সামথিং মাস্ট বি টেরিবলি রং
লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ২৯ মে, ২০১৪, ০৮:২০:১৪ সকাল
জাস্ট দু তিন দিন আগের একটি লেখার ভুমিকায় রাগে দুঃখে আমার বমি আসার কথা বলেছিলাম। সেদিন রাত ২টা বেজে গিয়েছিল বলে ঘুমোতে চলে গেলাম। দিনের পর দিন রাতের পর রাতের মতই সেই ঘৃণা, ক্ষোভ আর বমি বমি ভাব নিয়ে সময় কাটাচ্ছি। অনেকবার ভেবেছি, কিছু একটা লেখা দরকার, কিছু একটা বলা দরকার। কিন্তু কি বলবো, কাকে বলবো। ঐযে কে যেন বলেছিল, কিছু বললেই আপনি হয়তো রাজাকার নয়তো নাস্তিক।
আমার এই ঘৃণা আর বমি ভাবের মধ্যে আরেকটি খবর চোখে পড়লো। শেখ হাসিনা নামে সেই মহিলা জাপান থেকে এসে কোথায় কি যেন বলেছে, তার ভাষা, এবং বাংলাদেশে গুম হত্যা খুন সম্পর্কে মহিলা কথা শুনে আমার গা টা গির গির করে উঠলো।
আসলে আমার মনে হয়, কোন মানুষ এই মহিলার অসংলগ্ন কথা শুনে বা বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে যদি গা গিরগির না করে তাহলে তার মনুষ্যত্ব নিয়ে,তার পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের কার্যকারিতা আমার সন্দেহ আছে।
তবে বড় ধরনের একটা সমস্যা আছে অন্য জায়গায়। একটা সমস্যা হলো, সবাই অনুভুতিহীন। সবই যেন ঠিকঠাক আছে। দু'চার জন কথা বলে বা বলবে একান্ত নিজস্ব পরিসরে। জামাতকে এখন ঠিকমত একহাত নিচ্ছে, আর সবাই চুপ চুাপ, শুধু কি চুপ চাপ, অনেকে মনে মতে খুশী দেও ঠেলা। আবার ডঃ ইউনুসকে যখন ঠেলা দিল তখনও অন্য সবাই চুপ ছিল। ডঃ ইউনুসকে নিয়ে জামাতের কোন মাথা ব্যাথা ছিল কোন দিন? তেমনি জামাত নিয়ে ডঃ ইউনুসের মাথা ব্যাথা কখনো ছিল কোদিন। শুধু জামায়াত আর ডঃ ইউনুস কেন। জামাতের এই ঠেলা খাওয়ার সময় চুপে চুপে গিয়ে চর মোনাইর কোন নেতাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন দেখুন কেমন খুশী তারা।
প্রশ্নটা তো ন্যায় অন্যায় নয়, প্রশ্নটা এসে দাঁিড়য়েছে কে আমার পক্ষের আর কে আমার বিপক্ষের।
আমার প্রচন্ড ঘৃণা, গা গির গির আর বমি বমি ভাব নিয়ে আজ হঠাৎ একটা লেখা চোখে পড়লো শাহ আবদুল হান্নানের। লেখাটার সারমর্ম যদিও আমার জানা তবুও কেীতুহলবশত একনজর চোখ বুলিয়ে নিলাম, তারপর লেখা লিংক ধরে শাহ আবদুল হান্নান সাহেবে আরো কয়েকটি লেখায় চোখ বুলিয়ে নিলাম, লেখাগুলোর প্রতিপাদ্য আমার ছোটকাল থেকেই পড়া এবং একাধিকবার পড়া, এসব বিষয়ে নিজেও সীমাবদ্ধ জ্ঞান নিয়ে লিখেছি। তথাপী হান্নান সাহেবের লেখাটার উপর অনিচ্ছায় ও আবার চোখ বুলালাম। নিশ্চিত হয়ে নিলাম আমি যা ধরে নিচ্ছি বা বলতে যাচ্ছি ঠিক বলছি কিনা।
শাহ আবদুল হান্নান একজন বিদগ্ধ ব্যাক্তি, জ্ঞানী, শ্রদ্ধেয় এবং ভদ্রলোক। ইসলামপন্থী বা কারো কারো ইসলামিস্ট কিংবা জামাতী।
ব্যাক্তিগতভাবে ব্যাক্তি শাহ আবদুল হান্নানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে, তাঁর জ্ঞানের প্রতি আমার আস্থা আছে। কিন্তু সত্যি বলতে, শ্রদ্ধেয় শাহ আবদুল হান্নান সাহেবের লেখাটা দেখে বা পড়লে গিয়ে একটু তাচ্ছিল্য এসে গেছে। বিরক্ত এসেছে। স্বীকার করতে দ্ধিধা নাই, হান্নান সাহেবের লেখাটা জ্ঞানার্জনের জন্য পড়িনি।
আমি জানি, শাহ আবদুল হান্নানের মত একজন বিদগ্ধ ব্যাক্তির প্রতি আমার এ আচরণ নিঃসন্দেহে যে কোন মানুষকে ব্যাথিত করার মত।
কিন্তু ব্যাপারটা যে বুঝার সে হয়তো বুঝবে। শাহ আবদুল হান্নানের লেখাটা আমার কাছে ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দেয়ার মত মনে হয়েছে।
আজকে বিশ্ব পুড়ে মরে যাচ্ছে, সমাজতন্ত্র, পুজিঁবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষতার ক্রটি সমালোচনা করার আগে মুসলমানরা আজ মুসলমানদের সমালোচনা করা দরকার।
সামথিং মাস্ট বি টেরিবলি রং সামওয়্যার। মুসলমানরা বা ইসলামিস্টরা আজ বুঝা উচিত কোথাও মারাত্নকভাবে ভুল হয়ে যাচ্ছে, ক্রটি রয়ে গেছে।
আমি জানি কথায় কথায় আমরা ইসলামী আন্দোলনের যুগে যুগে নির্যাতিত হবার কাহিনী শোনাবো, সাহাবাদের ত্যাগের কাহিনী শোনাব , আসলেই তাই। নবীদের কাহিনী, সাহাবাদের কাহিনী কি এটাই ছিল যা আমরা শুনছি। .. শ্রদ্ধেয় শাহ আবদুল হান্নান আপনার কাছে আমার প্রশ্ন ঃ একটু গভীরভাবে চিন্তা করার সময় আসেনাই কি? ব্যাপার কেন এমন হয়ে গেল।
ৃ
বিষয়: বিবিধ
১১৫৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন