শরিয়ত প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মুসলমানের কাছে নিছক রাজনীতি নয়, আখেরাত বাঁচানোর বিষয়।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ১৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৩৩:২৫ বিকাল
১।আলজিরিরায় ইসলামপন্থিগণ যখন নির্বাচনে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন তাদের উপর সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দেয়া হলো। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করো হলো এবং নেতাদের বিনা-বিচারে কারারুদ্ধ করা হলো। কারণ শয়তানি শক্তির কাছে ইসলামপন্থিদের বিজয় অসহ্য ছিল। তারা জানতো, ইসলামের বিজয়ে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, শিক্ষা, আইন-আদালত সবই আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। প্রতিষ্ঠিত হবে শরিয়ত। তাই ইসলামপন্থিদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। আসতে দিতে চায় না ভবিষ্যতেও। ফলে ইসলামের বিজয় রুখতে অবিরাম নৃশংসতা চলছে এখনও। এবং এর পিছনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল পাশ্চাত্য শক্তির সমর্থণ।
২।আফগানিস্তানে যখন পাথরের মূর্তি ভাঙ্গা হলো তখন তা নিয়ে এসব শাসকেরা বিশ্বব্যাপী শোরগোল তুলেছিল, অথচ আলজেরিয়ায় যে প্রায় দুই লক্ষ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হলো এবং এখনও যা অতি নৃশংস ভাবে চলছে তা নিয়ে এদের প্রতিবাদ নেই। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গিকারবদ্ধ প্রতিটি মুসলমানই এভাবে পরিণত হয়েছে হত্যাযোগ্য শত্র“তে। ফলে ইসলামের প্রতিষ্ঠার পথে এ সংঘাত যে অনিবার্য সেটি নিশ্চিত।
৩।ফলে মুসলমান যতই শান্তিবাদী হোক এ চাপিয়ে দেওয়া লড়াই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। অথচ মুসলমান ইসলামের প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ না করে পারে না। মুসলমান হওয়ার অর্থই হলো রাষ্ট্রে ইসলামের প্রতিষ্ঠায় শ্রম, মেধা ও শক্তি নিয়োগ করা। নইলে মুসলমানের মুসলমানত্ব থাকে না। তাই শরিয়ত প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মুসলমানের কাছে নিছক রাজনীতি নয়, আখেরাত বাঁচানোর বিষয়। আল্লাহপাকের ঘোষণা হলোঃ মাল্লাম ইয়াহকুম বিমা আনযালাল্লাহু ফা উলায়িকা হুমুল কাফিরুন। অর্থঃ আল্লাহর নাযিলকৃত আইন অনুযায়ী যারা বিচারকার্য পরিচালনা করে না তারা কাফের (সুরা মায়েদা-৪৪)। ফলে কাফের শুধু মূর্তিপূজকেরাই নয়, যারা শরিয়ত অনুযায়ী দেশ শাসন করে না তারাও।
৪।ফলে শয়তানি শক্তির সাথে সংঘাত যত অনিবার্যই হোক এবং শত্র“ যত ক্ষমতাধরই হোক, কোন মুসলমান কি শরিয়ত প্রতিষ্ঠার কাজ থেকে পিছিয়ে থাকতে পারে? তাছাড়া, অনন্ত অসীম কালের জান্নাত লাভে অবশ্যই তাকে মূল্য পেশ করতে হবে। এ জীবনের তুচ্ছ বস্তুটিও যেখানে বিনামূল্যে পাওয়া যায় না সেখানে বিনা মূল্যে কি সে জান্নাত আশা করা যায়? দুনিয়ার সমূদয় স¤পদে জান্নাতের এক ইঞ্চি ভূমিক্রয়ও তো অসম্ভব। শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে সংঘাতে অর্থদান, রক্তদান বা প্রাণদানতো সে মূল্যদানেরই প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়াই হোল অতীতের নবী-রাসূল ও ঈমানদারগণের প্রক্রিয়া। এটিই হলো জিহাদ। নবী পাকের (সাঃ) সাহাবীগণ যত বৃদ্ধ, যত দরিদ্র বা যত নিরক্ষরই হোক, জিহাদে অংশ নেননি এমন নজির নেই। আশি বছরের বৃদ্ধ সাহাবীও শত্র“রর সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাই এ যুগের মুসলমানেরা জিহাদে অংশ না নিয়ে আল্লাহকে খুশি করবেন সেটি কি হয়? নিছক কালেমা পাঠ ও নামাজ আদায়ে সেটি কি সম্ভব? এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের ঘোষণা, ”আম হাসিবতুম আন তাদখুলুল জান্নাতা ওয়া লাম্মা ইয়াতিকুম মাসালুল্লাযীনা খালাউ মিন কাবলিকুম মাস্সাতহুমুল বা’সায়ু ওয়া যারÍায়ু ওয়া জুলজিলু হাত্তা ইয়াকুলারÍাসূলু ওয়াল্লাযীনা আমানু মায়াহু মাতা নাসরুল্লাহ, আলা ইন্না নাসরুল্লাহিল কারিব। অর্থঃ তোমরা কি মনে করে নিয়েছো যে এমনিতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ তোমাদের কাছে সে পরীক্ষার দিন এখনও আসেনি যা পূর্ববর্তী নবী রাসূলদের উপর এসেছিল। তাদের উপর এমন বিপদ-আপদ ও ক্ষয়ক্ষতি মধ্যে পড়েছিল এবং তাদেরকে এমন ভাবে প্রকম্পিত করা হয়েছিল যে এমনকি রাসূল এবং তার সাথে যারা ঈমান এনেছিল তারা আওয়াজ তুলতো এই বলে যে আল্লাহর সাহায্য কোথায়? নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতিব নিকটবর্তী (সুরা বাকারা-২১৪)।
৫।আজ ইসলাম পরাজিত একারণে যে মুসলমানের সংখ্যা বাড়লেও আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্যদানকারিদের সংখ্যা বাড়েনি। আল্লাহর আইন যে মানুষের গড়া আইনের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর সে সাক্ষ্য কি দিচ্ছে মুসলিম দেশের নাগরিকগণ? দিলে তার প্রতিষ্ঠা নেই কেন? বরং নিজেরা মুসলিম রূপে পরিচয় দিলেও আল্লাহর পক্ষ নেওয়াকে তারা মৌলবাদ ভাবেন। তাদের অনাগ্রাহ ইসলামের প্রতিষ্ঠায়। ভাবেন, এসব যুদ্ধ-বিগ্রহ, ক্ষয়ক্ষতি ও অশান্তির পথ। অথচ আজ মুসলিম বিশ্ব জুড়ে আজ যে অশান্তি ও পরাজয় তার মূল কারণ হল আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় অনাগ্রহ।
৬।কালেমা পাঠ, কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ পড়া, রোযা রাখা বা হজ্ব করাকেই আখেরাতের মুক্তির জন্য যথার্থ মনে করেন। মুখে আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য দিলেও তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনীতি প্রমাণ করে তারা ইসলামে কতটা অঙ্গিকারহীন। বাংলাদেশের মত দেশে ইসলামের প্রতিষ্ঠাকে এরা সাম্প্রদায়িকতা বলে। মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে ইসলামের শরিয়তকে। ইসলামের বিরুদ্ধে যারা প্রকাশ্যে অবস্থান নেয় তাদেরকে এরা শুধু অর্থ ও ভোটই দেয় না, তাদের পক্ষে অস্ত্র ধরে এবং রক্তও দেয়। এক্ষেত্রে কোরআনে ঘোষণা হলোঃ যারা ঈমানদার তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে আর যারা কাফের তারা যুদ্ধ করে শয়তানের পথে।
৭।ফলে আল্লাহর পথে লড়াই করা ছাড়া মুসলমান থাকা আর কোন পথ খোলা আছে কি? তবে বাংলাদেশের ন্যায় অধিকাংশ মুসলিম দেশগুলোতে মানুষ যে অর্থ, শ্রম ও রক্ত দিচ্ছে না তা নয়। বরং এ খাতে তাদের খরচের খাতা অতি বিশাল। তবে তাদের অর্থ, শ্রম ও রক্তদানে বিজয়ী হচ্ছে শয়তানী শক্তি, ইসলাম নয়। অথচ হওয়া উচিত ছিল এর উল্টোটি।
৮।ফলে পাপ শুধু ইসলামে অঙ্গিকারহীন সেকুলার রাজনৈতিক নেতাদেরই নন, বরং মুসলিম পরিচয় দানকারি সাধারণ মানুষেরও। তাই মুসলিম বিশ্বের কোটি কোটি মুসল্লিরা যখন আল্লাহর কাছে আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন বা কাশ্মিরের নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে সাহায্য চেয়ে হাত তুলেন তখন তাদের দোয়া কবুল হয় না। কারণ, দোয়া কবুলের আগে আল্লাাহপাক মুসলমানদের নিজ বিনিয়োগটা দেখেন। আল্লাহপাক সাহাবায়ে কেরামের দোয়া কবুল করতেন। কারণ, ইসলামের বিজয়ের লক্ষ্যে জীবনের সমুদয় সম্পদই শুধু নয়, এমনকি নিজ জীবনখানি দান করতেও তারা সদাপ্রস্তুত ছিলেন। সত্যিকার অর্থেই তারা ছিলেন আল্লাহর বাহিনী তথা হিযবুল্লাহ। তারা আমৃত্যু লড়ছিলেন শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে। ফলে আল্লাহপাক তার নিজ বাহিনীর বিজয় না চেয়ে বিপক্ষ শয়তানের বিজয় সহয়তা দিবেন সেটি কি হতে পারে? তাই সেদিন আল্লাহর সাহায্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনী বিশাল বিশাল শত্র“ বাহিনীর উপর বিজয়ী হয়েছে।
৯।শূণ্য থেকে তারা তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সভ্যতর সভ্যতার জন্ম দিয়েছেন। তাদের হাতে পরাজিত হয়েছে রোমান ও পারসিক সাম্রাজ্য। আল্লাহপাক আজও এমন মুসলিম বাহিনীর মদদে সদাপ্রস্তুত, পবিত্র কোরআনে সে প্রতিশ্র“তির কথা বার বার ঘোষিত হয়েছে। কিন্ত সে সাহায্য লাভে মুসলমানদেরও তো প্রস্তুত হতে হবে। এ সাহায্য লাভের শর্ত হলো আল্লাহর দ্বীনের পরিপূর্ণ সাহায্যকারী হওয়া। আর এ কাজ শুধু মুসলিম রাজনীতিবিদ বা ইসলামি সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের নয়, প্রতিটি মুসলমানের। আল্লাহর দরবারে প্রতিটি মুসলমানকে আলাদা ভাবে হাজির হতে হবে। ইসলামের বিজয়ে তার নিজ বিনিয়োগ বা কোরবানীটি কি ছিল সে হিসাব সেদিন দিতেই হবে? নেতারা কি করছেন সে প্রশ্ন তাই অবান্তর। আমরা কি করছি সে হিসাব নিতে হবে। একজন মুসলমান হিসাবে কোন ইসলামি নেতার দায়িত্ব যেমন আমাদের চেয়ে বেশী নয় তেমনি আমাদের নিজ দায়িত্বও তাদের চেয়ে কম নয়। আমরা পঙ্গু নই, নিঃস্ব নই, শারিরীক ও মানসিক ভাবে বিকল বা বোধশূণ্যও নই।
১০।ইসলামের বিজয়ে যে সব সাহাবায়ে কেরাম তাদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের চেয়ে আমাদের শারিরীক ও আর্থিক যোগ্যতা কি কম? আমাদের বাড়ী-গাড়ি, অক্ষরজ্ঞান ও বাঁচবার আয়োজন বরং তাদের চেয়ে সমৃদ্ধতর। ফলে বিচার দিনে এ প্রশ্ন উঠবেই, তাদের তুলনায় আমাদের বিনিয়োগটি কি? কোরআনে বলা হয়েছেঃ ছুম্মা লা তুসআলুন্না ইওয়ামা ইজিন আনিন্নায়ীম। অর্থঃ অতঃপর সেদিন এ প্রদত্ত নিয়ামতের ব্যাপারে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে (সুরা তাকাছূর)। আমাদের এ জীবন, এ সময়, এ সহায়-সম্পদ - সব কিছুই আল্লাহর দান। এগুলি আমাদের নিজ সৃষ্টি যেমন নয় তেমনি কোন নেতা বা শাসকের দানও নয়। ফলে আল্লাহ প্রদত্ত এ নেয়ামত খরচ হওয়া উচিত ছিল আল্লাহরই রাস্তায়। অথচ সেটি বিনিয়োগ হচ্ছে ইসলামে অঙ্গিকারহীন শক্তির ক্ষমতাসীন করার কাজে। আমাদের শ্রম ও ভোটদানের ফলেই আমাদের মাথার উপর বসে আছে আল্লাহর বিরুদ্ধচারিদের আধিপত্য। আমাদের জাতীয় সংগীত, সংস্কৃতি, শিক্ষাব্যবস্থা, স্কুল-কলেজের সিলেবাস, পঠিত পুস্তক, আইন আদালত, রেডিও টেলিভিশন এগুলি কিসের প্রতীক? মুসলমানেরা শুধু মুখে আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য দিবে তা নয়। বরং একই রূপ সাক্ষ্য দিবে তাদের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি লেখনী ও তাদের গড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান। আল্লাহ ও তাঁর দ্বীনের পক্ষে সাক্ষ্যদানের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি সত্যেও পক্ষে সাক্ষদান তাই প্রতিটি মোমেনের জীবনে অভ্যাসে পরিণত হয়। তাই মুসলিম দেশে আদালতে সত্যবাদী সাক্ষীর অভাব হয়না।
১১।যে সব প্রতিষ্ঠান বা দল আল্লাহর দ্বীনের প্রতিষ্ঠা না বাড়িয়ে সেকুলার বা শয়তানী শক্তির বিজয় পতাকা উড়ায় সে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শ্রমদান যেমন হারাম তেমনি অর্থদান ও সমর্থণদানও। কারণ এতে ইসলামের পরাজয়ই শুধু ত্বরান্বীত হয়। অথচ আল্লাহর দেওয়া সকল সামর্থ ও নেয়ামত ব্যয় হবে একমাত্র আল্লাহরই জন্য। এ নিয়ে কোন আপোষ চলে না। মুসলমানের মুখ বা কলমের কালি ইসলামের শত্র“দের গুণগান গাবে তা কি কল্পনা করা যায়? মূর্তিপুজার ন্যায় এগুলিও কি পরিতার্য নয়? তেমনি মুসলমানের অর্থে কোন কুফরি ও সেকুলার শক্তি পরিচর্যা পাবে সেটিও কি ভাবা যায়?
১২।মুসলমানের হালাল-হারাম সচেতনতা শুধু ইবাদত বা উপার্জনে নয়, বরং জীবনের প্রতিটি কাজে ও অর্থের প্রতিটি বিণিয়োগে। তাই মুসলমান কোন নাস্তিক, সেকুলারিস্ট বা পৌত্তলিক বা পৌত্তলিকভক্তকে ক্ষমতায় বসাবে বা তার মতবাদের প্রসারে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়বে বা তার বই ক্রয়ে বা বিতরণে অর্থ যোগাবে তার তা হতে পারে না। অমুসলমান থেকে মুসলমানের প্রকৃত পার্থক্য তো এখানেই। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানেরা নিজেদের অর্থদান ও ভোটদানে যেসব রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়েছে সেগুলি কি এসব কাজ করে? দেয় কি সিরাতুল মোস্তাকিমের সন্ধান? বরং দেশ জুড়ে ইসলামে অঙ্গিকারহীন চেতনার বিজয়ের মূল কারণ কি এগুলি নয়? এদের কারণেই কি গড়ে উঠেনি তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর নামে একপাল পথভ্রষ্ট মিথ্যাজীবী। অথচ তারা বেড়ে উঠেছে সাধারণ মুসলমানের আর্থিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক সমর্থনে। ফলে বাড়ছে শুধু রাষ্ট্রের ব্যার্থতাই নয়, বরং নিজস্ব নিষ্ক্রিয়তা ও নিজ বিনিয়োগের কারণে বাড়ছে নিজেদের পাপের অংকটাও। ফলে ব্যর্থতা ও আযাব শুধু দুনিয়াতেই বাড়ছে না, আখেরাতের আযাবের পথও প্রশস্ততর হচ্ছে। কোন মুসলমান কি এসব মেনে নিতে পারে? আখেরাতের ভাবনা যাদের জীবনে সবচেয়ে রড় ভাবনা এবং যাদের জীবনে সর্বাধীক গুরুত্বপূর্ণ হলো আল্লাহর কাছে হিসাব দেওয়া - তারা কি এ নিয়ে নীরব থাকতে পারে?
বিষয়: বিবিধ
১৯২৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যতার্থই বলেছেন৷ এর বিকল্প নেই৷
এমন প্রয়োজনীয় লেখা যত লিখবেন ততই মঙ্গল৷ যদি একজনও পথে আসে তাই অনেক৷ধন্যবাদ
ইসালামী স্টেট প্রথম পর্যায়ে সেকুলার ফর্মে
ছিল,অনেক বছর। যখন শক্তি ও সার্মথ বেড়েছে। তখনি ইসালামী স্টেট কায়েম হয়েছে। তারপরও ওহী দ্বারা,আল্লাহ রসূলকে
জানাতো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন