মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৮ বছরের এক কিশোরকে মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে।
লিখেছেন লিখেছেন সামছুল ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৫৫:৫০ সন্ধ্যা
আমি জামাত-শিবিরের নেতা বা কর্মী কিছুই নই। শুধু বিবেকের তাড়নায় এই লেখাটা লিখতে বাধ্য হচ্ছি। এমন একটা সংগঠনের নেতাকে আজ ধর্ষনের অভিযোগে ফাসি দেয়া হচ্ছে- স্বাধীনতার পর থেকে গত ৪৪ বছরে যেই সংগঠনের একজন নেতা-কর্মীকেও ধর্ষনে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়নি। সম্ভবত বাংলাদেশে জামাত-শিবিরই একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের বিরুদ্ধে গত ৪৪ বছরে একটা ধর্ষনেরও রেকর্ড নাই। ছাত্রলীগে আমরা ধর্ষক দেখেছি, ছাত্রদলে ধর্ষক দেখেছি, চুনোপুটি দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যেও প্রচুর ধর্ষক দেখেছি। কিন্তু জামাত-শিবিরের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর মধ্যে এমন একজনও নেই যার বিরুদ্ধে সামান্য ইভ টিজিংয়ের অভিযোগও কেউ প্রমান করতে পেরেছে। এমন একটা সংগঠনের শীর্ষ একজন নেতার বিরুদ্ধে ৪৫ বছরের পুরোনো একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে!! এটা কি বাস্তবসম্মত? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? আমার মনে হয় এদেশের হিন্দুরাও এটা বিশ্বাস করেনা, শুধুমাত্র মুসলমানদের প্রতি চিরাচরিত প্রতিহিংসা থেকে তারা কামারুজ্জামান বিচার চায়। প্রকৃতপক্ষে তারাও জানে কামারুজ্জামান প্রতিহিংসার শিকার একজন নিরপরাধ ব্যক্তি। কতটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকলে এভাবে একজন মানুষকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো যায়? কতটা বিবেক-বর্জিত হলে এটা সম্ভব?
বিদায়ের ক্ষণে কামারুজ্জামান আজ বলেছেন-
"আল্লাহ ছাড়া আমি কারও কাছেই প্রাণভিক্ষা চাবোনা। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৮ বছরের এক কিশোরকে মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীসহ যারা এই বিচারকার্যের সঙ্গে জড়িত এবং যারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন, তাদের বিচারের ভার আল্লার ওপর ছেড়ে দিলাম"
প্রশ্ন হল- এই অন্যায়ের বিচার কি দুনিয়াতে হবে? নাকি ন্যায়বিচারের জন্য কামারুজ্জামানের পরিবারকে পরকাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে? যারা সাঈদী-কামারুজ্জামান-কাদের মোল্লাদেরকে সাজানো মামলায় ফাসালো তারা কি জানে না- দুনিয়ার জীবনের পরেও আরেকটা জীবন আছে? নাকি তারা পরকালে বিশ্বাসী নয়?
বিষয়: বিবিধ
৯৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইনশা আল্লাহ সত্যের বিজয় হবেই হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন