সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঃ ধর্ম নিয়ে অপ প্রচার ও আওয়ামী ডুবি

লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ০৮ জুলাই, ২০১৩, ০৫:৫২:৩০ সকাল

সর্বশেষ ৫ম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ হারার পর সত্যের পতাকা আরেকবারের মত উত্তোলিত হলো। স্বভাবতই আওয়ামী প্রেমী কারো কারো মায়াকান্না দেখা গেছে, কোন কোন সাংবাদিক লেখক এই পরাজয়কে আওয়ামী ভরাডুবি হিসেবে দেখিয়েছেন বা দেখাচ্ছেন। সত্যি কেউ এটাকে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হিসেবে দেখালে আমার হাসি পায়, বিরক্তি আসে। কিসের ভরাডুবি হলো আওয়ামী লীগের। আওয়ামী এদেশের মাটিতে যে জলজ্যান্ত অপকর্ম করেছে তার জন্য এখনো একই কুখ্যাত খুনি, বাটপাররা যে বাংলাদেশের মাটিতে আছে এবং এত ভোট পেয়ে যাচ্ছে সেটাই আশ্চর্যের বিষয়।

সাম্প্রতিক কালের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী এই যতকিঞ্চিত পরিণতি দেখে অনেকে হায় আফসোসের অংশ হিসেবে বলছেন যে, এই নির্বাচনে ধর্মকে ব্যাবহার করা হয়েছে। যারা এমন কথা বলেন আমি ঘৃণা ভরে তাদের সে মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করি। কারো মধ্যে সামান্যতম লজ্জা থাকলে এমন কথা বলতে পারেনা। কি হয়েছিল ৫ই মে। হেফাজতের কর্মীরা লাল রং মেখে শুয়ে ছিল?! ছি ছি ছি.., কোন সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারে? আপনি আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন, লক্ষ লক্ষ মানুষকে রাতের আঁধারে বাতি নিভিয়ে হাজার হাজার সেনা বাহিনী দিয়ে, বুলেট চালিয়ে চুমু দিয়েছিলেন? ভালবাসা দিয়েছিলেন। আর সংসদে এসে বলছেন, হেফাজতের কর্মীরা গায়ে রং মেখে শুয়ে ছিল।

বাংলাদেশের কোন কোন গ্রাম দেশে একটি প্রবাদ আছে যে, রাস্তার পাশে কেউ যদি নেংটা হয়ে পায়খানা করে, তখন বলা হয়, যে করলো তার শরম তো নাই, এবং যে দেখলো এটা তারই বেশী শরম।

৫ই মে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে কেউ যদি গায়ে রং মেখে শুয়ে থাকা বলে তাহলে যে বলেছে তার শরম যদি নাও থাকে যারা শুনেছেন তাদের হায়া শরম থাকা উচিত ছিল। হ্যাঁ, আমার ঘৃণা হলো তাদের প্রতি যারা এমন বেহায়া কথা শুনেও যাদের গায়ে ঘৃণা জন্মায়নি। থু থু ফেলতে মন চায়নি। হায় হায় হায়, সর্বনাশ মানুষের জীবন নিয়ে কি অসভ্য মশকারি।

হেফাজতের সাথে এমন অসভ্য আচরণ করেছেন এখন হেফাজত সেটা বলতেও পারবেনা!!! বললে বলবেন যে, ধর্মের অপপ্রচার হচ্ছে।

কোন কোন লেখক আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রতি করুণা দেখিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের অপকর্মের বলি হতে হয়েছে এই ভাল প্রার্থীদের। সেসব লেখকের ঐসব মন্তব্যকে আমি বোকার স্বর্গে বাস বলবো । অন্যায় যে করে এবং অন্যায় যে সহে উভয়েই তো সম অপরাধী। আওয়ামী লীগের এত অপকর্মের পর ভাল প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয় কিভাবে। কমপক্ষে সে প্রার্থীরা প্রকাশ্যে বলা উচিত যে, তারা আওয়ামী লীগের অপকর্মের ভার বইবে না।

২০০৮ সালে আমেরিকার নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জন ম্যাককেইনকে বুশের অপকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ম্যাক কেইন স্পষ্টই বলেছিলেন যে, "আই এম নট, বুশ" আমি বুশ নই এবং তার দায় দায়িত্ব আমি বইবো না। এবং ২০০৮ সালে কোন ক্যােম্পেইনেই শেষ পর্য্্যন্ত অংশ নেয়নি। আমি মনে করি আগামী দিনে কোন প্রার্থী আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের অপকর্ম সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File