আসুন দেখি কী বিশ্বাস করতে হবে নিজের সম্পর্কে

লিখেছেন লিখেছেন বেকার সব ২৫ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:২৭:৩১ রাত

আসুন দেখি কী বিশ্বাস করতে হবে নিজের সম্পর্কে

১. প্রত্যেক মানুষ প্রায় অসীম শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাই মস্তিষ্কের মাত্র দশভাগ, তথা শরীরিক শক্তির ১০% ব্যবহার করলেই বদলে দিতে পারে পুরো পৃথিবীর ইতিহাস।

২. মস্তিষ্ক/স্মৃতি/নার্ভের একক- নিউরন সৃষ্টির পর মুহূর্ত থেকে আমার জীবনের শেষ বিন্দু পর্যন্ত আমার পঞ্চ ইন্দ্রিয় চোখ কান নাক জিহ্বা ও ত্বক যত তথ্য পেয়েছে, তার সবই অবিকৃত সংরক্ষিত আছে আমার ভিতরে- অর্থাৎ, আমি সবই মনে রাখি। শুধু খুঁজে নিতে হয়। স্মৃতিভ্রষ্টতা, মুখস্ত করা ও অভ্যস্ত হওয়ার অভিশাপ থেকে আমি মুক্ত।

৩. আমার শরীরের প্রতিটা কণা আমার আদেশে সাড়া দেয়। হৃদপিন্ড অসাড় (অনিয়ন্ত্রণযোগ্য) নয়, তেমনি পাকস্থলীর পেপটিক জু্স, লালাগ্রন্থির লালা থেকে শুরু করে বোনম্যারোর অণুচক্রিকা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটা অঙ্গের, প্রতিটা তরলের নির্গমন এমনকি উৎপাদন আমারই নির্দেশনার অধীন। তাই আমি চাইলে পাকস্থলীতে সিক্রেশন হবে, না চাইলে নয়। বাত-রক্তশূণ্যতা-হাইপারটেনশন-গ্যাস্ট্রিক থেকে শুরু করে প্রতিটা অঙ্গ ও তরলনির্ভর অসামঞ্জস্য তাই প্রত্যক্ষভাবে আমি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

৪. আমার শরীর ত্রিমাত্রিক, কিন্তু কোন একভাবে মন চতুর্মাত্রিক। এ কারণেই, ভবিষ্যতে ঘটবে এমন কিছু ঘটনা আমি অতীতে জেনে বসে আছি। প্রত্যেকে, জীবনের কোন না কোন সময়ে, যার কোন ব্যাখ্যা নেই।

৫. শব্দের/তথ্যের/প্রণোদনার শক্তি অসীম। যে শব্দের আলোড়ন আমার ভিতরে বেশি পড়ে, আমার মন সেভাবেই গড়ে ওঠে।

৬. চারপাশ আমার ভিতরে যে বাস্তবতা ও বিশ্বাস পুঁতে দিয়েছে, তা চারপাশের অবদান। আমি নিজে বেছে নিতে পারি, কোন শব্দ ও অনুভূতি আমার কাছে বেশি আসবে। এভাবে নিজের বাস্তবতা ও বিশ্বাস আমি নিজেই বদলে নিতে পারি।

৭. নিউট্রিনো নন-রিঅ্যাক্টিভ, তাই সর্বভেদী। ইউরেনিয়াম সুপার রিঅ্যাক্টিভ, তাই আত্মধ্বংসী। আমার মানসিক ও শারীরিক প্রো-অ্যাক্টিভিটি নির্ধারণ করবে আমার ভবিষ্যত অগ্রগতিকে ও অগ্রগতির হারকে।

৮. আমার অবচেতন মন ও অচেতন মন আমার চালক। সামান্য প্রচেষ্টায় বিগত জীবনের সম্পূর্ণ অবচেতন ও অচেতন মনের গঠনতন্ত্রকে বদলে দিতে পারি আমূলভাবে।

৯. আমি কী পারি না, সেটা খুঁজে বের করা আমার পক্ষে অসম্ভব, কী পারি, তাও।

১০. আমি প্রচলিত যে কোন ধর্মবিশ্বাসী হয়ে থাকলে, অসীম মানসিক ও আত্মিক শক্তিরও অধিকারী। কারণ মুসলিম-খ্রিস্টান-ইহুদি-হিন্দু-বৌদ্ধ হয়ে থাকলে আমি তাঁর ফুঁৎকার ও প্রতিনিধি। প্রতিনিধির অধিকার থাকে প্রভুর রাজত্বজুড়ে। মহান স্রষ্টার প্রভুত্ব যতদূর বিস্তৃত, আমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ততদূর ছড়ানো।

১১. আমি যতদিন খুশি ততদিন বাঁচতে পারি, যতটুকু চাই ততটুকু সুস্থ থাকতে পারি, যতটা খুশি ততটা কাজ করতে পারি- পরিবর্তিত করতে পারি যা খুশি- এটাই আমার, মানুষের পরিচয়।

বিষয়: বিবিধ

১১৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File