ধর্ম ও পাশ্চাত্য
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:২৪:২৭ রাত
বেকুব আর গর্ধবের দল কথায় কথায়, ইউরোপ আমেরিকা আর চীন জাপানের উদাহরণ দেয়, এই বলে যে, ধর্ম ছাড়াই এসব দেশ নাকি এগিয়েছে। কবি ফরহাদ মাজহারের উক্তি দিয়ে বলতে হয়। বিবিসি সাক্ষাতকারে ফরহাদ মাজহারকে প্রশ্ন করা হয় যে, আপনি এক সময় মাক্সিস্ট ছিলেন, এখন ইসলামিস্ট হয়েছেন, এটা কি স্ববিরোধী নয়। তখন ফরহাদ মাজহার বলেছিলেন, আসলে এই গর্ধভের দল মাক্সিজম ও বুঝেনি ইসলাম ও বুঝেনি। তেমনিভাবে অনেক গর্ধভ আছে যারা পাশ্চাত্যকে বুঝেনি ইসলামও বুঝে। পাশ্চাত্যে কিছু লোক যারা লারে লাপ্পা লারে লাপ্পা করে নাচে, তাদেরক্ই পাশ্চাত্য মনে করে। আর মনে করে যে সেটাই বুঝি উন্নতি।
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি উন্নত দেশেই ধর্ম এবং নিজস্ব সংস্কৃতিতে খুব সম্মান করা হয়। আমি এর আগে এক আর্টিকেলে বিস্তারিত লিখেছিলাম যে, ধর্ম কিভাবে উন্নতি দেশগুলোতে প্রথিত আছে। আমাদের দেশে পাছায় ছড় নাই এ ধরনের কিছু পরজীবি বুদ্ধিজীবি নামধারি দালাল মাদ্রাসার নাম শুনলে গা জ্বালা ধরে। অথচ এই গর্ধব বেকুব রা যে পাশ্চাত্যে পা চাটে অথচ জানে না, আমেরিকা ইংল্যান্ডে কত হাজার হাজার ক্যাথলিক এবং ইহুদী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ওয়াশিংটন ডি.সি.র কেন্দ্র বিন্দু হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটল হিলস থেকে মাত্র কয়েক শ' বা কয়েক হাজার গজ দুরেই জর্জ টাউন ইউনিভার্সিটি যেটা একটি ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি।
এদেশের প্রেসিডেন্টরা, কংগ্রেসম্যানর শপথ নেয় বাইবেলে হাত দিয়ে, মুসলিম কংগ্রেসম্যানরা কোরআনে হাত দিয়ে শপথ নেয়।
বৃটেনের আপার হাউজ অলিখিতভাবে ধর্ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কোথায় নাই ধর্ম। তাসলিমা নাসরিনদের মত যাদের নিজের পরিচয় নাই, যাদের পরিবারে শান্তি নাই তারা পাশ্চাত্যের লারে লাপ্পাদের দু'চার ডলার পেয়েই ইসলামের বিরুদ্ধে অহেতুক বিষোদগার করে।
বাংলাদেশের তথাকথিত কিছু কিছু আগা পাছায় ছড় গোড়াহীন এখন হঠাৎ করে একটু নাস্তিক নাস্তিক ভাব দেখায়, এদের অবস্থা দেখে একদিকে ঘৃণা অপরদিকে করুণা হয়। বিদেশী পরগাছারা পাশ্চাত্যের লারে লাপ্পার ক'টি ডলার পাইন্ড পেয়েই পন্ডিত সাজে। এদেরকে যদি মাক্সিজমের সংঞ্জা জিজ্ঞেস করা হয়, কিংবা যে দর্শণ নিয়ে নাচে সেই দর্শন বা দ্বান্ধিক বস্তুবাদ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন হা করেই তাকিয়ে থাকবে।
যে মানুষ নিজের পরিচয় জানে না। সেই পরের দালালি করে, পরে পা চাটে। এসব গন্ড মূর্খ পা চাটারা যদি একটু লেখাপড়া করে ধর্মের বিরোধীতা করতো তাহলে এদের কথার উত্তর দেয়া যেত।
যে অর্থনৈতিক মুক্তির নামে পুজিঁবাদের শোষনের বিরুদ্ধে যে সমাজতন্ত্র, নাস্তিকতার জন্ম সে সব দেশেই অর্থনীতির করুন অবস্থা। রাশিয়াতে আজ নারীরা ১ ডলারের জন্য ইজ্জত বিলিয়ে দিচ্ছে, মানুষ খুন ডাকাতি রাহাজানি করছে সামান্য অর্থের জন্য।
কি দিয়েছে বাংলাদেশে যারা ধর্মহীনতার শ্লোগান দিচ্ছে। শিক্ষাংগনে, সন্ত্রাসি, লুচ্চামি, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, বদমাশি ছাড়া কি দিয়েছে ধর্মহীন এই কুলাংগাররা।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের কাছে শতাব্দীর সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় মেয়েদের ট্রাউজারের মত খুব ঢোলা এক রকম পায়জামা, যা পড়লে মেয়েদের রাস্তার টোকাই মেয়েদের মতই মনে হয়, অবশ্য এই পায়জামা যদি আরো ভারী করে বানিয়ে পর্দা পালন করার উদ্দেশ্যে পড়ত কতইনা ভাল হত। কিন্তু ভাল লাগুক অথবা খারাপ, অন্যের অনুকরন যে করতেই হবে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন