওরকে হারানোর জন্য মিশিগান ১৪ কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট কে এমনভাবে ভাগ করা হয়, আজো যে কোন পাঠক “মিশিগান ১৩ এবং ১৪ কংগ্রেশনাল ডিসট্রিক্ট” গুগল করে ম্যাপ দেখলেই বুঝতে পারবেন। এই ম্যাপটা দেখলেই যে কোন বিবেকবান ব্যাক্তি বুঝতে পারবেন এই ম্যাপগুলকে এভাবে আঁকাবাঁকা করে করার পেছেনে নিঃসন্দেহে কোন কারন রয়েছে। হ্যাঁ, কারন তো একটাই যেটা আমার আমেরিকার রাজনীতিতে বাস্তব অভিজ্ঞতা।
ফিরে আসা যাক মুসলিম দেশগুলোর সমস্যা নিয়ে, মুসলিম দেশগুলোর সমস্যা নিয়ে একটা একটা করে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে এর পেছনে কার ইন্ধন আর কার কলকাঠি।
সমস্যা আরও অনেক আলোচনা করা যাবে। তবে আজকের এই লেখার মুল উদ্দেশ্য হল মুসলিম বিশ্বে আশার আলো নিয়ে। হ্যাঁ, অনেকদিন অনেক বছর পর মনে হল মুসলিম বিশ্বে কিছুটা আশার আলো দেখা দিচ্ছে। আমরা জাতি সঙ্ঘে মুসলিম বিশ্বের তিনজন নেতার বক্তব্য শুনেছি এবং বিশ্বময় এ নিয়ে আলোচনা শুনেছি। শুধু বক্তব্যই নয় এই তিন নেতা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক মানের টিভি মিডিয়া চালু করবেন। এজন্য ব্যাপারটা যে শুধু আবেগের তা কিন্তু নয়। মুসলিম বিশ্বের জন্য এখন সবচে বেশি প্রয়োজন মিডিয়া আর কিছু গবেষণা ধর্মী প্রতিষ্ঠান বা ইন্টেলীজেন্স এজেন্সি, যারা মুসলিম বিশ্বকে গভীরভাবে স্টাডি গবেষণা করবে, প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবে এবং সে অনুযায়ী পরামর্শ দিবে।
আমরা মুসলিম বিশ্বে আশার আলো দেখছি যে তিন জন বিজ্ঞ নেতা এক হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসংক্রমে বলা দরকার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ব্যাপারে কেউ কেউ মন্তব্য করেন যে ইমরান খানের কথাগুলো অতি আবেগি, আমরা মনে করি এই মন্তব্য ঠিক নয়, আবেগ থাকতেই পারে, তবে ইমরান খান মুসলিম বিশ্বের সমস্যা আঁচ করতে পেরেছেন তা বুঝা যায়, ইমরান খান যে মেসেজ নিয়ে রাজনীতিতে নেমেছেন সেই মেসেজটাই বলে দেয়, ইমরান খানের দলের নাম ইনসাফ বা সু বিচার। যে কোন ইসলামী চিন্তাবিদ একমত হবেন যে পবিত্র কোরানের মুল মেসেজটাই হলো এই ইনসাফ। সারা বিশ্বে প্রতি সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার প্রায় প্রতিটি মসজিদে সম্ভবত সকল ইমাম এই ইনসাফের কথা স্মরণ করিয়ে দেন “ইন্নাল্লাহা ইয়া’ মুরুকুম বিল ‘আদলে ওয়া আল ইহসান”।
আমরা কায়মনে আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ পাক মুসলিম বিশ্বের একান্ত প্রয়োজনীয় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন