ইত্তেফাকের মৃত্যু এবং একজন বর্বর সম্পাদককে বয়কট
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:৩২:০১ রাত
ইত্তেফাকের মৃত্যু এবং একজন বর্বর সম্পাদককে বয়কট
বাংলাদেশে একসময় ইত্তেফাক ছিল সবচে' নামকরা পত্রিকা। তফাজ্জল হোসাইন মানিক মিয়ার সাংবাদিকতা ছিল, অবিসংবাদিত, যদি ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠা এবং মালিকানা নিয়ে কিছু বিতর্ক প্রথম থেকেই ছিল যে জন্য, ইত্তেফাক সারা জীবনই মুল হেডলাইনের নীচে প্রতিষ্ঠাতার নাম হিসেবে মানিক মিয়ার নাম ছাপতো। বিতর্ক যাই হোক মানিক মিয়া ছিলেন একজন ভাল সাংবাদিক, ত্যাগি সাংবাদিক। মানিক মিয়া দুই ছেলে ব্যরিস্টার মইনুল হোসেন এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দু'জন দু মেরুর। ব্যারিস্টার মইনুল হোসবেন বাংলাদেশের ভদ্র জনোচিত ব্যাক্তিদের একজন। অপরদিকে অশিক্ষিত বর্বর মঞ্জুর রাজনীতি সারা জীবনই দালালী, মাস্তানীতেই ভরা ছিল। মঞ্জুর অসভ্যতার ইতিহাস নতুন নয়। ইত্তেফাকেই শ্রমিকদের রক্ত দিয়ে অনেকবারই ভরেছিল এই মঞ্জু, এমনকি তার সম্মানিত বড় ভাই ব্যারিস্টার মইনুল হোসনেকেও এই মাস্তানির খেসারত দিতে হয়েছিল। মঞ্জুর অসভ্যতা, মাস্তানির ইতিহাস জানা।
একসময় এই ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন পরম শ্রদ্ধেয় আখতারুল আলম। যিনি লুদ্ধক নামে উপসম্পাদকীয় লিখতেন। বাংলাদেশের পত্রিকাগুলো যখন দলের লেজুড়বৃত্তি, দালালী করতো তখন একসময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নেতৃত্বে, মরহুম আখতারুল আলমের সম্পাদনায় ইত্তেফাক ছিল অনেকট নিরপেক্ষ। দেশের কোন ঘটনা বিশেষত দলীয় বিষয় সঠিন খবর জানার জন্য দল নিরপেক্ষ ব্যাক্তি কয়েকটি পত্রিকা পড়তেন এবং ইত্তেফাক দেখতেন।
কিন্তু এই মঞ্জু মাস্তানি, ডাকাতি আর খুনাখুনি করে যেদিন ইত্তেফাককে নিজের কব্জায় নিয়ে যায়, সাংবাদিক হিসেবে দু'কলম লেখার মুরোদ না থাকলেও নিজেকে সম্পাদক এবং মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সেদিন থেকে এই ইত্তেফাক ভারত আর সরকারের দালাল একটা গার্বেজ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
অসভ্য মঞ্জুর অসভ্যতা আর দৈনিক ইত্তেফাকের এই মৃত্যু ও দালালী আমরা জানি তাই ইত্তেফাক ধরার মানষিকতা আর নেই অনেকদিক থেকেই। কিন্তু একজন অসভ্যের বউও যে এত অসভ্য সেটা কোনদিন কল্পনা করতে পারিনি। পৃথিবীতে অনেক অসভ্যের বউই ভাল ছিল। কিন্তু এই অসভ্য বর্বরের বউ যে আরো এত অসভ্য সেটা তো কল্পনাতীত।
দু'কলম লিখার মুরোদ না থেকেও মাস্তান সম্পাদক হিসেবে জোচ্চুরী, পেশীবাজী তো ভারতের পদলেহন আর ইনু মেননদের বস্তাপঁচা মাক্সাবাদী কৃপায় এখন স্বাভাবিক। দেশের সার্বিকভাবে এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আসুন ছোট একটা কাজ করি। ইত্তেফাক নামের এই টয়লেট গার্বেজ না ছুঁইলেই কি নয়। সম্পাদক নামের কলংক যে অসভ্য নারী শতকর ৯০ বিশ্বাসের প্রতি এই অসভ্য আচরণ করতে পারে, আসুন সেই গার্বেজ পেপার বয়কটে ঐক্যবদ্ধ হই। এই গার্বেজ একমাত্র টয়লেটের কাজেই ব্যবহৃত হওয়া উচিত।
বিষয়: বিবিধ
২৭৬৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১০০% খাঠি
মন্তব্য করতে লগইন করুন