চুলকানির অভ্যাসটা কমানো দরকার।
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ২৯ জুন, ২০১৫, ০৩:২২:৪৮ দুপুর
আমাদের মুসলমানদের চুলকানির অভ্যাসটা কমানো দরকার। আমার মনে হয় এটাই আমাদের একটা বড় রোগ। কিছু একটা হলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠা। নাস্তিক, ইসলামবিরোধীরা এ মুসলমানদের বিশেষত অনুন্নত দেশের অশিক্ষিত মুসলমানদের এই আবেগকে কাজে লাগায়।
আবেগ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু যে আবেগে বিবেক থাকেনা, যে আবেগে বুদ্ধি থাকেনা সে আবেগ ক্ষতিকারক। ইসলামবিরোধীরা এজন্য অতি আবেগী মুসলমানদেরকে প্রতিক্রিয়াশীল ডাকে আর চুলকানি আরো বাড়িয়ে দেয়।
অতি সংক্ষেপ কথা হলো, আজ একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখলাম, এক মুসলমান ভাই কোন এক অপদার্থ নাস্তিকের একটা স্ট্যাটাস নিয়ে কি আবেগী হুলুস্থূল। ঐ কোন মূর্খ নাস্তিক (দু'কলম এ.বি.সি.ডি জানলেই শিক্ষিত হয় না) মুসলমানদের কাবা ঘরকে সমকামিদের রংধনু লাগিয়ে পোস্ট দিয়েছে এতেই তাঁর কষ্ট লেগেছে এবং তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। আরে ভাই কষ্ট লাগাটা তো স্বাভাবিক, কষ্ট যদি নাই লাগলো তাহলে আপনার ঈমান কোথায়। কিন্তু তেলে বেগুনে জ্বলে উঠাটা স্বাভাবিক নয়, এবং সেটা ইসলামিক ও নয়। আপনি সে হাদিসটা জানেন কি, যে এক সাহাবী রাসূল সাঃ এর কাছে উপদেশের জন্য এলে রাসূল সাঃ তাঁকে তিনবার উপদেশ দিয়েছিলেন রাগ না করার, মাথা গরম না করার। তাহলে আমাদের মাথা এত গরম কেন রে ভাই।
এই অপদার্থ মূর্খ নাস্তিকগুলো তো এটাই চায়। আপনারা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেই এদের মজা। এছাড়া আর কি পেয়েছে এই সর্বহারারা। এরা তো সর্বহারা। ভাই আপনার বয়স যতই হোক না, এই গত ৫-১০ বছরেই যা দেখলেন অনেক তুফান ঝড় টর্নেডো দেখলেন তো, কই ইসলামের কি ক্ষতি হয়েছে বলুন? বরং অমুসলিমরা আরো বেশী ইসলামের প্রতি ঝুকছে বই আর কি হচ্ছে। গতকাল দেখলাম কোরিয়াতে মুসলমানদের উপর কোরিয়া টি.ভি তে বিশেষ প্রতিবেদন বিশেষ করে রমজান মাসে। পৃথিবীর আনাচে কানাচে আমি তো দেখি মুসলমানদের এখনো জয় জয় কার, আজকেই ফেইসবুকে আরেকটি পোস্ট দেখলাম হাঙেরীর এক বোনের ইসলাম গ্রহনের কাহিনী। তাহলে এইসব মুর্খ পাগল ছাগলদের পোস্টিং এ মাথা খারাপ করে আপনার নিজের ক্ষতি করছেন না কি? সেই পাগল যদি কাবা ঘরকে তার রং য়ে রং লাগায় তাহলে কি কাবা ঘরের বাউলা ক্ষেত উর্বা যায়। ঐ রমজানে, হাজার হাজার আল্লাহ প্রেমিক এই কাবার পাশে বসে দোয়া করছে।
ভাই, ঐসব পাগল ছাগলদের ফেইসবুক পোস্টিং এ নজর না দিয়ে এই রমজানে পারলে একটু কোরআন পড়ুন কাজে আসে। এই সব পাগল ছাগলরা সারা জীবন বকেই যাবে, নিজের দুনিয়াও হারাবে আখেরাত তো নাই ই। আপনি বরং ভাই আপনার দুনিয়া আখেরাতের দিকে তাকান। ভাল হবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৭৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন