মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন কলকাতায় আওয়ামী লীগ নেতারা যা করতেন-ইতিহাসের সাক্ষী

লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪০:৪৩ বিকাল



কোলকাতার ৫৮ বালিগঞ্জ বাড়িটি ছিল প্রবাসী সরকারের আবাসিক কার্যালয়। ওই ভবনেই বসবাস ও দাপ্তরিক কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলাম। প্রয়োজনের তুলনায় ছোট এ বাড়িটিতে সারাক্ষন “জয় বাংলা”র লোকের ভিড় লেগেই থাকত। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি, নেতা, আমলা, কর্মী, আত্মীয়স্বজন, আমত্য, চামচা সবার জন্য এ বাড়িটি ছিল অবারিত। ঢালাওভাবে ভাত-গোশত দিয়ে ভুড়ি ভোজ এমনকি নিশি যাপনেও কোনো কার্পণ্য ছিল না। অভ্যাগতদের প্রত্যেকের হাতে দেখা যেত একটা নতুন ব্রিফকেস কিংবা ছোট এট্যাচী, কোন কোন নেতার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। আহার নিদ্রা, এমনকি প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদনের সময়ও এসব ব্যাগ কাছছাড়া করতো না কেউ। এমন একটি ঘটনায় সেনা কর্মকর্তারা একজন অতিথির ব্রিফকেস পরীক্ষা করে ১২ লাখ পাকিস্তানী রুপী (বর্তমান মূল্য প্রায় ৪৩ কোটি টাকা) উদঘাটিত হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় কর্নেল ওসমানীর জেরার মুখে ভদ্রলোকটি টাকার কথা চেপে যান। পরে উদ্ধারকৃত বিপুল টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা করে দেয়া হয়। মূলত: দেশ ছাড়ার আগে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা পূর্ব বাংলার ব্যাংক ট্রেজারীগুলো সব উজাড় করে অর্থ ও সোনাদানা নিয়েই পাড়ি জমান ভারতবর্ষে। আহমদ ছফা এ জাতীয় আরেকটি ঘটনার কথা বর্ণনা করেন এভাবে, “এই সোনা তো বাংলাদেশের জনগনের সম্পত্তি।…যে তিনজন আমরা সোনা নিয়ে এসেছিলাম তারমধ্যে একজন এমপি’র আপন ছোট ভাই। আরেকজন স্থানীয় আওয়ামীলীগ প্রেসিডেন্টের শালা। তারা এখন কোথায় আছে কি করছে, কিছু জানিনে। অথচ এদিকে শুনতে পাচ্ছি সেই সোনা ইতোমধ্যে ভাগভাটোয়ারা হয়ে গেছে।.....সত্যিই তো এরকম একজন মানুষ দেড় মন সোনা বয়ে নিয়ে এসেছে শুনলে এখনকে বিশ্বাস করবে? (অলাতচক্র, পৃষ্ঠা ৬২)।

বিভিন্ন শরনার্থী শিবির পরিচালনার দায়িত্বে ভারত সরকারের লোকের পাশাপাশি আওয়ামী নেতারাও ছিলেন। এসব নেতাদের বেশীরভাগই পরিবার পরিজন সমেত বেশ আয়েশী জীবন যাপন করতেন। এমনকি অভিজাত দোকান, সুরিখানা ও নাইটক্লাবগুলো জয়বাংলার লোকে ছিল জমজমাট। তখন পশ্চিম বাংলায় “জয় বাংলা”র লোক মানেই বাড়তি খাতির। এ নিয়ে ৮নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল লিখেছেন,“আমি যখন তাদেরকে দেখেছি কোলকাতার অভিজাত এলাকার হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে জমজমাট আড্ডায় ব্যস্ত। একাত্তরের সেই গভীর বর্ষায়ত দিনরাতে কোলকাতার অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে গিয়ে হাটুতক কাদা জলে ডোবান্ত মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং শিবিরগুলোতে অবস্থানরত হাজার হাজার তরুনের বেদনাহত চেহারাগুলো তারা একবারও দেখেছে কিনা তা আজও আমার জানতে ইচ্ছা করে। আমার জানতে ইচ্ছে করে কোলকাতার পার্ক স্ট্রীটের অভিজাত নাইট ক্লাবগুলোতে ‘বীয়ার’ হুইসকি পানরত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মনোমুকুরে একবারও ভেসে উঠেছে কিনা সেই গুলিবিদ্ধ কিশোর কাজলের কথা যে মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত চীৎকার করে ঘোষণা করেছে ‘জয় বাংলা’। আমার জানতে ইচ্ছে করে আরো আরো অনেক কিছু। কিন্তু জানতে ইচ্ছে করলেই তো আর জানা যায় না।” কলকাতা ও আগরতলার নাইট ক্লাব ও বেশ্যালয়ে প্রবাসী নেতাদের অনেকেরই নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল। প্রবাসী সরকারের একজন মন্ত্রী সোনাগাছির বেশ্যালয়ে মারামারি করে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অবশেষে মুজিবনগর সরকারের কাছে হস্তান্তরিত হয়। আহমদ ছফা ঘটনাটিকে এভাবে বর্ণনা করেছেন, “যে সকল মানুষকে দেশে থাকতে শ্রদ্ধা করতাম, কলকাতায় অনেকের আচরণ দেখে সরল বাংলায় যাকে বলে কিংকর্তব্যবিমুঢ়- তাই হতে হচ্ছে। এখনও তোমরা স্যার ডাকছ তার বদলে শালা বললেও অবাক কিছু ছিল না। এখানকার একটা সাপ্তাহিক খবরটা ছেপেছে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী নাকি সোনাগাছিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জানেন তো স্যার, সোনাগাছি কি জন্য বিখ্যাত?…পুলিশ অফিসারের জেরার মুখে ভদ্রলোককে কবুল করতেই হল, তিনি ভারতে প্রবাসী সরকারের একজন মন্ত্রী। পুলিশ অফিসার তখন বললেন, তাহলে স্যারের গুডনেমটা বলতে হয়। মন্ত্রী বাহাদুর নিজের নাম প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভেরিফাই করে দেখে যে বক্তব্য সঠিক। পুলিশ অফিসারটি দাঁতে জিভ কেটে বললেন, স্যার কেন মিছিমিছি সোনাগাছির মত খারাপ জায়গায় নিজেকে নাহক ঝুট-ঝামেলার মধ্যে পড়বেন। আর ভারত সরকারের আতিথেয়তার নিন্দে করবেন। আগে ভাগে আমাদের স্মরণ করলেই পারতেন, আমরা আপনাকে ভিআইপি-র উপযুক্ত যায়গায় পাঠিয়ে দিতাম (ছফা, ১৯৯৩, পৃষ্ঠা ২০-২১)। এসব নেতাদের কীর্তিকলাপ নিয়ে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র ঘৃনা উঠে এসেছে আহমদ ছফার কলমে, “কলকাতা এলে মাথায় খুন চেপে বসে। ইচ্ছা জাগে এই ফর্সা কাপড় পরা তথাকথিত নেতাদের সবকটাকে গুলি করে হত্যা করি। এ্যায়াসা দিন নেহি রয়েগা। একদিন আমরা দেশে ফিরে যাব। তখন সব কয়টা বানচোতকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে মারব। দেখি কোন বাপ সেদিন তাদের উদ্ধার করে। কলকাতার নরম বিছানায় ঘুমিয়ে পোলাও-কোর্মা খাওয়ার মজা ভাল করে ‍দেখিয়ে দেব” (ছফা, ৮১)।

“স্টপ জেনোসাইড” খ্যাত চলচ্চিত্রকার কাজী জহির রায়হান যুদ্ধকালে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে আওয়ামীলীগ নেতাদের অপকর্মের অনেক ফুটেজ ও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন, যা দিয়ে তিনি ডকুমেন্টারী বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধপরবর্তী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট পাপিষ্ঠরা এসব কারনে জহির রায়হানকে গায়েব করে দেয়, তার লাশটিও খুঁজে পাওয়া যায় নি। জহির রায়হান সংবাদ সম্মেলন করে এসব চিত্র প্রকাশের হুমকি দিয়েছিলেন। আর এ হুমকির পরই তাঁর অন্তর্ধানের ঘটনা ঘটে। জহির রায়হানের ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার যুদ্ধকালে ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর দ্বারা অপহৃত হন। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারী ভাইকে খোঁজার নাম করে জহির রায়হানকে ডেকে নেয় স্বাধীন বাংলার প্রশাসন পরিচিতরা। এরপর থেকে জহির নিখোঁজ। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুজিব সকারের পুলিশ ও মিরপুর এলাকা নিয়ন্ত্রকারী বাহিনী জহির রায়হানের পরিবারকে সাহায্য করার পরিবর্তে এড়িয়ে যেতেন। জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ. জলিল লিখেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের আওয়ামীলীগ নেতাদের কুকীর্তি ফাঁস করে দিতে চাওয়ায় নিখোঁজ হন সাংবাদিক জহির রায়হান। ভারত অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অনেক কিছুই জানতে চেয়েছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক এবং চিত্র নির্মাতা কাজী জহির রায়হান। তিনি জেনেছিলেন অনেক কিছু, চিত্রায়িতও করেছিলেন অনেক দুর্লভ দৃশ্যের। কিন্তু অতসব জানতে বুঝতে গিয়ে তিনি বেজায় অপরাধ করে ফেলেছিলেন। স্বাধীনতার ঊষালগ্নেই তাকে সেই অনেক কিছু জানার অপরাধেই প্রাণ দিতে হয়েছে। ভারতের মাটিতে অবস্থান কালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের চুরি, দুর্নীতি, অবৈধ ব্যবসা, যৌন কেলেংকারী, বিভিন্ন রূপ ভোগ-বিলাস সহ তাদের বিভিন্নমূখী অপকর্মের প্রমাণ্য দলীল ছিল- ছিল সচিত্র দৃশ্য। আওয়ামী লীগের অতি সাধের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজী জহির রায়হানের এতবড় অপরাধকে স্বার্থান্বেষী মহল কোন যুক্তিতে ক্ষমা করতে পারে? তাই বেঁচে থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী রূপ দেখে যাওয়ার সুযোগ আর হয়নি জহির রায়হানের। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ৩ নম্বর আসামী স্টুয়ার্ড মুজীবেরও ঘটেছিল এই পরিণতি। এই দায়িত্বশীল নিষ্ঠাবান তেজোদীপ্ত যুবক স্টুয়ার্ড মুজীব ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে এবং পরে ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছে। তার মত নির্ভেজাল ত্বরিতকর্মা একজন দেশপ্রেমিক যুদ্ধা সত্যিই বিরল। প্রচন্ড সহস ও বীরত্বের অধিকারী স্টুয়ার্ড মুজীব ছিল শেখ মুজিবের অত্যন্ত প্রিয় অন্ধভক্ত। মাদারীপুর থানার অন্তর্গত পালং অধিবাসী মুজীবকে দেখেছি বিদ্যুতের মতই এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ছুটোছুটি করতে। কি করে মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করা যায়, ভারতের কোন নেতার সাথে যোগাযোগ করলে মুক্তিযুদ্ধের রসদ লাভ করা যায় কেবল সেই চিন্তা এবং কর্মেই অস্থির দেখেছি স্টুয়ার্ড মুজীবকে। মুজীব ভারতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেক কুকীর্তি সম্পর্কেই ছিল ওয়াকিফহাল। এতবড় স্পর্ধা কি করে সইবে স্বার্থান্বেষী মহল। তাই স্বাধীনতার মাত্র সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই ঢাকা নগরীর গুলিস্তান চত্তর থেকে হাইজ্যাক হয়ে যায় স্টুয়ার্ড মুজীব। এভাবে হারিয়ে যায় বাংলার আর একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। (পৃষ্ঠা ৫৫, ৫৬)

জহির রায়হানের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে তার সহধর্মীনি চিত্রনায়িকা সুচন্দা বলেন,”জহির বেঁচে থাকা অবস্থায় সর্বশেষ প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে এক বক্তব্যে বলেছিলেন­, যারা এখন বড় বড় কথা বলেন, নিজেদের বড় বড় নেতা মনে করেন, তাদের কীর্তি কাহিনী, কলকাতায় কে কী করেছিলেন, তার ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। তাদের মুখোশ আমি খুলে দেবো।’ এই কথা তিনি মুখ দিয়ে প্রকাশ্যে বলে ফেলার পরই তার উপর বিপদ নেমে আসে। এই বলাটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।” জহির রায়হানের বোন নাসিমা কবির যখন নিখোঁজ জহির রায়্হারের খুঁজে বড় বড় নেতাদের কাছে রাত দিন পাগলের মত ছুটে গেছেন। ১৯৭২ সালে পত্রিকা গুলোতে বেশ লেখালেখি শুরু হয়। যে রফিকের ফোন পেয়ে জহির রায়হান ঘর থেকে বের হয়ে যেন, সেই রফিককে একদিন হঠাৎ করে সপরিবারে আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। জহির রায়হানের বড় বোন নাসিমা কবিরকে ডেকে নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি বললেন - ”জহিরকে নিয়ে বেশি চিৎকার করলে তুমিও নিখোঁজ হয়ে যাবে” (দৈনিক আজকের কাগজ,৮ ডিসেম্বর ১৯৯৩)। অর্থাৎ শেখ মুজিব নিজেও জহির রায়হানের গুমকারীদের সঙ্গে আপোষ করেছিলেন!

কেবল জহির রায়হানই নয়, যুদ্ধকালে প্রবাসী সরকারের বিভিন্ন নেতাদের দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে শেখ মুজিবের কাছে ট্রাইবুনাল গঠন করার বিচার ও তাদেরকে দল থেকে বহিস্কারের দাবীও তোলে স্বাধীন বাংলা যুব কমান্ড। মুজিব নগর সরকারের ১০০ কোটি রূপী (বর্তমান মূল্য প্রায় ৩৫,৭০০ কোটি টাকা) খরচের কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি (ইত্তেফাক ১৫ আগষ্ট ১৯৭২)। প্রবাসী সরকারের কর্তাব্যক্তি এবং নেতাদের দুর্নীতি ও নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নানা প্রমানাদি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে - জনতার আদালতে বিচারের সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

লেখক: মোঃ শামসুল আলম

ডেপুটি সেক্রেটারী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

বিষয়: বিবিধ

৫৫৪০০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

267560
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৪
মাজহার১৩ লিখেছেন : আরো অনেক জটিল তথ্য জানতে ভিজিট করুন
জটিল লিঙ্ক
267564
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
আমি মুসাফির লিখেছেন : মুজিব নগর সরকারের ১০০ কোটি রূপী (বর্তমান মূল্য প্রায় ৩৫,৭০০ কোটি টাকা) খরচের কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি (ইত্তেফাক ১৫ আগষ্ট ১৯৭২)। প্রবাসী সরকারের কর্তাব্যক্তি এবং নেতাদের দুর্নীতি ও নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নানা প্রমানাদি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে - জনতার আদালতে বিচারের সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
হাসিনা এগুলোকে কেমন ভাবে এড়িয়ে যাবে? তাকে ধরা পড়তেই হবে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
211333
মাজহার১৩ লিখেছেন : আওয়ামী নেতাদের চেহারা বাড়ী ঘর ও ব্যাবসা বানিজ্যের দিকে তাকালেই ক্লু বাহির হবে। ঐ সময়ে যারা এই টাকার ভাগ পায়নি পরে তারাই প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করে, ডুগডুগি বাজানোর কথা বলে কিংবা ট্যাঙ্কে লাফালাফি করে। এখন তাঁরা তাঁদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু বলে মুখের নোনা জল ফেলতেছে।
267620
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:২১
বুড়া মিয়া লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো বেচারার লেখা; মাজহার ভাইকেও ধন্যবাদ তুলে ধরায় ...
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৪
211556
মাজহার১৩ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
267625
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : বেচারা জহির রায়হান ওদের মুখোস উম্মোচনে হাত না দিলেই পারতেন!
267638
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : কিযে বলেন, কাজের মাঝে স্বপ্ন দেখা যায়না৷ স্বপ্ন দেখতে আরাম আয়েশ ঘুম দরকার৷ নেতারা তাই করেছেন৷ এ সব বলা মানে ঐ জহীর রায়হানের সঙ্গী হওয়াা৷
267663
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কইয়া আর লাভ কি???
290666
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৭
এম_আহমদ লিখেছেন : পিলাচ
331023
২১ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:২৮
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ইতিহাস একদিন কথা বলবেই.. ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File