“ অবশেষে জামায়াত রাজনীতি থেকে স্বেচ্চায় নির্বাসনে যাচ্ছে” বক্তব্যের সমর্থনে পরবর্তী কর্মপন্থা।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪৬:০৯ বিকাল
পর্ব-১
নিচের লেখা পড়ার আগে পর্ব-১ পড়লে বুঝতে সুবিধা হবে।
১।প্রথমে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ঠিক করা উচিত জামায়াত কি ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টা হোক এটা চায় নাকি জামায়াত ক্ষমতা গ্রহন করুক অথবা জামায়াতই আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দল যারাই কেবল খেলাফত প্রতিষ্টার দাবিদার। নিসন্দেহে জামায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড় সুসংগঠিত ইসলামী দল।
২।নিম্নে কয়েকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দের তালিকা দেয়া হলো, তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে বিচারাধীন অবস্থায় আছে।
উপরের তালিকা দেখে ইতিবাচক ও নেতিবাচক ধারনা জন্ম নেয়। প্রথমে ইতিবাচকভাবে বলা যাক।
আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশে অনেক ইসলামী দল সৃষ্টি হয়েছে অনেক মানুষ খেলাফত প্রতিষ্টার জন্য কাজ করছে যারা এক সময় ইসলামে রাজনীতি নেই বা হারাম বলে ফতোয়া দিত।
নেতিবাচকভাবে বলতে গেলে সুরা আনয়ামের ১৫৯ নং আয়াত থেকে ধারনা নেয়া যেতে পারে।
“ যারা নিজেদের দীনকে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে নিসন্দেহে তাদের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই৷তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ওপর ন্যাস্ত রয়েছে৷ তারা কি করেছে, সে কথা তিনিই তাদেরকে জানাবেন৷”
উপোরক্ত দলগুলির বিগত দিনের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষন করলে অদূর ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্টা কল্পনা বিলাস মাত্র। বরং উনাদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে সাধারন মানুষ ইসলামী হুকুমাত তো দূরে থাক ইসলাম নিয়েই সন্দিগ্ধ এবং বহুধাবিভক্ত যার ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের চিন্তা বাদ দিয়ে গতানুগতিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা নিয়ে সন্তষ্ট থাকছে।
৩। “ তোমরা যেন তাদের মতো হয়ে যেয়ো না, যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য হিদায়াত পাওয়ার পরও মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে৷ যারা এ নীতি অবলম্বন করেছে তারা সেদিন কঠিন শাস্তি পাবে ৷” আল-ইমরানঃ১০৫
“তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রুজ্জু মজবুতভাবে আকঁড়ে ধরো এবং দলাদলি করো না৷”আল-ইমরানঃ১০৩
উপরের আয়াতগুলো থেকে বুঝা যায় যে মানব রচিত বিধানে যারা শান্তি খোজে বা সমর্থন করে তাদের তুলনায় খেলাফত প্রতিষ্টায় যারা চেষ্টা করে কিংবা সমর্থন করে তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত কিন্তু মতবিরোধে লিপ্ত ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত যা আল্লাহ পছন্দ করেন না। সুতরাং এই হেদায়াতপ্রাপ্তদেরকে দলাদলি বন্ধ করে আল্লাহর রজ্জুকে আকড়ে ধরতে হবে।
কিন্তু এই ঐতিহাসিক ঐক্যের জন্য উদ্যোগ(Initiative) গ্রহন করা দরকার। বিডালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? এই ক্ষেত্রে যারা বড় দল তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অস্বাভাবিক সরকারের সাথে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর শিনজে আবের ঢাকা সফর কিংবা বারাক ওবামার মোদীর জন্য অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করা থেকে আমরা উপলদ্ধি করতে পারি বৃহত্তর স্বার্থে বড়দেরকেই এগিয়ে আসতে হয় ও উদ্যোগ গ্রহন করতে হয়। জামায়াত ইসলাম বৃহত ও সুসংগঠিত হলেও বর্তমান বাস্তবতায় মামলা হামলা, মিডিয়ার অপপ্রচার ও প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাতে না পারায় নাজুক পরিস্থিতির মধ্য অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে। বর্তমান এই প্রতিকুল বাস্তবতাকে মুল্যায়ন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যাক্তি স্বাধীনতার ঘোষনা না দেয়ায় মুক্তিযুদ্ধে জান মালের যে ক্ষতি হয়েছে সে ধরনের ক্ষতির সমুক্ষীন হতে হবে।
“এর আগে আল্লাহ বহু ক্ষেত্রে তোমাদের সাহায্য করছেন৷ এই তো সেদিন, হুনায়েন যুদ্ধের দিন (তাঁর সাহায্যের অভাবনীয় রূপ তোমরা দেখছো), সেদিন তোমাদের মনে তোমাদের সংখ্যাধিক্যের অহমিকা ছিল৷ কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি ৷ আর এত বড় বিশাল পৃথিবীও তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল এবং তোমরা পেছনে ফিরে পালিয়ে গিয়েছিলে ৷” তওবাঃ২৫
জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীদের উপরোক্ত আয়াতের আলোকে মানসিক পরিবর্তন সাধন করতে হবে।
“আর তোমরা এমন লোকদের মত আচরণ করো না, যারা অহংকার করতে করতে ও লোকদেরকে নিজেদের মাহাত্ম্যা দেখাতে দেখাতে ঘর থেকে বের হয়েছে এবং যারা আল্লাহর পথ থেকে (মানুষেকে )বিরত রাখে৷তারা যা কিছু করেছে তা আল্লাহর নাগালের বাইরে নয়৷” আনফালঃ৪৭
উপরের আয়াতের আলোকে জামায়াতসহ সব ইসলামী দলকে নিজেদের মাহাত্ম বর্ননা অথবা অপর ইসলামী দলের সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে, না হলে মতভেদ ও নিজেদের মাঝে কাদা ছোড়াছূড়ির কারনে সাধারন মুসলমানরা আল্লাহর পথে আসা থেকে বিরত থাকবে।
৪। বড় দল হিসেবে ইসলামী দল গুলোর মধ্যে ঐক্য গঠনে জামায়াতকে এগিয়ে আসতে হবে এর আগে নিজেদের আত্মপর্যালোচনা দরকার।জামায়াতকে সব সময় নিজেদের সৃষ্ট প্রতিকুল পরিবেশেই কাজ করতে হয়েছে। ১) পরিস্থিতি মুল্যায়ন ও ভবিষ্যত চিন্তা না করে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্থান ভাগের বিরোধিতা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া, যা রাজনৈতিক ভুল ২) মওদুদী প্রশ্নে মুল স্রোতের (Main Stream) আলেমদের সাথে ছাড় দিয়ে সমযোতা না করে বিরাগভাজন হওয়া অনেক ক্ষেত্রে আত্মম্ভরিতা প্রকাশের মাধ্যমে বিরোধিতা করা। ৩) সমাজে প্রাকৃতিকভাবে কওমী আলেমদের গ্রহনযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে স্কুল-কলেজে পড়ুয়াদের উপর নির্ভর করা যা সমাজে একটা সুস্পষ্ট বিভাজন সৃষ্টি করে দিয়েছে।৪) মুল দাওয়াতের পরিবর্তে রাজনীতিতে বেশী জড়িয়ে পড়া এমনকি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ আন্দোলন করা যা সাধারন মানুষ সাধারনভাবে নেয়নি।
৭৪ বছর ধরে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত প্রস্তুত হলেও গনজ়োয়ার সৃষ্টি মাধ্যমে বিপ্লবের ক্ষেত্র প্রস্তুতের পরিবর্তে নির্বাচনী বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে যা ইসলাম প্রতিষ্টার সম্ভবনা নাকচ করে দেয়। সাম্প্রতিক উপজেলা নির্বাচনে সহানুভুতির কারনে কিছুটা ভাল ফল পেলেও এটা দিয়ে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্টার ম্যান্ডেট মনে করা বোকামী।
৫। জামায়াত ইসলাম ও চরমোনাইর পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাড়া বাকী দলগুলোর উপরের প্রতিকুলতাগুলোর একটিরও সম্মুক্ষীন হতে হয়নি। নেতৃত্বের দূর্বলতা, ইসলামী আন্দোলনের মুলচেতনার অভাব ,কিছু রেডিমেড সমর্থকের উপর নির্ভরশীলতা, সারাবছর কর্মততপরতার পরিবর্তে মৌসুমী আন্দোলন, সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষনের অভাবে ইসলামী বিপ্লবের অপার জোয়ার সৃষ্টির সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থ হচ্ছে।
৬।জামায়াত শক্তিশালী সাংগঠনিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের সৃষ্ট প্রতিকুলতার কারনে গনজোয়ার সৃষ্টি করতে পারবেনা তেমনি বাকী দল গুলো আন্দোলনের চেতনার অভাব ও দূর্বল সাংগঠনিক ভিত্তির কারনে টিকে থাকতে পারবেনা। যা আমরা ৫ইমে শাফলা চত্বরে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরিবর্তে পশ্চাদপসরনেই টের পাই যা এখন ডিপ ফ্রিজে অবস্থান করছে।
৭। জামায়াতকে নিজেদের সৃষ্ট বৈ্রী পরিবেশ থেকে বের হতে হবে।
ক) জামায়াতকে বুঝতে হবে ইসলাম প্রতিষ্টা জরুরী সেটা যার মাধ্যমেই হোক।
খ)জামায়াতের নেতা কর্মীদেরকে অবশ্যই “জামায়াত ইসলামী” নামটির প্রেম থেকে সরে আসতে হবে।কারন স্কুলের সিলেবাসেও জামায়াতকে কঠাক্ষ করে ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা নতুন প্রজন্মকে ঘৃনা করতে শেখাবে। দ্বিতীয়ত একটি গোষ্টির রোষানল থেকে বাচা যাবে।
গ) বিভাজন দূরীকরনের নিমিত্তে মওদুদী প্রশ্নে উপরের দলগুলোর কোন পরামর্শ থাকলে তা আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্ছ ছাড় দিয়ে সমাধান করতে হবে। এছাড়া যদি আরও কোন এহতেসাব থাকে তা গ্রহন করতে হবে।
ঘ) সর্বোজন সম্মানিত একজন নেতা খুজে বের করে তার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী ঐক্যফ্রন্ট গঠন করতে হবে এবং সবগুলি দলকে বিলুপ্ত করতে হবে। যদি এটা সম্ভব না হয় তুলনামূলক ভাল ও শক্তিশালী দলের সাথে একীভূত হতে হবে।
ঙ) আলেমদের যেহেতু সমাজে সম্মান ও কদর বেশী তাদেরকে সামনে রেখে দাওয়াতী কার্যক্রম চালাতে হবে। প্রয়োজনে যুতসই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নেতৃত্বের গুনাবলী ও সাংগঠনিক দক্ষতা সৃষ্টি। সামাজিকভাবে প্রতিষ্টিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের অর্জিত এলেমকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৮। দাওয়াতের ক্ষেত্র ছোট করা যাবে না। কখনো সরকারী দল বা বিরোধী দলের সাথে লেজুড়বৃত্তির আন্দোলন করা যাবে না। ইসলাম বিরোধী না হলে কোন ধরনের জাতীয় ইস্যুতে বক্তৃতা, বিবৃতি দেয়া যাবে না। দেশে কোন ধরনের জুলুম ও অবিচার হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ধাপে ধাপে প্রতিবাদ করতে হবে এমনকি প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কোন দলের বিরুদ্ধে বা নেতার বিরুদ্ধে কোন ধরনের সমালোচনা করা যাবে সেটা হোক ব্যাক্তি পর্যায়ে হোক দলীয় ভাবে কারন বন্ধুর পরিবর্তে শত্রু বাড়ে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অমুসলিমরা ছাড়া অধিকাংশই ঈমানদার বা মুমিন। “মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই ৷ অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও৷” হুজরাতঃ১০। তাদের সাথে মৌলিক পার্থক্য হলো আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে মানব রচিত বিধানে ফয়সালা খুজে। এটা তাদের একলার দোষ নয় আমরা তাদেরকে সঠিক পদ্ধতিতে জানাতে ব্যর্থ হয়েছি।
৯। দাওয়াতের বিষয় ও পদ্ধতি নিরুপন করতে হবে। মানুষকে তাওহীদ, আখেরাত ও রেসালাতের দাওয়াত না দিলেও চলবে।এই কাজটি তাবলীগ জামাত সুনিপুনভাবে করছে। এছাড়া আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের পারিপাশ্বিকভাবে ঈমানের প্রথম সারির দাবী গুলো মানে। কুরান শরীফ নিয়মিত বুঝে না পড়ার কারনেও ইহা নিয়ে চিন্তা না করার কারনে ঈমানের সবগুলি দাবী পুরন করছেনা, না জানার কারনে কোরয়ানের পরিবর্তে মানুষের সীমাবদ্ধ জ্ঞানে প্রনীত আইনকানুনের প্রতি নির্ভর করে থাকে।
“আসলে ঈমানদারদের মধ্যে তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী পাঠিয়ে আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন৷ সে তাঁর আয়াত তাদেরকে শোনায়, তাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সুবিন্যস্ত করে এবং তাদেরকে কিতাব ও জ্ঞান শিক্ষা দেয়৷ অথচ এর আগে এই লোকেরাই সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত ছিল৷”আল-ইমরানঃ১৬৪
আগামী পর্বে শেষ করা হবে ইনশাল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১৭১২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি জামাত রিসার্স পর্ব by এম.এন.হাসান এই লেখাটি পড়েছেন কি?।
এবং আমি আলবদর বলছি by কে.এম.আমিনুল হক। এই দুটি লেখা পড়ে আরেকটি লেখা প্রকাশ করুন। সারা বিশ্বের
ইসলামী আনন্দোলন নিয়ে লিখে যান। এত তাড়াতাড়ি থামছেন কেন? চালিয়ে যান।
ঢুকতে পারছিনা তবে এটা হবে:www.storyofbangladesh.com
আমিনুল ভাইয়ের বই পিডিএফ আকারে আছে। আর এম.এন.হাসান ভাই এখানে লিখত। এখন খুব আসে। ওনার নিজের দুটো ব্লগ রয়েছে। দেখি বাসায় ফিরে লিংক দিতে পারি কিনা।
আপনি আমাকে তো সোনার খনির সন্ধান দিয়েছেন। আমি তো পাগল হয়ে যাব।
তবে এটাকে ১৬ কোটি মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। আমি ইতোমধ্যে কয়েকজনের কাছে দিয়েছে। তবে এখানে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
প্রথমে ইব্রাহীম হোসেনের ফিরে আসা দিনগুলি দিতে হবে, এরপর পাঠককে ফলোআপ করতে হবে যাতে সে বইটি পড়ে। এরপর বইয়ের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে হবে, Concept clear করতে হবে। আওয়ামী লীগ গোয়েবসলীয় কায়াদায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশ ভাগ করেছে। সেই একই কায়দায় তাঁরা যে বিকৃত চেতনা জাগিয়ে তুলেছে তা সমুলে ধংস করে দিতে হবে। আর আমরা যারা আমাদের মুরিব্বীদের ভুমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতাম সেই হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে এসে নৈতিক শক্তি অর্জন করতে সমর্থ হব। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ সরকারের নজরে পড়লে সাইট বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তাই আগাম প্রতিরক্ষামুলক ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।
উপরের লিংক দেখুন।জামাত রিসার্স পর্ব by এম.এন.হাসান
ঙ) আলেমদের যেহেতু সমাজে সম্মান ও কদর বেশী তাদেরকে সামনে রেখে দাওয়াতী কার্যক্রম চালাতে হবে। প্রয়োজনে যুতসই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নেতৃত্বের গুনাবলী ও সাংগঠনিক দক্ষতা সৃষ্টি। সামাজিকভাবে প্রতিষ্টিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের অর্জিত এলেমকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এ দুটি বিষয়ে অনেকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাদ্রাসা পড়ুয়াদের মাঝে ত্যাড়ামী দারুণভাবে কাজ করে। অনেক বড় মাওলানা এ সংকীর্নতার উধ্বে নয়। এরা বর্তমান দুনিয়ার মানুষিকতার লোক।
আলেমরা সামনে না আসলে কি করার আছে। জোর করে কাউকে সামনে দেয়া যায়না।
আমি মনে করি বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে মুল ঠিক রেখে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন অন্য দলের বড় নেতা জামায়াতে সোজা আসার সুযোগ নেই। এ ধরনের আরও অনেক বিষয় আছে যা যুগোপযোগী হওয়া প্রয়োজন।
ধন্যবাদ আপনাকে। চালিয়ে যান। সমালোচনা করার বা শোনার মত টলারেন্স জামায়াত নেতাদের খুবই কম। ত্যাড়া নাম্বার ওয়ান। হযরত ওমরের কথা বললেও ওমরকে মানেনা। নিজেদের সেইভ করার প্রশ্নোত্তরে স্লিফ সিষ্টেম কর্মীদের অতৃপ্ত হৃদয়ে ফিরে যেতে হয়..
ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে।
বর্তমানে একজন সাধারন মুসলমানের পেছনে সময় দেয়ার চেয়ে একজন আলেমের পেছনে ১০ গুন সময় দেয়া অধিকতর ভাল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন