বেশ্যা,সিফিলিস ও সেক্যুলার (পর্ব-২)
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৫৪:৫২ সকাল
আমাদের দেশের পতিত বুদ্ধিজীবী ও তথাকথিত রাজনীতিবিদরা সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে বুঝান ধর্মকে রাষ্ট থেকে পৃথকীকরন আর মুখরোচক শ্লোগান দেন “ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”। সেক্যুলারিজমের অনিবার্য পরিনতি যে ধর্মহীনতা সেটা শাহবাগকেন্দ্রিক একজন বুদ্ধিজীবির জীবনাচার থেকে উপলদ্ধি করা যায়।রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ শাহবাগের প্রোডাক্ট। তিনি ছিলেন আরেক মুক্তমনা ও উদারপন্থী লেখিকা তাসলিমা নাসরিনের প্রথম প্রেম।তাসলিমাকে উদারপন্থী কিংবা সাহসী বলা হয়, কারন উনার বাসর রাতের গোপন আলাপ কিংবা যৌনজীবন সম্পর্কে বলতে লজ্জা বা সঙ্কোচবোধ করেন না। সেই সেক্যুলার লেখিকা তাসলিমা নাসরিনের প্রথম বাসর যে কারনে ব্যর্থ হয়েছে শোনা যাক সেই গল্প। এক সাক্ষাৎকারেসাংবাদিকের " রাত যখন বিশ্বকে গ্রাস করে, আপনার ঘুম আসছে না- তখন আপনার বেশি করে কি মনে পড়ে?” প্রশ্নের জবাবে তিনি যা বললেন।
"খুব বেশি মনে পড়ে আমার প্রথম প্রেম, প্রথম স্বামী, প্রয়াত কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে। অনেক কাঁদি তাঁর জন্য। পেয়েও হারালাম তাঁকে। রাগ হয়েছিল বিয়ের রাতেই। আমি তো ডাক্তার, তাঁর পুরুষাঙ্গে ক্ষত দেখি। বুঝতে পেরেছিলাম, যাকে জীবন দিয়ে ভালবাসি, তিনি পতিতালয়ে যান। সিফিলিস-গণোরিয়ায় আক্রান্ত।"
যদি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ধর্মহীন বেপরোয়া জীবন যাপন না করতেন, হয়ত তাসলিমার বাসর নিরানন্দ ও হতাশাগ্রস্থ হতো না। তবে বিধির লিখন না করা যায় খন্ডন, যে সমাজকে তসলিমারা ধর্মহীন করতে চায় সে সমাজের সমমনা কবি তার বাসরকে নিরানন্দ করে সুখসম্ভোগ খোজে বারবনিতায়। এমনকি বাসররাতে তসলিমায় বাধা পেয়ে চলে যান পতিতালয়ে। ধর্মান্ধতা বা ধর্মীয় বিশ্বাসের বাধা অতিক্রম করে এমনি বিবেকবোধ অর্জন করেছে, নববধু ঘরে রেখে পতিতালয় যেতে বাধে না। পতিতার স্বার্থ রক্ষায় মানবতাবাদী হলেও নিজের বিবাহিত স্ত্রীর মনের ব্যাপারে উদাসীন।হায়, সেলুকাস! এই মানবতা কোথায় রাখি।
অনেকেই হয়ত শিরোনামের সাথে বিষয় বস্তুর মিল খুজে পাননি তবে তসলিমার বাসর রাতের গল্পের বদৌলতে আঁচ করতে পেরেছেন সিফিলিসের সাথে সেক্যুলারিজমের সম্পর্ক। আরো স্পষ্ট হবে যদি ব্রিটিশ শাষনামলের সেনাদের যৌন রোগের যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছি তার আগের ও পরের ইতিহাস পর্যালোচনা করা যায়।
বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজুদ্দোলা। নবাব সুলতানদের হেরেমের কাহিনী সবারই কমবেশী জানা। তাদের হারামিপনা ছিল যেমন নিয়মমাপিক তেমনি হেরেমেই সীমাবদ্ধ যেটা জনসাধারনে ছড়িয়ে পড়ে নাই। নবাবদের এই নবাবীপনা আম-আদমীর সাধ্ ও সাধ্যাতীত।নবাবদের পতনের অনেকগুলি কারনের মধ্যে একটি কারন, বহুগামিতা। তবে নবাবেরা ধর্মবিশ্বাসী হলেও কতটুকু ধার্মিক ছিলেন সেটা গবেষনার বিষয়।
পর্ব-১
বিষয়: বিবিধ
৩৯৮৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন