রাজাকার যতবড়ই হোকনা কেন!!!!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ কাশেম মরিচ্যা ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪১:৩৮ রাত
স্বাধীনতার স্বপক্ষ এবং বিপক্ষতার স্বরূপ ও আজকের বাস্তবতা :
কতইনা বিচিত্র আর কিইবা অসম্ভব আমাদের এই বংগের রাজনৈতিক রঙ্গশালায় । কালের বিবর্তনে নিজেদের প্রয়োজনবশতঃ রাজাকার যতবড়ই হোকনা কেন তাকে দেশপ্রেমিকের তকমা লাগিয়ে বেয়াই বানিয়ে মন্ত্রী বানিয়ে পাশে বসাতে সামান্যতম লজ্জাবোধ করিনা আমরা। আবার শুধুমাত্র দাসত্বের শৃংখলকে স্বীকার করতে না পারায় বড় বড় সেক্টর কমান্ডারকে ও রাজাকারের উপাধি নিয়ে মরতে হয়েছে। আজকে যারা যুদ্ধাপরাধির লেবেল নিয়ে ঝুলছে ফাঁসির কাষ্ঠে তারাও একদিন মুক্তিযোদ্ধের সহযোগী হয়ে শত সহস্র মিছিল মিটিং করে বেড়াতেন। কাউকে কসাই বানিয়ে ফাঁসি আবার কাউকে বেয়াই বানিয়ে মন্ত্রীত্ব উপহার আসলে কতই না বিচিত্র আমাদের এই ক্ষমতার স্বপ্ন স্বাদ । আজকের এই রাজাকারদের বানানো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থার টেবলেট গিলে খেয়েছে পানি ছাড়াই শুধুমাত্র ক্ষমতার রসগোল্লার রস আস্বাদনের জন্য ! ছিয়ানব্বইতে একটি সফল আন্দোলন করতে পেরেছিল রাজাকারদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনের কারনে । আন্দোলন সফল করে সিংহাসনে আরোহন করতে পেরেছিল বলে তখন রাজাকারগন মুক্তিযোদ্ধারচে আপনছিল। শুধুমাত্র ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইনের পক্ষে শর্তহীন নিশ্চুপ আত্বসমর্পণ করতে পারাটাই আজকের দেশপ্রেমিকের সবচেয়ে বড় ড্রেসকোড় সে যতবড় রাজাকারই হোকনা কেন তাতে আমাদের চেতানা ব্যাবসায় সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটেনা এবং এটাই স্বাধীনতার স্বপক্ষ বিপক্ষ পরিমাপক এক মাত্র যন্ত্র । আজকে যারা ঝুলে যাচ্ছে তারা যদি ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে মেনে নিয়ে দাসখত দিয়েদিতেন তাহলে ফাঁসির বদলে পুরস্কৃত হতেন নিশ্চিত ভাবে। জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে ডুগডুগি ওয়ালা মন্ত্রী গন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বিনিমেয় একসময়ের চরম শত্রু যারা চামড়ার ডুগডুগি বাজাতেন আর ট্যাংকের উপর দাড়িয়ে কোমর দুলিয়ে নাচতেন তারাও আজ মন্ত্রী সভার সদস্য সময়ের প্রয়োজনে সবচেয়ে কাছের আপনজন। আসলে ক্ষমতার প্রয়োজনে এখানে সব কিছুই সম্ভব ।
((থাকবে))
বিষয়: বিবিধ
১৩০৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন