শরীয়া আইন এবং কিছু কথা

লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৪৭:২৮ সকাল

শরীয়া আইন বিষয়টা নিয়ে লেখা প্রয়োজন সবাই জানেন। অনেকেই অনুরোধ করেছেন। কিন্তু ব্যাপারটা এত ব্যাপক এবং জটিল যে, কোথা থেকে শুরু করে কোথায় কি প্যাঁচ লাগিয়ে দেই বা প্যাঁচে পড়ে যাই সে ভয়ে এ ব্যাপারটা নিয়ে লিখতে সাহস হয় নি।

শরীয়া আইন বিষয়টা আসলেই খুবই জটিল এবং একটা বড় ধরনের জট, এবং অনেক ব্যপক। দেখি তবু যথাসাধ্য চেষ্টা করবো সংক্ষেপে কিছু কথা তুলে ধরা যায় কিনা।

ঠিক আছে তাহলে শুরু করা যাক। হ্যাঁ, শুরু করার আগেই, বা এই লেখার মুখবন্ধে আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই। আপনাকে মানে, এই আপনাকেই, এদিক সেদিক তাকাচ্ছেন কেন, আমার এ লেখা আপনি পড়ছেন, আমি তো আপনার সাথেই কথা বলছি। এবং প্রশ্নটা আপনাকেই করছি। প্রশ্নটা হলোঃ আচ্ছা শরীয়া আইন বলতে আপনি কি জানেন, কি বুঝেন, এবং কি মনে করেন?

আপনাকে আমি ৩ মিনিট সময় দিলাম। ৩ মিনিট মানে ঠিক ১৮০ সেকেন্ড সময় দিলাম, আপনি এই ১৮০ সেকেন্ডের মধ্যে নিজের সাথে বুঝে নিন শরীয়া আইন বলতে আপনি কি বুঝেছেন বা বুঝেন, এবং শরীয়া আইন শব্দ দুটো শোনার সাথে সাথে আপনার মাথায় কি আসে?

ঠিক আছে, ৩ মিনিট পর আপনার চিন্তাটা কমেন্টে লিখবেন, তার আগে আমি একটা অনুমান করে নিই। আমার অনুমান ঠিক হলে তো ঠিক, আমার অনুমান ভুল হলেই ভাল, তবে আপনাকে ভুল বুঝার জন্য মাফ করে দিবেন।

আমার ধারণা, শরীয়া আইন শব্দটা শোনার সাথে সাথে আপনার আইসিস এর কথা মনে পড়েছে। শরীয়া আইন শোনার পরই মনে হয়েছে "চোরের সাজা হাত কাটা"। "জেনার সাজা পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড।"

যারা আজকের ফেইসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেীদি আরবের কল্লা কাটার ছবি দেখেছেন, বা সংবাদ পড়েছেন, শরীয়া আইন কথাটা শোনার পর পরই তাদের চোখে সে চিত্রটা ভেসে উঠেছে হয়তোবা, কিংবা কেউ যদি আইসিসের সেই সাংবাদিক হত্যার ভিডিও ক্লিপ দেখে থাকেন, শরীয়া আইন শোনার পর পর হয়তোবা সে চিত্রটা ভেসে এসেছে।

আমি আগেই বলেছি, আমার অনুমান যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন, তবে সেটা সম্ভবত একটা ভাল লক্ষণ। আর আমার অনুমান যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে আপনার এই ধারণা কতটুকু সত্য, কিংবা কোন কোন প্রেক্ষাপটে সত্য, কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিভাবে প্রযোজ্য, কতটুকু প্রযোজ্য, সে ব্যপারে আলোচনা করবো কথা দিচ্ছি। আসলে সে আলোচনা করতেই হবে, না হলে লেখাটা শেষ হবে না। সুতরাং আমি অনুরোধ করবো, আমার সে আলোচনা পর্যন্ত্য লেখাটা ধৈর্য্য ধরে পড়বেন। সেটা হয়তো একটু লম্বা আলোচনা হতে পারে, লেখা কয়েক পর্বে চলে যেতে পারে।

তবে তার আগে, আচ্ছা আমি যদি শরীয়া আইন বলতে যা আমার মাথায় প্রথমে আসে, কথাটা এভাবে বলি।

শরীয়া আইন বলতে আমি বুঝি নিরিহ অসহায় মানুষের অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা। শরীয়া আইন বলতে প্রথমেই আমার মাথায় আসে, রাসুল সাঃ এর সে হাদীস, "কোন ব্যাক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না, যতক্ষণ না, মুমিন হবে, পরষ্পরকে ভালবাসবে।" আমি যদি বলি, শরীয়া আইন শুনলেই আমার মাথায় আসে রাসূল (সাঃ) সে হাদীস "যে ব্যাক্তি নিজে পেট পুরে খায়, অথচ তার প্রতিবেশী উপোষ করে, সে মুমিন হতে পারবে না।"

আমি যখন কোরঅান পড়ি, আল্লাহ পাক বলেছেন, "হে মুমিনগন! যদি কোন ফাসিক তোমাদের কাছে কোন বার্তা নিয়ে আসে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতা বশত তোমরা কো সম্প্রদায়কে কষ্ট না পেীঁছাও, যাতে পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে যাও"

কোরআনে যখন দেখি আল্লাহ স্পষ্ট বলেছেন, কেউ যেন অপরকে বিদ্রুপ না করে, একে অপরকে দোষারোপ না করে, একে অপরকে মন্দ নামে না ডাকে।

কোরআনে আমি যখন পড়ি, হে মুনিমগন তোমরা বেশী বেশী ধারণা এবং অনুমান করা থেকে বিরত থাকো, কারণ কোন কোন ধারণা এবং অনুমান পাপ, তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না, অপরের পশ্চাতে নিন্দা করোনা।

আপনি হয়তো আমার উপর চটে গিয়ে বলে বসতে পারেন, "তাহলে কি আল্লাহ কোরআনে যে, চোরের সাজা হাত কাটা বলেছেন, সেটার কথা কি বলবো।" বা সারা জীবন আমাদের মাওলানা সাহেব হুজুররা যা বলে গেলেন সেগুলো কি শরীয়া আইন নয়? আমি আগেই বলেছি, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন।

তার আগে আমি আমার ব্যখ্যাটা দিয়ে দেই, শরীয়া আইনের মধ্যে আমি আবার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষা, চিকিৎসা এসব দুনিয়াবী বিষয় জড়ালাম কিভাবে?

ইমাম শাতেবী নামে একজন বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ছিলেন তিনি বড় একটা কিতাব লিখেছেন তাঁর সেই কিতাবের নাম "আল মুয়াফাক্কাত", সে কিতাবের একটা বড় অধ্যায় লিখেছেন যার নাম দিয়েছেন "মাক্কাসিদ আল শরীয়া"। অর্থাৎ শরীয়া আইনের মকসুদ বা উদ্দেশ্য কি? মাক্কাসিদ আশ শারে' বা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেহেতু এই শরীয়া আইন আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যইটাই বা কি? সেই বিখ্যাত বিশাল গ্রন্থে ইমাম শাতেবী অনেক ব্যাপক আলোচনার কিছু বিষয়ের মধ্যে ইমাম শাতেবী একটা উল্ল্যেখযোগ্য আলোচনা করেছেন শরীয়া আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের সমস্যার সমাধান করা, প্রয়োজন পুরণ করা। সেখানে তিনি আলোচনা করেছেন মানুষের প্রয়োজনটাই বা কি। মানুষের প্রয়োজন আলোচনা করতে গিয়ে তিনি তিন ধরনের প্রয়োজনের কথা বলেছেন তাঁর ভাষায় (১) জরুরীয়াত বা অবশ্যম্ভাবী প্রয়োজনীয় (২) হাজ্জীয়াত (প্রয়োজন তবে না হলেও চলে) (৩) তাহসিনিয়াত সেীন্দর্যবর্ধণ বা বিলাসীতা

সে জরুরীয়াত বা অবশ্যম্ভাবী প্রয়োজনগুলোর মধ্যে তিনি ৫টি মেীলিক চাহিদার কথা উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তা হলো (১)জীবনের নিরাপত্তা (হিফজ আল নাফস), (২) সম্পদের নিরাপত্তা বা (হিফজ আল মাল), (৩) বিশ্বাস বা ঈমানের নিরাপত্তা (হিফজ আদ দ্বীন) (৪) মুক্তবুদ্ধি বা মুক্তচিন্তার নিরাপত্তা (হিফজ আল আক্কল) (৫) পরিবারের নিরাপত্তা (হিফজ আল নসল)

ইমাম শাতেবীর এই ৫টি মেীলিক চাহিদাকে প্রায় সকল ইমামরাই সমর্থন করেছেন।

এই ৫টি চাহিদা পুরণ করা যে শরীয়া আইনের প্রধাণ লক্ষ্য এ ব্যাপারে কোন ইমামই দ্বিমত করেন নি। তবে এই ৫ টি প্রয়োজনের ক্রমধারা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। ইমাম বায়জাবী রঃ মানুষের জীবনের নিরাপত্তাকে ১ নং প্রয়োজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তেমনিভাবে ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ, ইমামর রাজী, ইমাম যারকাশী, ইমাম ক্বারাফী জীবনের নিরাপত্তাকে ১ নং বা প্রথম প্রয়োজন হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছেন।

ইমাম গাজালীর দুটি অভিমত পাওয়া যায়, এক অভিমতে তিনি জীবনের নিরাপত্তাকে ১ নং অপর অভিমতে তিনি বিশ্বাসের নিরাপত্তা বা হিফজুদ্দীনকে ১নং হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম সুবকী ও বিশ্বাসের নিরাপত্তাকে ১নং হিসেবে স্থান দিয়েছেন।

উপরোক্ত ৫ টি মেীলিক চাহিদা পুরনের বাইরে ইমাম গাজালী ইসলামী শরীয়ার প্রধান উৎসের মধ্যে আরেকটি প্রধান পরিভাষা ব্যাবহার করেছেন সেটা হলো "মাসলাহা আল মুরসালাহ" বা জনকল্যাণ। ইমাম গাজালীর মতে জনকল্যাণমুলক নয় এমন কিছু ইসলামী শরীয়ার অংশ হতেই পারে না। ইমাম গাজালী রঃ এব্যাপারে আরো বিস্তারিত আলোচনার প্রেক্ষাপটে ইলম বা জ্ঞানার্জনকে দু ভাগে ভাগ করেছেন। (১)কল্যানকর জ্ঞান (২) অকল্যাণকর জ্ঞান

কল্যাণকর জ্ঞান হিসেবে ইমাম গাজালী বলেছেন যে জ্ঞান একজন মানুষকে সৃষ্টিকর্তাকে চেনায়, আত্নার উন্নয়ন করে, বা মানব কল্যানের জন্য ব্যবহৃত হয়, বা কমপক্ষে মানুষের কোণ ক্ষতি করে না সেটাই কল্যাণকর জ্ঞান। আর যে জ্ঞান মানুষকে সৃষ্টিকর্তৃাবিমুখ করে দেয়, বা যে জ্ঞান মানুষের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহৃত হয় সে জ্ঞান অল্যাণকর জ্ঞান।

ইমাম গাজালীর ব্যাবহৃত এই মাসলাহা আল মুরসালাহ অনেক ইমাম এবং ফক্কীহগন আলোচনা করেছেন এবং সমর্থন করেছেন।

ইমাম আবু হানীফা একই অর্থে আরেকটি নতুন পরিভাষা ব্যবহার করেছেন সেটা হলো "ইসতিহসান" বা কল্যান কামনা করা। অন্য অর্থে ইমাম আবু হানিফার দৃষ্টিতে ইসলামী শরীয়াতের কোন আইনই প্রণীত হতে পারে না যদি না সে আইনের মধ্যে মানুষের কল্যান কামনা করা না হয়।

ইমাম শাফেয়ী আবার ইমাম আবু হানীফা রঃ এর ব্যাবহৃত এই পরিভাষা "ইসতিহসান" এর বিরোধীতা করেছেন। তিনি আরেকটি নতুন পরিভাষা ব্যবহার করেছেন সেটা হলো "ইসতিসলাহ" বা যার বাংলা অনুবাদ হতে পারে সমস্যা সমাধান করা। ইমাম শাফেয়ী রঃ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ আর রিসালাহ তে ইসতিসলাহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

এই ছিলো আমার প্রাথমিক কথা যে, আমি কেন বললাম যে, শরীয়া আইন পরিভাষা শুনলে আমার মাথায় আসে মানুষের মেীলিক সমস্যার সমাধানের কথা। বলার অপেক্ষা রাখে না, উপরে উল্লেখিত ইমাম শাতেবীর (রঃ) মাক্কাসিদ আশ শারিয়া বা ইমাম গাজালীর রঃ ব্যাবহৃত পরিভাষা মাসলাহা আল মুরসালাহ বা ইমাম আবু হানিফা রঃ ব্যাবহৃত ইসতিহসান বা ইমাম শাফেয়ীর ইসতিসলাহ প্রতিটি পরিভাষাই এক একটি থিসিস আলোচনা দাবী রাখে, এবং এ ব্যপারে তাঁদের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ব্যবহৃত পরিভাষা বিশাল আকারে কিতাবাদি রয়েছে এবং অন্যন্য ইমাম বা ইসলামিক পন্ডিতদের যারা তাঁদের পরিভাষাকে সমর্থন করেছেন বা অসমর্থন করেছেন তাদের বিস্তারিত আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। উদাহরণস্বরুপ বলা যায় ইমাম শাফেয়ী রঃ শুধুমাত্র ইসতিসলাহ নামে নিজের ফরমুলা দিয়েই ক্ষান্ত হন নাই তিনি ইমাম আবু হানিফা রঃ প্রদত্ত ফরমুলা ইসতিহসানের কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁর বিখ্যাত আর রিসালাহ গ্রন্থে।

অপরদিকে শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী তিনি যদিও হানাফী মাজহাবের অনুসারী একজন বড় পন্ডিত ছিলেন, তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ গ্রন্থে আরেকটি পরিভাষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন সেটা হলো " 'ইল্লাহ" বা যুক্তি বু্দ্ধি। যেটাকে ইংরেজীতে বলা যায় "রেশনালিটি বা রিজনিং"।

আলোচনাটা তাল গোল পাকিয়ে যাওয়ার আগেই আমি আজকের মত পাঠককে শরীয়া আইন সংক্রান্ত ফিকহ বা উসুলে ফিকহ এর কয়েকটি পরিভাষার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আজকের মত শেষ করবো।

ইসলাম সর্ম্পকে খুব সাধারণ জ্ঞান যারা রাখেন সবাই জানেন, ইসলামী আইন বা শরীয়ার উৎস মুলত ৪টি (১)কোরআন (২) সুন্নাহ বা হাদীস (৩) ইজমা (৪) ক্কিয়াস

উপরে যে পরিভাষাগুলো ব্যাবহার করেছি, অর্থাৎ ইমাম গাজালীর ব্যবহৃত মাসলাহা আল মুরসালাহ, ইমাম আবু হানিফার পরিভাষা ইসতিহসান, ইমাম শাফেয়ীর ইসতিসলাহ এর সবগুলোই ক্কিয়াসের সাথে সম্পৃক্ত। অতি সম্প্রতি ডঃ আহমদ আল রাইসুনি নামক একজন পন্ডিত ২০১৪ সালে প্রকাশিত "আল তাজদীদ আল উসুলী" নামক একটি গ্রন্থে 'মাসলাহা আল মুরসালাহ' ক্বিয়াসের পরে বা ৫ম উৎস হিসেবে ব্যাবহার করেছেন।

