একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের ও পেটের যোদ্ধ, ক্ষুদা নিবারনের জন্য ভিক্ষা করে। (অনুগ্রহ করে লেখাটা পড়বেন )
লিখেছেন লিখেছেন বেকার সব ০৪ জুন, ২০১৩, ০৯:০৩:৩৮ রাত
একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের ও পেটের যোদ্ধের গল্প তুলে দরলাম। মুক্তিযোদ্ধার নাম সাজিদ মিয়া, এই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কসবা উপজেলা গ্রামের নাম বলতে চায় না।আমরা গ্রামের ছেলরা সাজিদ কাকা বলেই ডাকি, সাজিদ কাকা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরে যোদ্ধ করেন, নয় মাস যোদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।
এবার মূল কথায় আসি, সাজিদ কাকার সংসারে এক ছেলে তিন মেয়ে বড় ছেলে বিয়ে করে অনেকটা ভিন্ন সংসার বড় মেয়েটা সহজ-সরল ধরনের বিয়ে হয়েছে থাকে বাবার বাড়িতে, দ্বিতীয় মেয়েটা প্রতিবন্ধি বিয়ে হয় নাই, ছোট মেয়ের বিয়ে হয়েছে থাকে স্বামীর বাড়িতে। সাজিদ কাকার বয়স হবে ৫৭-৬০ মধ্যে, অর্থনেতিক অবস্থা খুব খারাপ, দিন আনে দিন খায়। সাজিদ কাকার এই বয়সে কষ্টকর কাজ করার মত শক্তি নাই, আর কাজ না করলে পেটে খাবার আসবেনা খাবার খেতে হলে টাকার প্রয়োজন এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে থাকেন যা দিয়ে বর্তমান যুগে একদিনের বাজার হয় না। টাকা উপার্জন ও সংসার চালানোর জন্য ওপায় না পেয়ে তিনি সহজ রাস্থা বেছে নিয়েছেন তা হল ভিক্ষা করা । সাজিদ কাকা নিজের জেলা বা উপজেলায় ভিক্ষা করে না।
পাশের জেলা কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ,নরসিংদী, হবিগঞ্জ গিয়ে ভীক্ষা করে যাতে করে নিজ এলাকার মানুষ না দেখতে পায়। সাজিদ কাকা খুব সকালে বাড়ি থেকে বের হয় আর রাত হবার আগে বাড়ি ফীরে আসে। ভীক্ষা করে যা চাউল পেয়ে থাকে আসার সময় সব চাউল বাজারে বিক্রয় করে দেয় । এই ভাবে সাজিদ কাকা অনেক বছর যাবত ভিক্ষা করে আসতেছে সংসার চালানোর জন্য।
ধিরে ধিরে সাজিদ কাকার ভিক্ষা পেশা গ্রামের মানুষের কাছে ধরা পড়ে। সাজিদ কাকা কে আমরা ছেলেরা অনেক সম্মান করি। সাজিদ কাকার কাছ থেকে যোদ্ধের অনেক কথা শুনেছি কিন্তু কাকা কে ভিক্ষা পেশার কথা বলা হলে কাকা বলে আমি ভিক্ষা পেশার সাথে জরিত না সব মিথ্যা কথা।
গ্রামের মানুষ অনেক ভার বলেছে ভীক্ষা পেশা ছেড়ে দেবার জন্য। গ্রামের মানুষ নিষেদ করার পরেও তিনি মাসে ১৫ থেকে ১০ দিন ভীক্ষা করে। ভীক্ষা পেশা সাজিদ কাকার এক ধরনের নেশা হয়ে গেছে।
গ্রামের মানুষ টাকা দিয়ে সাহায্য করে তার পরে ও ভিক্ষা পেশা ছাড়ে ন। এই ভাবে সাজিদ কাকার জীবন চলতেছে।
আরেকটা কথা বলতে চায়, সাজিদ কাকা অনেক সময় রাজাকারের দালান বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষা করেছেন।
সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলতে চায়
আপনাদের আসে পাশে বা আপনার গ্রামে এবং পাশের গ্রামে এই রকম সাজিদ কাকা অনেক। অনুগ্রহ করে এই রকম সাজিদ কাকার দিকে আপনার হাত বাড়িয়ে ধীন। আর যেন এই রকম মুক্তিযোদ্ধা সাজিদ কাকা বাংলাদেশে ভীক্ষা না করে। আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে রিকসা চালিয়ে সংসার চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের কারনে আমরা আজ মুখ খুলে বলতে পারি, আমরা স্বাধীন বাংলার মানুষ। আসুন সবাই মিলে এই রকম গরীব মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাড়াই।
আপনার বা আমার সহায়তায় যেন এই রকম মুক্তিযোদ্ধারা স্বস্তিতে দেহত্যাগ করতে পারেন।
(গল্পটা সত্য ঘটনা তাই এখানে তুলে ধরলাম)
গল্পটা অনেক বড়ছিল বড়গল্প পাঠক পড়তে চাইনা তাই ছোট করে লেখেছি।
বানান অশুদ্ধ হলে অনুগ্রহ করে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন
বিষয়: বিবিধ
২৬৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন