জামায়াতকে বাইরে রেখে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র জনগণ বাস্তবায়ন হতে দেবে না......।
লিখেছেন লিখেছেন সাগর কন্যা ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:০০:১৫ রাত
তথাকথিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগের মিথ্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্ইাব্যুনালে সাজা প্রাপ্তদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ রাখার বিধান করে মন্ত্রীসভায় ভোটার তালিকা আইন ২০১৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন করে সরকার একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েমের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ যে ষড়যন্ত্র করছে তারই অংশ হিসেবে একদলীয় নির্বাচনের হীন পন্থা অবলম্বন করেছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী দল হিসেবে জামায়াত যাতে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে জন্য তারা জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পদক্ষেপ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত রায়ের বাহানায় ভোটার তালিকা আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১২২ ধারা অনুযায়ী ভোটার তালিকাভুক্ত হবার আইনগত অধিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের নাগরিক, যারা ১৮ বছর বয়সের অধিকারী তারা ভোটার তালিকাভুক্ত হবার অধিকার সংরক্ষণ করেন।’ বাংলাদেশের কোন নাগরিককে ভোটার তালিকার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার একদিকে ব্যক্তির মৌলিক অধিকার খর্ব করেছে, অপরদিকে মানবাধিকার লংঘন ও সংবিধানকে পদদলিত করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করা হয়েছে। সুতরাং ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত নয়। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে। সুতরাং এটি একটি চলমান বিচার প্রক্রিয়া। এ বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় কাউকে দোষী হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
জামায়াত নেতৃবৃন্দের ওপর অব্যাহত জুলুম, নির্যাতনে তাদের প্রতি জনগণের সহানুভূতি, ভালোবাসা ও সমর্থন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা নিজ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী সরকার দিশেহারা হয়ে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ রাখার বে-আইনী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তারা সরকারের প্রত্যাশা পূরণের জন্য বিভিন্ন কর্মকা- পরিচালনা করছে। এই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জামায়াতকে বাইরে রেখে নির্বাচন করার যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জনগণ তা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
প্রধানমন্ত্রী ২ সেপ্টেম্বর সচিবগণের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বর্তমান সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ বহাল রেখে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন করার যে খায়েস ব্যক্ত করেছেন, জনগণ তা ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এ দিবাস্বপ্ন কখনো সফল হতে দেবে না। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। সরকার ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় আসার যে চক্রান্ত করছে জনগণ তা প্রতিহত করবে।
সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী মন্ত্রিপরিষদের ভোটার তালিকা আইনের খসড়া অনুমোদনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও অবিলম্বে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বাহাল করে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাএশিবিরের নেতা কর্মীরা জেনারেলেরমত ভূমিকা নিয়ে রাজপথে থাকবে .............
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন