নাস্তিক-মুরতাদরা জনতার থুথুতে ভেসে যাবে :সিলেটে হেফাজতের মহা-সমাবেশ

লিখেছেন লিখেছেন ইকবাল আহমদ সিদ্দিকী ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:০৬:৪৯ রাত

হেফাজতে ইসলামের দাবীকৃত ১৩ দফা নারীর স্বাধীনতা বিরোধী নয়। এ দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর আত্মসম্মান বাড়বে। অসম্মানজনক কাজ থেকে নারীকে বিরত রাখবে। ইভ-টিজিং বন্ধ হবে। কিন্তু একটি মহল এর অপব্যখ্যা দিয়ে নারীদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। দ্রুত হেফাজতে ইসলামের দাবীকৃত ১৩দফা সংসদে পাশ এবং নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন চলবে।’

শনিবার সিলেটে হেফাজতে ইসলামের শানে রাসুল মহা-সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

লক্ষ জনতার সমাগমে শনিবার কানায় কানায় ভরে উঠে সিলেট নগরীর প্রাণ কেন্দ্র ক্বিনব্রীজ থেকে সিটি পয়েন্ট হয়ে ওসমানী শিশু পার্ক পর্যন্ত। অপরদিকে কোর্ট পয়েন্ট থেকে নগরীর জিন্দাবাজার ছাড়িয়ে যায় জনতার ঢল। কোথাও তিল ধারণে জায়গা ছিলনা। হেফাজতের এ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরী মহা-সমাবেশের নগরীতে পরিণত হয়।

বেলা ২টা থেকে মহা-সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল ১১টা থেকেই সিলেটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অযুত ধারায় জনতার ঢল নামে নগরীর সিটি পয়েন্টে হেফাজতের মহা-সমাবেশস্থলে। দুপুরে জনতার উপস্থিতি লক্ষের কোটা ছাড়িয়ে যায়। আছরের আগ পর্যন্ত সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বেলা সাড়ে ৪টা থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুরু হয়। সন্ধ্যায় মাগরিবের নমাজের মধ্য দিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ থেকে আসার পথে হেফাজত কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। লংমার্চে যেতে পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের সাথে ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সরকার। তবে এবার হেফাজত নেতাকর্মীদের উপর হামলা হলে বাংলার ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

শাহবাগি ডা. ইমরান সরকার নিজেকে নাস্তিক নয়- বলে দাবির প্রেৰিতে তিনি বলেন, ‘সে নাস্তিকদের দালাল ও দোষর। আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ‘হেফাজত লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে’- এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, হেফাজত নেতাকর্মীরা কোথাও পালায়নি। আজকের মহা-সমাবেশ এর স্বাৰী। বরং সরকার লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফি সম্পর্কে নাস্তিক শাহরীয়ার কবীর’র কু’মন্তব্য ও চরম বেয়াদবি করেছে উলেৱখ করে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আলৱামা আহমদ শফির সাথে চরম বেয়াদবি করেছে। এর খেসারত দিতে হবে। তবে এবার বেয়াদবি কেন এখন কেউ যদি উনার দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে তাকায়, তবে তৌহিদী জনতা তার চোখ তুলে ফেলবে।’

আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহামানের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, তিনি শুধু একজন কলম সৈনিক-ই নন বরং তিনি একজন মুজাহিদ। মাহমুদুর রহামান হকের পতাকাবাহী উল্লেখ করে তিনি বলেন- ‘আজকের এই মহা-সমাবেশ তার মুক্তির দাবি করছে।’

সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা আনতে চায় না তার আবু লাহাবের মতো বেঈমান। তিনি জামায়াত-শিবিরের সাথে হেফাজতের কোন সম্পর্ক নেই জানিয়ে ভিত্তিহীন এমন অভিযোগের কোন প্রমাণ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের সাথে সয়ং আল্লাহ রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সমাবেশে বক্তৃতাকালে প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাঘের লেজ দিয়ে চুলকাচ্ছে। নবীর দুশমনদের ফাঁসি ছাড়া আর কিছু মানি না।’ লংমার্চে দেশের ১৬ কোটি জনতা উপস্থিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে স্বশরীরে অনেকে মনে এ লংমার্চের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।’

‘১০ জনে মধ্যে ৩জন পাগল হলে তার সাথে উপমা হয় না’- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ওই নাস্তিক-মুরতাদরা জনতার হেফাজতে ইসলামের দাবীকৃত ১৩ দফা নারীর স্বাধীনতা বিরোধী নয়। এ দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর আত্মসম্মান বাড়বে। অসম্মানজনক কাজ থেকে নারীকে বিরত রাখবে। ইভ-টিজিং বন্ধ হবে। কিন্তু একটি মহল এর অপব্যখ্যা দিয়ে নারীদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। দ্রুত হেফাজতে ইসলামের দাবীকৃত ১৩দফা সংসদে পাশ এবং নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন চলবে।’

শনিবার সিলেটে হেফাজতে ইসলামের শানে রাসুল মহা-সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

লক্ষ জনতার সমাগমে শনিবার কানায় কানায় ভরে উঠে সিলেট নগরীর প্রাণ কেন্দ্র ক্বিনব্রীজ থেকে সিটি পয়েন্ট হয়ে ওসমানী শিশু পার্ক পর্যন্ত। অপরদিকে কোর্ট পয়েন্ট থেকে নগরীর জিন্দাবাজার ছাড়িয়ে যায় জনতার ঢল। কোথাও তিল ধারণে জায়গা ছিলনা। হেফাজতের এ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরী মহা-সমাবেশের নগরীতে পরিণত হয়।

বেলা ২টা থেকে মহা-সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল ১১টা থেকেই সিলেটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অযুত ধারায় জনতার ঢল নামে নগরীর সিটি পয়েন্টে হেফাজতের মহা-সমাবেশস্থলে। দুপুরে জনতার উপস্থিতি লক্ষের কোটা ছাড়িয়ে যায়। আছরের আগ পর্যন্ত সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বেলা সাড়ে ৪টা থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুরু হয়। সন্ধ্যায় মাগরিবের নমাজের মধ্য দিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ থেকে আসার পথে হেফাজত কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। লংমার্চে যেতে পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের সাথে ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সরকার। তবে এবার হেফাজত নেতাকর্মীদের উপর হামলা হলে বাংলার ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

শাহবাগি ডা. ইমরান সরকার নিজেকে নাস্তিক নয়- বলে দাবির প্রেৰিতে তিনি বলেন, ‘সে নাস্তিকদের দালাল ও দোষর। আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ‘হেফাজত লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে’- এমন বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, হেফাজত নেতাকর্মীরা কোথাও পালায়নি। আজকের মহা-সমাবেশ এর স্বাৰী। বরং সরকার লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফি সম্পর্কে নাস্তিক শাহরীয়ার কবীর’র কু’মন্তব্য ও চরম বেয়াদবি করেছে উলেৱখ করে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আলৱামা আহমদ শফির সাথে চরম বেয়াদবি করেছে। এর খেসারত দিতে হবে। তবে এবার বেয়াদবি কেন এখন কেউ যদি উনার দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে তাকায়, তবে তৌহিদী জনতা তার চোখ তুলে ফেলবে।’

আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহামানের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, তিনি শুধু একজন কলম সৈনিক-ই নন বরং তিনি একজন মুজাহিদ। মাহমুদুর রহামান হকের পতাকাবাহী উল্লেখ করে তিনি বলেন- ‘আজকের এই মহা-সমাবেশ তার মুক্তির দাবি করছে।’

সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা আনতে চায় না তার আবু লাহাবের মতো বেঈমান। তিনি জামায়াত-শিবিরের সাথে হেফাজতের কোন সম্পর্ক নেই জানিয়ে ভিত্তিহীন এমন অভিযোগের কোন প্রমাণ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের সাথে সয়ং আল্লাহ রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সমাবেশে বক্তৃতাকালে প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাঘের লেজ দিয়ে চুলকাচ্ছে। নবীর দুশমনদের ফাঁসি ছাড়া আর কিছু মানি না।’ লংমার্চে দেশের ১৬ কোটি জনতা উপস্থিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে স্বশরীরে অনেকে মনে এ লংমার্চের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।’

‘১০ জনে মধ্যে ৩জন পাগল হলে তার সাথে উপমা হয় না’- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ওই নাস্তিক-মুরতাদরা জনতার থুথুতে ভেসে যাবে।





বিষয়: বিবিধ

১২০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File