হায় ! আমি একি করলাম না জেনে না শুনে এই নিরপরাধ মানুষগুলো কে গালি দিলাম।
লিখেছেন লিখেছেন ইকবাল আহমদ সিদ্দিকী ০৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:২৭:৩৯ সকাল
রাসেল প্রগতিশীল পরিবারের একমাত্র আদরের সন্তান।
সেই ছোটবেলা থেকেই তার বাপ দাদার কাছে শুনে আসছে জামায়াত স্বাধীনতা বিরুধী যোদ্ধাপরাধী,রাজাকার,আলবদর ইত্যাদি ইত্যাদি....
রাসেল মনে প্রানে জামায়াত শিবির কে ঘৃনা করত।সে চাইতো বাংলার মাটিতে এই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি হোক।যাহাতে এই জাতি কলংকমুক্ত হয়।
এই আওয়ামী সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হাতে নিল তখন রাসেলের খুসি দেখে কে।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে ফাসি হবে এটাইতো সময়ের দাবি।
বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল যেহেতু সে এ বিষয়ে ইন্টারেস্টেড সার্বক্ষণিক খবর রাখতে শুরু করল।
হঠাৎ স্কাইপিকেলেংকারি ফাস হল রাসেলের মনে সন্দেহ সংশয় শুরু হল বিষয়টা কি সে খতিয়ে দেখতে শুরু করল।
কাদের মোল্লার রায় আসল কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল।সাঈদী সাহেবের রায় আসল দেলওয়ার হুসেন আর দিলু শিকদার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল।এদিকে স্বাধীনতার সময় কামারুজ্জামান এর বয়স ১৭ তিনি কিভাবে এতো ধর্ষণ অপরাধ করেন।এসব নানা বিষয়ে তার মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হল।এদিকে ট্রাইবুনালের মান নিয়েও সন্দেহ সংশয় তার চুখে ধরা পড়ল।
রায় ঘোষনা শুরু হল।সারাদেশব্যপী শুরু হল আন্দোলন।এরকম বিক্ষোভ আর গন আন্দোলন রাসেল কখনই দেখেনি।সারা দেশ অচল চারিদিকে লাশের সারি আহতের আর্তচিৎকার।
পুলিশের গুলি মোকাবেলা করে তারমতো একদল টগবগে যুবক রাজপথে।
সে অবাক হচ্ছে।
রাজাকারের ফাসির রায় অথচ সারা দেশব্যাপী এমন গন আন্দোলন রহস্য কি?রাজাকারদের মানুষ এতো ভালবাসে তাদের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয় স্ট্রেঞ্জ।
রাসেল ভাবনায় পড়ে গেল।সারা রাত নির্ঘুম পার করে দিল।তার মনে একটাই প্রশ্ন যাদের সে অপরাধী হিসাবে জানে তাদের মানুষ এতো ভালবাসে কেন।
হ্যা এর একটা উত্তর খুজে বের করতেই হবে।
রাসেল শুরু করল এই রাজাকারদের জীবন বৃত্তান্ত খুজা।স্টাডি করছে তাদের রাজনৈতিক জীবন।
হঠাৎ রাসেলের মধ্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন।সে তাদের জীবনি যতই স্টাডি করছে অবাক হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক জীবন দেখেতো সে পুরাই মুগদ্ধ।সে গল্পকাহিনী পড়ছেনাতো।
কি করে সম্ভব এই রাজাকারদের ধারা দুর্নীতিমুক্ত দুটি মন্ত্রনালয় পরিচালনা।
কি করে সম্ভব একজন রাজাকারের ধারা এরকম সুললিত কোরানের তাফসির করা।কি করে সম্ভব একজন রাজাকারের হাতে অমুসলিম মুসলিম হয়।
না তা হতে পারেনা এই মানুষগুলো আর যাই হোক এরকম ঘৃন্য অপকর্ম করতে পারেনা।
তাহলে কি এসব নাটক?এসব রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র?
তাহলে কি আমি অন্ধকারে ছিলাম?আমাকে ভুল বুঝানো হয়েছে?
হায় আমি একিকরলাম না জেনে না শুনে এই নিরপারাধ মানুষগুলো কে গালি দিলাম।
রাসেল চরম হতাসায় ভুগছে।সে তার এ ভুলেত প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়।কিন্তু কিভাবে?
হঠাৎ রাসেলের কনে বাহির থেকে আওয়াজ আসল-
নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকাবার।
সাঈদীর মুক্তি চাই-মুক্তি চাই দিতে হবে।
জেলের তালা ভাংব নিজামি কে আনব।
রাসেল এক দৌড়ে মিছিলের মধ্যে ঢুকে গেল এবং মন প্রান উজাড় করে স্লগান দিতে থাকল।
সাঈদীর মুক্তি চাই.......
নিজামির মুক্তি চাই......
"সত্যের জয়"
--আবু তালহা
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইর।
নিজামির মুক্তি চাই.....। @ মামুন ভাইয়ের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই" ভালো লাগা রেখে গেলাম।"
জাজাকাল্লাহু খাইর। অনেক ধন্যবাদ@ ইকবাল আহমদ সিদ্দিকী ভাই, অনেক ধন্যবাদ@ মামুনভাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন