গরু কোরবানী নিয়ে এত কথা -পাঁঠা বলি নিয়ে কথা নাই কেন?
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:৫২:৫৫ সকাল
গরু কোরবানী নিয়ে বাংলাদেশে এত কথা এত লেখালেখি, এত মানবতাবোধ। অথচ, পাঁঠা বলি নিয়ে কাউকে কোন কথা বলতে দেখা যায় না কেন? পাঁঠার কি কোন জীবন নাই, পাঁঠার কি কোন রক্ত নাই? পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ শুকর বলি হয়, শুকর বলি নিয়ে একটি কথাও তো শুনা যায় না। ব্যপারটা কি?
যাঁরা জীব হত্যার দরদে গদগদ তাদের দরদটা খালি মুসলমানদের বিরুদ্ধে। মাছেরও তো জীবন আছে। গাছেরও জীবন আছে। মনে হয় তারা যেন কিছুই খায় না। পৃথিবীতে এক জীবকে হত্যা করেই অন্য জীব বাঁচে এটাই প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। প্রশ্ন হলো কে কিভাবে হত্যা করে। কোন প্রয়োজনে হত্য করা হয়। আমরা জানি ইসলামের শিক্ষা হলো, আমি শিশুকাল থেকে এ শিক্ষাই পেয় এসেছি, বিনা প্রয়োজনে একটা গাছের ডাল ভাংগাও অন্যায়। কোরবানী বা পশু পাখি জবাই করার ক্ষেত্রে ইসলামরে সুনিদর্িষ্ট নির্দেশ এবং এবং নীতিমালা রয়েছে, হাদীস শরীফে স্পষ্ট করে এবঙ বারবার বলা হয়েছে পশু জবাই বা কোরবানী করার সময় একটা পশুর প্রতি যেন অমানবিক আচরণ করা না হয়। ভারতে যখন ভোঁতা দা দিয়ে নির্মমভাবে পাঠার উপর আঘাত করা হয় কই সে ব্যাপারে তো কারো মায়া কান্না আসে না! পশ্চিমা জগতে যখন হাতুড়ী দিয়ে শুকর বা যে কোন পশুকে হত্যা করে খাওয়া হয় সে ব্যাপারে তো কারো কোন প্রতিবাদ নাই!
ব্যাপরটা হলো পা চাটা গোলামি। গোলামের কাছে এর চেয়ে বেশ আশা করা যায় না ।
অপরদিকে মুসলমানরা যে যে মুসলমানিত্ব হারিয়েছে সে জন্যই গোলামদের তাবেদারী করেই চলতে হবে। সাংবাদিকদেরকে একসময় জাতির বিবেক বলা হতো আজ সাংবাদিকরাই জাতির কলংক। আর জাতি সেসব সাংবাদিকদে র লেখা কাগজ পড়েই যাচ্ছে, কিনে যাচ্ছে, ফ্যাশন রক্ষার জন্র বাসায় টি.িভ রাখে এবং গোলাম সাংবাদিকদের খবর শুনে যা্চেচ্ছ।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন