আজ সকালে চট্রগ্রামের সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন।
লিখেছেন লিখেছেন বেকার সব ০৭ মে, ২০১৩, ০১:৫৩:৩৫ দুপুর
সারাদেশে রেলপথজুড়ে নাশকতার ধারাবাহিকতায় এবার চট্টগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের পাঁচটি বগি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকাল ৭টায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসার পর ‘দুর্বৃত্তরা’ পাঁচটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, তাদের দুটি ইউনিটের ছয়টি গাড়ি এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নি নির্বাপক কর্মীদের ধারণা, বগিগুলোতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। পেট্রোল রাখা হয়েছিল এমন একটি প্লাস্টিকের বোতলও ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে বলে জসিম উদ্দিন জানান।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক বলেন, “নাশকাতা সৃষ্টির জন্যই ট্রেনে এভাবে আগুন দেয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। পুলিশ স্টেশন থেকে সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছে।”
তিনি জানান, সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল হয়নি। পুড়ে যাওয়া বগিগুলো বাদ দিয়ে নতুন দুটি বগি সংযুক্ত করে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন ছেড়ে গেছে।
সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ১৮টি বগির মধ্যে যে পাঁচটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তার দুটি ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এ ঘটনায় রেলের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মহাব্যবস্থাপক জানান।
তোফাজ্জল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার মনজুর আলম এবং প্রহরী জসিম উদ্দিন ও রায়হান আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পর থেকেই সারাদেশে রেলপথজুড়ে নাশকতা শুরু হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া ফিসপ্লেট ও স্লিপার খুলে ফেলায় বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন।
পুলিশ বলছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতাকারী জামায়াত-শিবির এবং তাদের শরিকরাই এসব ঘটনার পেছনে জড়িত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রেলপথের নিরাপত্তা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রথম এখানে
বিষয়: বিবিধ
১১০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন