অরাজনৈতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণাত্বক ফলাফল (প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ) :
লিখেছেন লিখেছেন লিয়া আজম ০৯ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৩২:০৫ সকাল
ধর্মীয় ইতিহাস ও রীতিনীতি: বাংলাদেশে পূর্বে একসময় বেশীরভাগ মানুষই সনাতন ধর্মের বসবাস করতো অর্থাৎ বর্তমান বসবাসরত বেশীরভাগ মানুষের পূর্বপুরুষরা সনাতন/হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিল এটা মানতে বা স্বীকার করতে অনেকের কষ্ট হলেও এটাই বাস্তবচিত্র। ধর্মের রূপান্তরকরণ প্রক্রিয়ায় কারও পূর্রপুরুষ আগে মুসলমান হয়েছে কেউবা পরে আবার অনেকেই এখনও হিন্দু রয়েই গেছে। ধর্মের রূপান্তরকরণ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে বর্তমানে এদেশে মুসলমানদের সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় হিন্দুরা হয়েছেন সংখ্যালঘু আর এই সংখ্যালঘুরাই অনেক দলের রাজনীতির বড় উপকরণ। আমাদের দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা খুবই সুন্দরভাবে ধর্মীয় আচার-আচরণ ও নিয়মনীতি পালন করে এবং তারা ধর্মভীরু, এদের মধ্যে কিছূ ধর্মান্ধ দেখা গেলেও এদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। কিছু সামান্য লোক আছে যারা ধর্ম নিয়ে হীন মন্তব্য করতে দেখা যায় তারা অসুস্থ চিন্তার অধিকারী এবং তারা শিক্ষিত হলেও মূর্খ। কয়েকজন মস্তিস্ক বিকৃত অসুস্থ ব্যক্তির মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে একটি গোষ্ঠী এই ইস্যুতে বিশৃংখলা সৃষ্টি তথা ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করে অপশক্তি “জামায়াত ইসলাম” কে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করা প্রত্যেক মুসলমানেরই ইমানী দায়িত্ব।
যে দেশে ৯০% এর বেশী মুসলমান সে দেশে কোন ব্যক্তি যদি ইসলাম ধর্ম তথা মহানবী(সঃ)কে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলে এমন সাহস তারা কোথা থেকে পায়? আর বাস্তবতা হলো যুগে যুগে কিছু ব্যক্তি থাকে তারা সবসময়ই ধর্মকে হেয় করে কথা বলে তারা প্রকৃতপক্ষে অসুস্থ চিন্তার অধিকারী, তারা যদি সত্যিই ইসলাম ধর্ম তথা মহানবী(সঃ)কে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলে তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
বাংলাদেশে ধর্মীয় যুদ্ধ শুরু হওয়ার মত কোন ঘটনা এখনও ঘটে নাই। কয়েকজন মস্তিস্ক বিকৃত অসুস্থ ব্যক্তির মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে একটি গোষ্ঠী এই ইস্যুতে বিশৃংখলা সৃষ্টি তথা ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করে অরাজকতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে এবং হেফাজতে ইসলাম এর নামে “জামায়াত ইসলাম” ও রাজাকারদের হেফাজত করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হোক কেননা এরাই বাংলাদেশের প্রকৃত চক্রান্তকারী।
বিষয়: রাজনীতি
১০৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন