এই পর্বে শুধু শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহতারাম দেলাওয়ার ভাইয়ের ব্যপারে বলব ।
লিখেছেন লিখেছেন সাগর কন্যা ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৫:০৫:২০ বিকাল
কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার ভাইয়ের সাথে একই কারাগারে (কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার) ছিলাম ১ মাস দশ দিন । তার মধ্যে একদিন প্রিজন ভ্যানে তাঁর সাথে কোর্টে যাই । প্রায় দেড় ঘন্টা আমার ঘাড়ে ভর দিয়ে কোর্টে গিয়েছেন তিনি । হুইল চেয়ারে করেই এদিক ওদিক যেতে হয় । ঐদিন অনেক কথাবার্তাই বলেছি তাঁর সাথে । সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আতিক ভাই ।
আমিঃ ভাই, আপনাকে কীভাবে ধরল?
দেলাওয়ার ভাইঃ মোবাইল ট্র্যাকিং করে
আমিঃ কেন্দ্রের সব দায়িত্বশীলকেই কী এভাবে ধরা হয়েছে?
দেলাওয়ার ভাইঃ হ্যাঁ
আমিঃ কোমর থেকে নীচে কি অনুভুতি আছে আপনার?
দেলাওয়ার ভাইঃ হ্যাঁ, তবে প্রচন্ড ব্যথা ।
.... এভাবে ঐদিন অনেক কথা হলো ।
তাঁর উপর নির্যাতন করেছে মিরপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন নামের জানোয়ারটি । পায়ের নীচে একটি ও পায়ের উপরে একটি বাঁশ দিয়ে তাঁকে শুইয়ে তাঁর উপর উঠে দুই দিক দিয়ে প্রচন্ড চাপ দেয়া হয়েছে । উরুতেও একইভাবে অত্যাচার করা হয়েছে । ফলে এক জায়গার মাংস অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে । উঠতে বসতে হেল্প লাগে । কোমর থেকে নীচের অংশটা খুবই দুর্বল । সামান্য ভরও করতে পারেন না । খুব সম্ভবতঃ তাঁর সবচেয়ে স্পর্ষকাতর জায়গায় টর্চার করা হয়েছে । হাঁটুতেও আঘাত করা হয়েছে।
জানতে পেরেছি, তাঁকে ছাত্রলীগ দিয়ে পিটানো হয়েছে ।
তিনি আমাদেরকে বেশী বেশী অধ্যয়নের নির্দেশ দিতেন । খাব্বাব, খুবাইব, বেলাল, আম্মারদের উদাহরণ টেনে বলতেনঃ সাহাবীদের তুলনায় আমাদের উপর কোন নির্যাতনই হয়নি ।
হাজতী, কয়েদী, কারারক্ষী সকলের মুখে একই নাম দেলাওয়ার ভাই, দেলাওয়ার ভাই!!
অত্যন্ত রেসপেক্ট করে প্রত্যেকে এই সীপাহসালারকে । ১লা আগস্ট আমি রিএরেষ্ট হওয়ার পর আর কিছুই জানিনা তাঁর ব্যপারে । তিনি সর্বদা হাসপাতালে থাকেন । আমাদের ভাইয়েরা বিভিন্ন রুগের অযুহাত দিয়ে হাসপাতালে গিয়ে প্রিয় দায়িত্বশীলকে এক নজর দেখে আসেন । আর উনিও সর্বদা মুখিয়ে থাকেন আমাদের সাথে কথা বলতে । ঢাকার বাহিরেও ১৮টি জেলায় তাঁর নামে মামলা আছে!
সম্ভবতঃ বর্তমানে তাঁর অবস্থার একটু উন্নতি হয়েছে । তবে স্বাস্থটা ভেঙ্গে পড়েছে । তিনি সকলের দু'আপ্রাথী।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন