দোয়া কেন কবুল হয় না
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:০০:২৯ রাত
আল্লামা ইকবাল কি বেকুবের মত একটা কবিতা লিখেই ছেড়ে দেবেন তারপর মোল্লাদের ভয়ে তাড়াতাড়ি একটা জবাব লিখে দিবেন। আল্লামা ইকবাল যদি এমন মানুষ হতেন তাহলে কোনদিন আল্লামা ইকবাল হতে পারতেন না। এই মোল্রার গুষ্ঠি আল্লামা ইকবালের শিকওয়াও বুঝেনি, জওয়াবে শিকওয়াও বুঝেনি। কিছু একটা হলেই না বুঝে লাফায়, নিজেদের পক্ষে গেলেই খুশীতে গদ গদ হয়, আর মনে করে আমরাই তো করেছি। যে কোন বিবেকবান ব্যাক্তি যদি গভীরভাবে চিন্তা করে তাহলে দেখতে পারবে, আল্লামা ইকবালের কথাগুলো কত সত্য, কত বাস্তব আর কত চিরন্তন। আল্লামা ইকবালের কথাগুলো আজো প্রযোজ্য নয়? কেন মুসলমানরা আজো মার খাচ্ছে, কেন সারা বিশ্বে আজ এক মহা হযবরল অবস্থা? শুধু আল্লামা ইকবাল কেন। ইবরাহীম ইবনে আদহাম নামে এক সুফী দার্শনিক ছিলেন। তাঁর বিখ্যাত একটি বক্তব্য ছিল দোয়া কেন কবুল হয় না (লিমা যা, ইউসতাজাবু আদ দাওয়াহ) তিনি ও সেখানে এমন কিছু কথা বলেছেন, কোথায় আমাদের গলদ রয়েছে।
আল্লামা ইকবালের শিকওয়া এবং জওয়াবে শিকওয়ার প্রতিপাদ্য কোরআনের যে আয়াতদ্বয় আমি উদ্ধৃত করেছি তার সাথে সামঞ্জস্যশীল। আমরা যা ভোগ করি, এটা আমাদেরই কর্মফল, আল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিজেদেরই বোকামী। আল্লাহ পাক পথ দেখিয়ে দিয়েছেন।
ইবারহীম ইববে আদহামের দোয়া কেন কবুল হয়না সে আলোচনার প্রেক্ষিতে ছোটকালে পড়া একটা কেীতুক মনে পড়লো, এক ছেলে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়ে এসেছিল, "লন্ডন আমেরিকার রাজধানী", বাড়ী এসে দেখলো সবনার্শ!! লন্ডন তো আমেরিকার রাজধানী নয়্!! সাথে সাথে মাগরিবের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কেঁদে কেদেঁ দোয়া করতে লাগলো আর মাকেও বললো দোয়া করতে "হে আল্লাহ, আজ রাতের মধ্যে লন্ডনকে আমেরিকার রাজধানী বানিয়ে দাও।" এটাই হলো আল্লামা ইকবালের শিকওয়া কবিতার শিক্ষা, এবং ইবরাহীম ইবনে আদহামের বক্তব্য "দোয়া কেন কবুল হয় না"।
বিষয়: বিবিধ
১৯৭৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শিকওয়া তো মানুষের প্রতিই অভিযোগ। আল্লামা ইকবাল এই বিভ্রান্ত মুসলিম সমাজের সেই অভিযোগগুলিই দেখিয়েছেন।
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি উন্নত দেশেই ধর্ম এবং নিজস্ব সংস্কৃতিতে খুব সম্মান করা হয়। আমি এর আগে এক আর্টিকেলে বিস্তারিত লিখেছিলাম যে, ধর্ম কিভাবে উন্নতি দেশগুলোতে প্রথিত আছে। আমাদের দেশে পাছায় ছড় নাই এ ধরনের কিছু পরজীবি বুদ্ধিজীবি নামধারি দালাল মাদ্রাসার নাম শুনলে গা জ্বালা ধরে। অথচ এই গর্ধব বেকুব রা যে পাশ্চাত্যে পা চাটে অথচ জানে না, আমেরিকা ইংল্যান্ডে কত হাজার হাজার ক্যাথলিক এবং ইহুদী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ওয়াশিংটন ডি.সি.র কেন্দ্র বিন্দু হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটল হিলস থেকে মাত্র কয়েক শ' বা কয়েক হাজার গজ দুরেই জর্জ টাউন ইউনিভার্সিটি যেটা একটি ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি।
এদেশের প্রেসিডেন্টরা, কংগ্রেসম্যানর শপথ নেয় বাইবেলে হাত দিয়ে, মুসলিম কংগ্রেসম্যানরা কোরআনে হাত দিয়ে শপথ নেয়।
বৃটেনের আপার হাউজ অলিখিতভাবে ধর্ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কোথায় নাই ধর্ম। তাসলিমা নাসরিনদের মত যাদের নিজের পরিচয় নাই, যাদের পরিবারে শান্তি নাই তারা পাশ্চাত্যের লারে লাপ্পাদের দু'চার ডলার পেয়েই ইসলামের বিরুদ্ধে অহেতুক বিষোদগার করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন