সাভার ট্রাজেডী ওরা মরে না...মা রে !
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ কাশেম মরিচ্যা ২৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:০৬:১৬ দুপুর
কথায় আছে অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর।
বাংলাদেশ আজ কাতর না পাথর?২৪এপ্রিল সাভার ট্রাজেডী সরাসরি টেলিভিশনে যারা দেখেছে তারাই বলতে পারবে কোন শোকে বাংলাদেশ নির্বাক।এত সারিসারি লাশ দেখে কান্না আসেনি এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর।মানুষের জন্যা যে মানুষ তা গতকালই অনুধাবন করা গেছে।আটতলা বিশিষ্ট রানা প্লাজা যেভাবে ধসে পড়েছে তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই।বিস্ময় ওখানেই।২৩ এপ্রিল ঐ প্লাজায় ফাটল দেখেও সাথারণ শ্রমিকদের শোষক মালিকরা কীভাবে মৃত্যুর মুখে তাদের ঠেলে দিল?ধিক ঐ সব শোষক শ্রেণি যারা যুক যুক ধরে সাধারণ শ্রমিকদের শোষণ করে আসছে।তাদের রক্তের চড়া দামে চড়ছে দামী গাড়িতে।ঘুমাচ্ছে যারা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে।সেইসব রক্ত পিপাষুদের এখন অনুভূতি কী তা জানতে না পারলেও এতটুকু বুঝা যাচ্ছে ঐ শ্রমিকদের মৃত্যু সেই পাষান মালিকদের মৃত রিদয়ে কোন ব্যথাতুর অনুভুতি জাগবে না।ওদের চিন্তা ওদের কত কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয় ক্ষতির দিকে।যা সহজেই অনুমেয়।ওদের হৃদয়ে যদি শ্রমিকদের প্রতি সামান্য সহানুভুতি থাকতো গতকাল ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখতো।ঐ মলিক শ্রেণির কাছে শ্রমিকদের মুল্য সামান্য কীটপতঙ্গের চেয়েও কম।এই সত্যিটিই প্রমাণ করেছে শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা টাকার কুমির অসাধু মালিকরা।কিন্তূ তারা কী ভেবে দেখেছে গতকাল সাভার ট্রাজেডীতে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে।কত সন্তান হারিয়েছে তাদের মা বাবাকে কতজন হারিয়েছে তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে আর কতজন হারিয়েছে তার প্রিয় সন্তান স্বামীকে।ঐ মালিকদের চোখের জল ঝরতো তখনই যকন তাদেরই কোন প্রিয়জন ঐ শোষিত শ্রমিক শ্রেনির মত মারা পরতো।কিন্তূ না ওরা মরে না ওরা মারে।শুধু সাভার ট্রাজেডী কেন।এর আগেও বিভিন্ন দুঘর্টনায় শুধু গামেন্টস ফাক্টরিতেই মারা গেছে সহস্রাধিক শ্রমিক ।হ্যা শ্রমিকদের জীবন এমনই।আমাদের এই পুজিবাদি সমাজ ব্যবস্তায় হাজার বছর ধরে এমন পদ্ধতিয় চলে আসছে।আর কত মরলেই শোষক শ্রণিদের ধনের ভাণ্ডার পূণ হবে?আর কত রক্ত ঝরলে তাদের বিলাসীতার নোংরা খায়েশ মিটবে?আজ,শ্রমিকরা ঐ শোষকদের ধনে ভাগ বসাতে চায়না,চায় একটু নিরাপদে শ্রম দিতে।যেখানে থাকবে না দুঘর্টনা মত্যুর ভয়।কোন মালিকের কী আদৌ বোধোদয় হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন