ধবংসের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ৩০ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:০০:১৫ দুপুর
পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামায়াত তার শেষকৃত্য পালন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
কারও এর পক্ষে বিপক্ষে মতামত থাকলে জানান।
বিষয়: বিবিধ
২০৩০ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার মনে হয়, এখন সবার গা ঢাকা দিয়ে থাকার সময়। অসম যুদ্ধে নয়, বরং খুধার্ত বাঘের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সামিল।
জামায়াত নির্বাচন না করলে জোট ভেঙ্গে যাবার সমূহ আশঙ্কা, যদিও জোট থাকা-না-থাকার বাহ্যতঃ তেমন কার্যকর কিছু দেখা যায়না!
এ ছাড়াও-
নির্বাচন ও রাজপথ- দুটোর অন্ততঃ একটাতে হাজির না থাকলে বাংলাদেশের মানুষ মনে রাখেনা, মনে রাখবেনা!
তাই-
জামায়াত এখন রাজনৈতিক ময়দানে অস্তিত্ব রক্ষা অথবা দীর্ঘ মেয়াদে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা- এ দুয়ের একটি বেছে নিতে বাধ্য!
জামায়াত প্রথমটি বেছে নিয়েছে মনে হচ্ছে,
ঝুঁকি ও লাভ-ক্ষতির হিসাব উভয়টিতেই আছে!
আল্লাহতায়ালা হেফাজত করুন!
আবু সাইফ ভাইর কমেন্টটি এ পোষ্ট এর পাঠক হিসাবে আমার দৃষ্টি উন্মোচন করছে যেন।
যদি আবু সাইফ ভাই - জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্তের পেছনের কারনসমূহ যথার্থ বিশ্লেষন করে থাকেন এবং জামায়াতে ইসলামী যদি যথার্থই এমন চিন্তা-ভাবনার আলোকে উক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে - তবে সেক্ষেত্রে বলতেই হয় - আমি এ সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ার কোথাও কোরান ও হাদীসের নূন্যতম প্রয়োগ কিংবা ছিটাফোটাও দেখতে পাইনি। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি পৃথিবীর যে কোন স্যেকুলার দল, উপরোক্ত সমস্যার সমাধান কল্পে ঠিক এমন চিন্তাভাবনাই করতো এবং প্রায় এমন উপসংহারেই পৌছাতো।
যদি সুযোগ থাকতো আমি জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান জানাতাম - দয়া করে আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় কোরান ও হাদীসের রিলেভেন্ট রেফারেন্স বেশী বেশী পেশ করুন, প্রেক্ষিতকে কোরান ও হাদীসে আলোকে উপস্থাপন করুন - যাতে শুধু কর্মীই নয় - সাধারন মানুষ যেন বুঝতে পারে ঐ সিদ্ধান্ত - ইসলামিক। এবং তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শিওর হতে পারে - তারা যা করছে - তা কোরান ও সুন্নাহ অনুযায়ী রাইট হচ্ছে - এতে দুনিয়া ও আখেরাত দুটো ই প্রশান্তির হবে।
আর কোরান ও হাদীস বিহীন সুরাহ - স্যেকুলার ধ্যান ধারনা প্রসুত সিদ্ধান্তেরই নামান্তর। 'মানুষ ভুল হবার সম্ভাবনা'র ন্যায় স্বভাবতঃই সে সব সিদ্ধান্ত কখনো সঠিক কখনো বেঠিক হতে বাধ্য। কিন্তু কোরান ও হাদীসের অবতারনার কারনে ভুল হলেও তা ইসলামিক এবং ক্ষমার যোগ্য বলেই আমি জানি।
কোরআন সুন্নাহর পাশাপাশি অতীতে সাহাবায়ে কেরাম এবং ইসলামী সালতানাতগুলোর প্রতিপক্ষের সাথে রাজনৈতিক কলাকৌশল নির্ধারণে যেসব পলিসি অবলম্বন করা হতো সে সব থেকেও আজ আমরা যেন কোন শিক্ষা গ্রহণ করতে অনিহা প্রকাশ করছি।
বর্তমান অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়ার অর্থ কি? কি উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই বা স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়া?
হুদায়বিয়া সন্ধিকে সাহাবায়ে কিরাম রাঃ ইসলামের পরাজয় মনে করেছিলেন!
আবু জান্দাল রাঃকে মক্কার হাতে ফেরত দেয়াটাও তেমনি ছিল!
ডানপন্থীদের চার(২০)দলীয় জোট গঠনও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল/আছে!
রাশীদ ঘাণুসী ও এরদোগানের অনেক বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ!
সৌদি ওলামাদের কেউ কেউ আল্লামা ইউসুফ কারদাওয়ীকে কাফির বলেছেন!
এখনো অসংখ্য উলামায়ে কিরাম সূদ ও ইসলামী ব্যাংকিংএর তফাত দেখেননা!
আসলে যার যতটুকু জ্ঞান তিনি তার চেয়ে বেশী দূরের বিষয় দেখতে পারবেননা - এটাই স্বাভাবিক!!
অন্যের অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার দাবী প্রকাশ পায়- এমন ধারণাপ্রসূত মন্তব্য করা নিজের জন্যই ক্ষতিকর!
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
আপনারা যদি ধরেন যে ভোট না করলে ভার গ্রেফতারের তেমন ভয় থাকবে না এটা নিশ্চয় ভুল । এখন যে প্রতিদিন গ্রেফতার হচ্ছে নির্বাচন ছাড়া !
তাই নির্বাচন অবশ্বই করতে হবে এবং ওদেরকে জানান দিতে হবে আমরা পুরা ময়দান তোমাদের জন্য ছাড়ি নাই সময় মতো সব দেখতে পাবা
শ্রীকান্তের কথা মনে পড়ে গেল-
বন্দুক লাও সড়কী লাও.... লাও তো বটে, কিন্তু ডালিম গাছটা যে দরজার সামনেই, আর উহারই নিচে বাঘটা বসিয়া..
"সফল গণবিপ্লব সংগঠিত" বুঝি কোথাও কিনতে পাওয়া যায়???
বিএনপিকে যদি জামা্য়াত বিশ্বাস করতে পারতো তবে হয়তো নির্বাচন করতোনা! কিন্তু বিএনপির ইতিহাস জামায়াতকে সে সুযোগ দেয়না!
তাই শক্তির প্রমান দিয়েই মাঠে টিকে থাকার কথা ভাবতে জামায়াত বাধ্য হয়েছে মনে হয়!
দেশের কোন কাজে লাগল না - কথাটি সঠিক নয়!
শত বছর বেছে থেকে কি লাভ? জামায়াত কিন্তু এটাকেই বড় লাভ মনে করে!
প্রকৃত প্রতিপক্ষকে জামায়াত জানে ও চিনে, কিন্তু জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়নি! ওদিকে বিএনপির অভ্যন্তরেই প্রতিপক্ষের সংখ্যাধিক্য দলটিকে তার অবস্থানে দুর্বল করে ফেলেছে, যার ধাক্কা সবখানেই লেগেছে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন