সমকামিতা, পশুকামিতা ও ধর্মনিরপেক্ষতাঃ

লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২৮ জুন, ২০১৫, ০৫:৫৪:১৮ বিকাল



গত ২৬শে জুন ২০১৫ তারিখে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে সমকামীদের বিয়ে বৈধ ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে দেশটির কিছু অঙ্গরাজ্যে সমকামীদের বিয়ের অধিকার থাকলেও ১৪ টি রাজ্যে তা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ছিল। প্রেসিডেন্ট ওবামা এ রায়কে ‘আমেরিকার জন্য বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সব মার্কিন নাগরিককে সমান দৃষ্টিতে দেখা মানেই আমরা সবাই আরো বেশি স্বাধীন’।

সমকামিতা্র স্বীকৃতিকে যারা মানবতার বিজয় মনে করেন এরা আবার বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী। তাদের জন্য সমকামিতার বিবর্তনের ক্রমধারাটি এরুপঃ বিষমকামিতা-> উভকামিতা-> সমকামিতা।

এই সমকামিতাই কি কামের প্রান্তিক লেভেল, নাকি আরো কিছু বাকি আছে?

তবে পশ্চিমা বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের উচ্চবিত্ত পরিবারে মানব প্রেমের তুলনায় পশু প্রেম বেড়েছে আশংকাজনকহারে। প্রত্যেক ঘরে মানব শিশু না থাকলেও ন্যুনতম একটি পশুর উপস্থিতি আবশ্যক।তারা নিজের বাচ্চার তুলনায় পশুর বাচ্চার প্রতি যত্নশীল।এটা দেখা যায় যখন নিজের বাচ্চাকে ট্রলিতে আর পশুর বাচ্চাকে বুকে জড়িয়ে হাটার সময়।এরা আবার মানব শিশুর থেকে পশুর বাচ্চাকেই বেশী চুমু খায়। রুচি বলে কথা। পশুর সাথে যৌনতার অসংখ্য ঘটনা ও পর্নোমুভিও নির্মিত হচ্ছে। শিশু, তরুন,যুবক ও বৃদ্ধরা ন্যাচারাল সেক্স বা বিষমকামিতা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গনহারে সমকামিতায় ঝুকছে। এরা কিংবা এদের বংশধররা আবার সমকামিদের লাভ মেকিং দৃশ্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পশুর সাথে সেক্স দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। ইদানিং কুকুরের সাথে বিয়েরও ২/১টা খবর পত্র পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের মানুষের ড্রীমল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রে পশুকামিতা বিল পাশ হলে বিস্মৃত হব না। তখন কামের বিবর্তনের যে নতুন ক্রমধারা হবে তা নিম্নরুপঃ

বিষমকামিতা-> উভকামিতা-> সমকামিতা->পশুকামিতা।

তখন এই মানবতাবাদীরা সমস্বরে বলবে “আমরা পশু থেকে এসেছি পশুতেই ফিরে যাব”।

পৃথিবীর সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলিতে সমকামিতা কিংবা পতিতাবৃত্তিকে পেশা সহ অন্যান্য প্রথাবিরোধী বিষয়কে মানবতাবাদের নামে স্বীকৃতি দেয়ার উৎসবে মেতে উঠেছে যেটা অধর্মনিরপেক্ষ দেশের এই প্রজাতির মানুষেরা রা করার মত সাহস দেখাচ্ছে না। ৩রা জুলাই ২০১১ সালে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতাকে আমাদের সংবিধানে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমান সরকার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় মৌলবাদীদের স্বার্থকতার সাথে শুধু দমনই করেনি মেরুদন্ড ভেংগে দিয়েছে। যার সুফল গ্রহন করছেন প্রথাবিরোধী মানবতা যেমন পতিতা, সমকামীসহ অন্যান্য জনগোষ্টী। গত ১৪২১ বাংলা নববর্ষে সমকামীদের দল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে প্রথম প্রকাশ্যে র‌্যালি করেছে যারা ইতোপূর্বে 'রুপবান' নামে সমকামীদের একটি পত্রিকা বের করে আলোচনায় আসে।

আমাদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার এই চর্চা যদি অব্যাহত থাকে উন্নত বিশ্বের মত উন্নত হতে না পারলেও কালের পরিক্রমায় হাজার বছরের ধর্মীয় সংস্কৃতির এই দেশে সমকামিতা বিল ও পশুকামিতা বিল পাশ হতে বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। যারা সমকামিতা, পশুকামিতাসহ নানাবিধ প্রথাবিরোধী ও অপ্রাকৃতিক বিষয়ে বিশ্বাসী তাদের উচিত যেকোন চেতনার আড়ালে এই ধরনের সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা করা।

বিষয়: বিবিধ

৬৫৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File