উসুলে ফিকাহতে বিভিন্ন ইমামরা আরো কিছু পরিভাষা ব্যাবহার করেছেন যেগুেলো উপরোক্ত ব্যবহৃত পরিভাষাগুলোর সাথে সম্পৃক্ত। যেমন ইজতিহাদ, আক্কল, ইল্লাহ, ফিতরাহ, ও হ্যাঁ, ইমাম ইবনে তাইমিয়া এই ফিতরাহ পরিভাষা ব্যবহার করেছেন। ফিতরাহ শব্দের অর্থ হলো মানুষের সহজাত প্রকৃতি। এ ছাড়া ও আরো একটি পরিভাষা ব্যবহৃত হয়েছে শরীয়া আইনের ক্ষেত্রে সেটা হলো তাজরাবাহ বা পর্যবেক্ষণ। শরীয়া আইনের ক্ষেত্রে গভীর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিভাষা যদিও বিচ্ছিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে সেটা হলো "ওরফ" বা ঐতিহ্য। আমরা জানি ব্রিটেনে কাস্টম বা ট্রেডিশন হলো আইনের একটা প্রধান উৎস। মনে করুন। যে কোন একটা বিষয় যদি এখন প্রচলিত না থাকলেও কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে এটা ব্রিটেনে একসময় সামাজিক রীতি বা কাস্টম হিসেবে প্রচলিত ছিল তাহলে সেটাও আইনে পরিণত হতে পারে। তেমনিভাবে ইসলামী শরীয়া আইনে ব্যবহৃত হয়েছে "ওরফ" পরিভাষা। এই ওরফ সবেচে বেশী প্রসিদ্ধি লাভ করেছে বা এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সফলকাম হয়েছে আধুনিক তুর্কিস্তানে।

টার্কি বা তুর্কিস্তানের বর্তমান অবস্থার পেছনে ছিল গুলেন আন্দোলন বা আবদুল্লাহ গুলেনের ভুমিকার পাশাপাশি এই ওরফ এবং ঐতিহ্য একটা বিরাট ভুমিকা রাখে।

বিষয়: বিবিধ

১২৬৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343342
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভাল লাগলো সহজ উপস্থাপিত লিখাটা।
আইনকে যতোটা জটিল এখন বানান হয়েছে আসলে্ কি শরিয়া ততটা জটিল?? যতটুক জানি কুরআন শরিফে আইন বা বিধিবিধ্ান সংক্রান্ত আয়াত রয়েছে সাড়ে তিনশত এর মত। শরিয়ার মূলনিতি একটাই মানুষের ইহ ও পরকালিন কল্যান।
343345
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২১
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : জটিল বিষয়ে কলম ধরেছেন ভাই। আশা করি সবিস্তারিত আলোচনা পাবো। মোট কত পর্বে শেষ করবেন ?
343353
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১০
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অনেক অনেক উপকৃত হলাম, অনেক কিছু জানলাম। আশাকরি বাকি পর্বগুলো ধারাবাহিক প্রকাশ করে যাবেন। জাযাকাল্লাহ খাইর।

বর্তমান দুনিয়াতে শরীয়াহ কে সন্ত্রাসী আইন আখ্যাদানে ব্যস্ত। অমুসলিমদের সাথে নামধারী মুসলিমারাও একই সূরের পথ ধরে চলছে। আশাকরি আপনার থেকে বিস্তারীত আলোচনা পাবো।

343372
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:১৬
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

মাশাআল্লাহ্‌। ব্যাক্তিগতভাবে আপনার ড্রামাটিক ও ফ্রেন্ডলী ভুমিকাটি আমার ভাল লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এ লিখাটি ইন্টারমিডিয়ারী (এ্যাডভান্স নয়) লেভেল এ রাখতে পারলে - ব্লগ পাড়ায় আমার মত মানুষেরা বেশী উপকৃত হবে - যারা পাবলিকলী এ জাতীয় বিষয়ের মুখোমুখি হন।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুশী হব - যদি নলেজেবল ভাইরা এ লিখায় কন্সট্রাকটিবলী ফ্যাক্টস, ফিগার, মত ও দ্বিমত পোষন করেন - যাতে লিখাটি ইন্টারএ্যাকটিভ ও সমৃদ্ধ হয়।

এ লিখায় আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর সাথে নিচের কিছু পয়েন্ট/অনুবাদ কন্ট্রাডিক্ট করেছে। আমার বিশ্বাস আপনার আগামী লিখায় এ সব কন্ট্রাডিকশান সমূহ দূরীভূত হবে কিংবা সেন্স তৈরী করবে।

* শরীয়া আইন বলতে আমি বুঝি নিরিহ অসহায় মানুষের অন্ন বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা।*

*(৪) মুক্তবুদ্ধি বা মুক্তচিন্তার নিরাপত্তা (হিফজ আল আক্কল)*

*"ওরফ" বা ঐতিহ্য*।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File