ভিমরতি খাওয়া বু্ইড়া ও বেহায়া বিলাই
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০৯:০৫:৩২ সকাল
কোন ব্যাক্তি যদি নির্লজ্জের মত কোন কাজ বারবার করে, বাংলাদেশের কোন কোন গ্রামাঞ্চলে তাদেরকে বেহায়া বিলাই বলে গালি দেয়। মানুষের মধ্যে কিছু কিছু বেহায়া বিলাই আছে যাদের লাজ লজ্জা কোন শরম নাই।
লন্ডনে বুড়া বয়সের ভিমরতি ধরা এক বেহায়া বুইড়া আছে। এই বুইড়ার লাজ লজ্জা নাই। বুইড়ার গুন একটা অ, আ, ক, খ জানেন আর এই অ.আ. ক.খ জ্ঞানকে কাগজে লিখে টু পাইস কামান। আর মাঝে মধ্যে নিউ ইয়র্কে এসে আবল তাবল বকে একুট ফেমাস হবার কসরত করেন।
বুইড়ার কাগজে উল্টা পাল্টা দু কলম লিখে পয়সা কামানোর কথা আমি একদমও বানিয়ে বলছিনা। বুইড়া নিজেই স্বীকার করেছিলেন। সম্ভবত ১৯৯১ সালের কথা। বিচারপতি শাহাব উদ্দিন যখন কেয়ার টেকার সরকার প্রধান ছিলেন তখন এই বুইড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে অতি সম্মানিত এই বিচারপতি শাহাবুদ্দিনকে নিয়ে খুব আজে বাজে মন্তব্য করেছিলেন। সে সময় এই বুইড়ার অনেকগুলো অসংগতিপুর্ণ লেখা পড়ে সে সময় বুইড়ার চোখে আ্ঙ্গূল দিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম, স্পষ্ট করে বুইড়ার লেখা থেকেই তুলে ধরেছিলাম বুইড়া একটা মিথ্যুক। বুইড়া সে সময় অতি আবেগে একস্থানে স্বীকার করে (তার লেখা সে সময় নিউ ইয়র্কের ঠিকানা পত্রিকায়, বাংলাদেশের তদানিন্তন সাপ্তাহিক যায় যায় দিনে প্রকাশিত হয়েছিল, বুইড়া সে সব লেখার একস্থানে লিখেছিলেন, "তাহলে কেন লিখি সামান্য পয়সার জন্য? নাকি মনের একটু আনন্দের জন্য।" সে সময় আমি বুইড়ার অনেকগুলো লেখা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বুইড়াকে লিখেছিলাম, "হ্যাঁ আপনার পয়সার জন্যই লিখেন, সমাজের প্রতি কোন দায়িত্ব বোধ নিয়ে নয়।" এ ছাড়া এ বু্ইড়ার অনেকগুলো লেখা মনযোগ দিয়ে পড়লে দেখা যাবে যে তাতে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে।"।
বেহায়া বিলাই বলে লেখাটা শুরু করিছিলাম এজন্য যে। শুনলাম বুইড়াটা আবার নিউ ইয়র্কে এসে কি একটা আবোল তাবোল বকে গেছে। আসলে এটা তো নতুন নয়। এই বুইড়া ক্ষেপলে পাগলা কু.... মত হয়ে যায় তার প্রমান আমরা দেখেছি তার ভাষা ব্যবহার দেখে। এই বুইড়া শুধু বিচারপতি শাহাবুদ্দিনকে অপমান করে নি, মরহুম এবং শ্রদ্ধাভাজন বি.বি.সির প্রবিণতম সাংবাদিক সিরাজুর রহমান, শফিক রেহমান সহ অনেক সম্মানিত ব্যাক্তিকে এই বুইড়া অপমান করেছেন। আমার মত এই নালায়েকও কয়েকটি লেখা লেখেছি আমার লেখাগুলো কয়েকবার লন্ডন এবং ঢাকার পত্রিকার ছাপা হয়েছিল, তারপরও বুইড়ার লাজ শরম নাই।
বুইড়াটারে নিয়া লিখতে সত্যি আমার একদম ইচ্ছা নাই, তবুও শুধু একটি উদাহরণ দেব যে ভিমরতি খাওয়া এই বুইড়ার কথার কোন আগা মাথা নাই। কোনদিন ছিল না। শুধু কিছু মুখরোচক কথা আর চাপাবাজি দিয়ে মনে করে কেউ কিছু বুঝে না। একটি মাত্র উদাহরণ দেব। বুইড়া নাকি বলেছে, ইসলাম এডপ্ট করে, তারপর উদাহরন দিল আবু হোরায়রা আর আবু বকরের। হায়রে গর্ধভ আর কাকে বলে। ইসলামের প্রি ইসলামিক কালচারকে এডপ্ট করা আবু হোরায়রার নামের সাথে কোনই সম্পর্ক নাই। হযরত আবু হোরায়রা রাঃ বিড়াল খুুব পছন্দ করতেন, তখন একদিন রাসুল সাঃ তাঁকে কেীতুক করে ডাকলেন, "কি, হে বিড়ালের বাবা"। রাসুল সাঃ এই ডাক আবু হোরায়রার খুব পছন্দ হলো, তিনি সে নামেই নিজকে শুনতে গর্ববোধ করতেন। তাঁর এ নামের সাথে প্রি ইসলামিক কালচার এডপ্ট করার কোন সামান্যতম সম্পর্কও নাই। আবু বকরের নামেরও কোন সম্পর্ক নাই। আল্লাহ সোবহানাহু ওয়াতায়ালার ৯৯ নাম নিয়ে মুর্খটা যা বলেছে তাতে তার মুর্খতারই প্রমাণ দিয়েছে। চাপাবাজি করে অ.আ. ক.খ লিখে টু পাইস কামানো যায় কিন্তু ভিত্তি পাওয়া যায় না। সত্যি এই বুইড়ারে নিয়ে এতটুকু লিখে সময় নষ্ট করার ইচ্ছা আমার মোটেই ছিল না। এই বুইড়া সেই বেহায়া বিলাইর মত।
বিষয়: বিবিধ
১০০৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কয়েক বছর আগে ডা. ইকবালের মিছিল থেকে গুলি নিক্ষেপের ঘটনা ও তাতে কয়েকজনের মৃত্যু ও গুলি ছুড়ার দৃশ্যগুলো বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলে, আগাচৌ বলেছিল ক্যামেরা ট্রিক্স, ফটো এডিট।
আগাচৌ - প্লানচেটে বঙ্গবন্ধু
সরকারি অথিতি হয়ে চাপা মারতে পারলেও জনগন নাকি আজকে জুতাপিটা করছে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন