দায়িত্ববান ‘মা’
লিখেছেন লিখেছেন বড় ভাইয়া ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:২৯:২১ রাত
‘মা’, আমার মা। মা’কে নিয়ে পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত গল্প, কবিতা, উপন্যাস ইত্যাদি রচনা, আলোচনা চলছে। চলবে পৃথিবীর অন্ত পর্যন্ত। মা নিয়ে আপনি আমি সবারই অনুভূতি আছে। লেখা আহ্বান পেয়ে কোনটা নিয়ে লিখব তা ঠিক করতেই হিমশিম খাচ্ছি। অবশেষে ফিরেগেলাম স্কুল জীবনে।
তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি। একদিন স্কুল ছুটি ছিল। দুপুরে খেতে গেলাম। আমার ছোট ভাই, আম্মু আর দাদু খেতে বসেছেন। দাদু বয়স্ক হওয়াতে আম্মুই খাওয়া পরিবেশন করছেন। ঘরে নামাজ ফরজ হওয়া মানুষ ঐ দাদু আর আম্মুই। আমার উপর ফরজ হচ্ছে হবে এমতাবস্থা। তবে ৫ম শ্রেণী থেকেই নামাজের অভ্যাস করিয়েছে। বাড়ির আশ-পাশের দাদারা ফজরের সময় ডেকে মসজিদে নিয়ে যান। জোহর পড়ি স্কুলের মসজিদে। আসর ওয়াক্তে যখন যেখানে খেলাধুলা করি তার আশপাশে। মাগরিব সমাজের মসজিদে পড়ে ঘরে ফিরি। এশা’র সময়ও ঘর থেকে মসজিদে যাই। এই ছিল নামাজের রুটিন।
তো সে দিন স্কুল ছুটি থাকায় নিয়মিত নামাজ পড়ায় একটু ব্যাত্তয় হয়েছে। সবাই খেতে বসেছে। আজকের মত ডাইনিং টেবিল ছিল না। পাটি মেলে একটা কক্ষে আমাদের খাওয়ার আয়োজন হয়। মাঝে মাঝে পাটির পরিবর্তে পিড়ি, মোড়া ব্যবহৃত হত। আমি খেতে গেলাম। খেতে বসেছিও। কিন্তু আম্মু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- ‘নামাজ পড়েছ?’ জবাব দিলাম ‘না’। আস্তে ভাতের প্লেট টেনে নিয়ে বললেন- যাও, নামাজটা পড়ে আস।
দাদু আম্মুকে থামাতে চেয়েও পারলেন না। আমি পুকুর ঘাটে ওযু সেরে নামাজ আদায় করলাম। কিন্তু রাগ-ক্ষোভ জমাই রাখলাম। প্রকাশ করিনি তখনও। যথারীতি ছোট ভাই আর দাদু খাওয়া সেরে নিয়েছেন। আম্মু আমার জন্য অপেক্ষা করেছেন। আমি খেতে বসে দেখি আমার আম্মুও আমার জন্য তাঁর খাওয়ার সময়টা পিছিয়ে রেখেছেন। ‘মা’ তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। রাগ-ক্ষোভ কার প্রতি থাকবে?
বিষয়: Contest_mother
২১৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন