অবশেষে জামায়াত ইসলামী গতানুগতিক রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাচ্ছে!
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৪০:২১ দুপুর
মজলিশে সুরার মাসব্যাপী আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেছনে নিম্নবর্নিত কারনসমূহ চিহ্নিত করেছে।
১। প্রচলিত সংবিধানের সাথে সমঝোতা(Compromise) করে নিজেদের কার্যবিবরনীতে ধারা উপধারা সংযোজন কিংবা বিয়োজন কুরয়ান সুন্নাহ পরিপন্থী বিধায়। দারুন নদওয়া বা কুরাইশদের সংসদে রসুল (সঃ) এর আসন না গ্রহন করাকে কারন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
২। গনতন্ত্র ও মানব রচিত মতবাদ। সংখ্যাধিক্যের সম্মতি ভুল হলেও সেটাকেই মেনে নেয়া এটা গনতন্ত্রের দূর্বলতা।সুরা আনয়ামের ১১৬ নং আয়াতকে গনতন্ত্রের দূর্বলতা কিংবা গনতন্ত্র সম্পর্কে রসুল (সঃ)কে অনুতসাহিত করা হয়েছে।
“ আর হে মুহাম্মাদ ! যদি তুমি দুনিয়ায় বসবাসকারী অধিকাংশ লোকের কথায় চলো তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে ফেলবে৷ তারা তো চলে নিছক আন্দাজ-অনুমানের ভিত্তিতে এবং তারা কেবল আন্দাজ-অনুমানই করে থাকে৷”
আল্লাহ কুরানের অন্যত্র আল্লাহ এরশাদ করেছেন “যে জানে আরা যে জানেনা সে কি এক” অথবা “অন্ধ ও চক্ষুস্মান কি এক”? যেখানে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ “ইসলাম একটি পুর্নাংগ জীবন বিধান Islam is a complete code of life” জানেনা বা বোঝেনা সেখানে নির্বাচনী গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্টার চেষ্টা করা বোকামী নয় কি?
৩। মানবরচিত মতবাদের সাথে ইসলামকে কিংবা রসুলের আদর্শকে অন্যান্য মানুষের আদর্শের সাথে তুলনামুলক প্রতিযোগীতায় ঠেলে দেয়া অনুচিত বিবেচনা করা হয়েছে।
“আর হে মুহাম্মাদ! যখন তুমি দেখো, লোকেরা আমার আয়াতের মধ্যে দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছে তখন তাদের কাছ থেকে সরে যাও, যে পর্যন্ত না তারা এ আলোচনা বাদ দিয়ে অন্য প্রসংগে লিপ্ত হয়৷” আনাআমঃ৬৮
“আর ( হে ঈমানদারগণ!) এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না৷ কেননা, এরা শিরক থেকে আরো খানিকটা অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত যেন আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে৷ আমি তো এভাবে প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের কার্যক্রমকে সুশোভন করে দিয়েছি৷ তারপর তাদের ফিরে আসতে হবে তাদের রবের দিকে৷ তখন তিনি তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে তাদেরকে জানিয়ে দেবেন৷” আনাআমঃ১০৮
কায়েমী স্বার্থবাদীরা ইসলামের দোষত্রুটি খুজে বেড়ায় এবং ইসলামকে নিজস্ব পছন্দনীয় গন্ডির মধ্যে বেধে দিতে চায়, তথাকথিত মানবাতাবাদী ও প্রগতিশীলরা ইসলামী বিধিবিধান নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার প্রয়াস পায়। আর যেই সংসদে বিধর্মী, নাস্তিক ও অমুসলিম, অর্ধমুসলিমরা আইন তৈরী করার সুযোগ পায় সেখানে কোরানের আইন নিয়ে আলোচনা করা কোরানের মর্যাদা হানিকর। এছাড়া যারা আল্লাহর আইনের পরিবর্তে আব্রাহম লিঙ্কনের গনতন্ত্র, মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ কিংবা ব্রিটিশ আমেরিকান আইনকানুনে শান্তি খুজে তাদের সাথে কি তর্কে লিপত হওয়া উচিত।
৪। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্টার নজির নেই বললেই চলে। নিকট অতীতেও বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতা গ্রহন করেছে ও অব্যাহত রেখেছে কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে জিতেও মিশরে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনাই। সালাউদ্দীন আইয়ুবী কিংবা তারিক বিন যিয়াদরাও নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামকে বিজয়ী করেননি। ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশ্লেষন করলে এই ধারনা লাভ করা যায় যে নির্বাচনী গনতন্ত্রে ইসলাম প্রতিষ্টার প্রচেষ্টা ইসলামী ঐতিহ্যের পরিপন্থী ও অসম্ভব।
৫। বিএনপিকে বন্ধু মনে করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে শত্রু মনে করা দাওয়াতের ক্ষেত্রকে সঙ্কীর্ণ করে ফেলা। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিএনপিতে যেমন নামাজী আছে আওয়ামী লীগেও আছে। আবার আওয়ামী লীগে যেমন ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসকারী আছে বিএনপিতেও আছে। কয়েক দিন আগে তারেক জিয়ার বক্তব্য ইহা স্পষ্ট “ধর্মের উপর ভিত্তি করে রাজনীতি উচিত নয়” আওয়ামীলীগের নেতৃস্থানীয় ও সুবিধাভূগীরা কিংবা প্রথমশ্রেনীর ৫-১০% শতাংশ ছাড়া অন্যরা ততটা কট্টোরভাব পোষন করতো না যদি সুযোগ দেয়া হত। বিএনপির উপর নির্ভর করা অনেকটা আনকাবুতের ৪১ নং আয়াতের মত।
“যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে নিয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত হলো মাকড়সা৷ সে নিজের একটি ঘর তৈরি করে এবং সব ঘরের চেয়ে বেশি দুর্বল হয় মাকড়সার ঘর৷”
৬। জামায়াতকে ঘায়েল করার জন্য আওয়ামী লীগ জংগীতত্ব প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করছে। এর ফলে ইসলামী প্রিয় নিরীহ সাধারন মানুষও হয়রানির শিকার হচ্ছে। সাধারন মানুষ কুরয়ান, হাদিস কিংবা মাসলা মাসয়ালের বই নিয়েও নির্ভিঘ্নে চলা ফেরা করতে পারছেনা। জিহাদী বই কিংবা জংগী বলে পুলিশের আটক বানিজ্যে জনজীবনে অশান্তি বিরাজ করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পশ্চিমাদের সহানুভুতি আদায়ে দেশে আলকায়েদার যোগসুত্র বাজারজাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই ইন্দো-মার্কিন আশু ড্রোন হামলা থেকে রেহাই পেতে ও মুসলমানদের ইসলাম চর্চার পথ স্বাভাবিক করতে বৃহতর স্বার্থে আপাতত রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাওয়াই শ্রেয়তর মনে করছে।
৭। প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীর জেলজুলুম থেকে মুক্তি ও স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরে আসা এবং দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে থাকা অফিস কার্যক্রম শুরু করার জন্য ইসলাম সমর্থন করে না এমন গনতান্ত্রিক পদ্ধতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করা আত্মহত্যার শামিল।
বিষয়: বিবিধ
২১৪২ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাসুল (স) গণতন্ত্র উৎখাত করে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
প্রথমে যে বিষয়টি পরিষ্কার থাকা দরকার তা হল, জাহিল যুগে মক্কায় কি ধরনের শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। এ ক্ষেত্রে হয়,
১. রাজতন্ত্রও, না হয়
২. সামরিকতন্ত্রও, না হয়
৩. স্বৈরতন্ত্র , না হয়
৪.গনতন্ত্র শাসনব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যমান ছিল।
রাসূল (স) এর জিবনীগ্রন্থগুলো পাঠ করে মক্কার তৎকালীন শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আসুন দেখি, মক্কায় কি ধরনের… শাসনব্যবস্থা ছিল।
* খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকের মধ্যভাগে কুসাই নামক এক ব্যক্তি মক্কার উপর আধিপত্য ঘটাতে সক্ষম হয়।
সে কাবা শরিফের উত্তর পাশে দারুন নদওয়া প্রতিষ্ঠিত করে যা ছিল কুরাইশদের সংসদ। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য বিষয়াদির বিচার বিশ্লেষণ করা হত। এটা ছিল তাদের ঐক্যের প্রতীক এবং এখানেই তাদের বিক্ষিপ্ত ও বিতর্কিত সমস্যাবলী ন্যায়সঙ্গত উপায়ে মীমাংসিত হত।
( অর্থাৎ, কোন বিশয়ে সমস্যা দেখা দিলে, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সমাধান গ্রহণ করত। একইভাবে আজকের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সংসদে MP রা নতুন সমস্যার সমাধানে আইন পাশ করে। সংসদ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, যে কারণে বুদ্ধিজীবীরা সবসময় বিরোধী দলকে সংসদে যেয়ে আপোষ মীমাংসা করতে বলে, বিরোধী দল সংসদে গেলে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক, জাতীয় ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, খিলাফত রাষ্ট্রের মজলিশে শুরা কোনমতেই গণতান্ত্রিক সংসদের মত নয়। তারা খলীফার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন, জনগণের সমস্যা তুলে ধরেন এবং খলিফাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। খলিফা সেই পরামর্শ গ্রহণে বাধ্য নন। আর বিতর্কিত বিষয়ের মীমাংসা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আদালত এবং কিয়াসের মাধ্যমে আলেম সমাজ ভূমিকা পালন করেন। এক্ষেত্রে মজলিশে শুরার ভূমিকা থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। মজলিশে শুরা জাতীয় ঐক্যের প্রতীকও নয় এবং গণতান্ত্রিক সংসদের মত বিতর্কিত বিষয়ের মীমাংসা করার স্থান ও নয়। তার জন্য বিচার ব্যবস্থাই যথেষ্ট।)
কুসাইয়ের দায়িত্ব ছিল,
*দারুন নদওয়ার সভাপতিত্ব (speaker of the parliament)
*লিওয়াঃ যুদ্ধের পতাকা কুসাইয়ের হাতেই বেঁধে দেয়া হত। (যেরকম আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর প্রধান।)
*কিয়াদাহঃ আমদানি রপ্তানির বিষয় দেখাশোনা।
*হিজাবাতঃ কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণ। (ধর্ম মন্ত্রণালয়)
*সিকায়াহ ও রিফাদাহঃ হজ যাত্রীদের পানি পান করানো এবং মেহমানদারিত্ত (এক অর্থে পর্যটন মন্ত্রালয়)
এটা ছিল দারুন নদওয়ার প্রাথমিক অবস্থা। পরে আরও সংস্কার সাধিত হয়, কুসাইয়ের মৃত্যুর পর।
এ ছাড়াও দারুন নদ ওয়ার আরও কিছু দায়িত্ব ছিল।
ঈসারঃ ভাগ্য নির্ণয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মধারা নিরূপণের জন্য মূর্তির পাশে রক্ষিত তীরের মালিকানার ব্যবস্থা ছিল। (এ যুগে অবশ্য হাঁ- না ভোটের মাধ্যমে তা করা হয়)
ধন সম্পদ ও বিচার ব্যবস্থাপনাঃ মূর্তির নৈকট্য লাভের জন্য যে কুরবানি এবং মানত উৎসর্গ করা হত, এ হচ্ছে তারই ব্যবস্থাপনা। (এ যুগে বিষয়টিকে IMF, WB এর কাছ থেকে ঋণ নেয়ার জন্য নিজ দেশের সম্পদ কুরবানি করে কাফির মুশরিকদের হাতে তুলে দেয়ার সাথে তুলনা করা যেতে পারে।) বিবাদ বিসম্বাদ এবং মামলা মোকদ্দমার মীমাংসার বিষয়টিও ছিল এর সাথে সংশ্লিষ্ট।
গণতন্ত্রের একেক সময় একেক রূপ, কখনও হিজড়া, কখনও নারী, কখনও পুরুষ, কিন্তু ইসলাম একটাই।গণতন্ত্র কোনও জীবন ব্যবস্থা নয়, বরং এটি জীবনব্যবস্থাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার রাজনৈতিক মাধ্যম মাত্র।
আমার এই বক্তব্যের সমর্থনে নিচের সংবাদটি পড়ুন।
জামায়াত-শিবিরের টার্গেট সেনাবাহিনী
একই সাথে প্রতারনার এ শাসনতান্ত্রিক সিম্বল তার কাজের পরিধি পৃথিবীব্যাপি ছড়িয়ে দিতে অন্যান্য প্রতারনা প্যাকেজ ও প্রোডাক্ট (যেমন অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করতে আই এম এফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ব্রিটন উডস এ্যাগ্রিমেন্ট, শাসক ও শাসনতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে জাতিসংগ, সিকিউরিটি কাউন্সিল ও জাতিসংগভুক্ত অন্যান্য অংগ সংগঠন, প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রন করতে ন্যাটো, ইন্ডিভিজ্যুয়াল মানুষের বিলিফ সিস্টেম ও শান্তি বিনষ্ট করে ক্রিতদাস বানাতে - উইমেন রাইটস, সিলড্রেন রাইটস ইত্যাদি, ব্যবসা বানিজ্য নিয়ন্ত্রন করতে ও বখরা নিশ্চিত করতে ফ্রি মার্কেট ইকোনমি, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশান ও ওপেক, মানুষকে ক্ষুদ্ধ ও নিশৃংসতার গতি প্রকৃতি বুঝিয়ে ভীত করতে ইসরাইল এর জন্ম দিয়েছে, আল কায়েদা ও আই এস নামক অদ্ভুত মিডিয়াপুত্র কন্যার জন্ম দিয়েছে) এর জন্ম দিয়েছে এবং এ্যাকটিভেট করিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর মত প্রজ্ঞা সম্পন্ন, ক্যাপাবল একটা মুসলিম শক্তি যদি দেরীতে হলেও এ বিষয়টি বুঝতে পারে - তা মুসলিম উম্মাহ র জন্য উপকারী বই ক্ষতি নয়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি - জামায়াত বাংলাদেশী জাতিস্বত্তার বাহিরে এসে মুসলিম জাতিস্বত্তায় মনোনিবেশ করবে, ইসলাম বিদ্বেষী বা আল্লাহ দ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং আজকের বিশ্বকে এবং বিশ্ব ব্যবস্থাপনাকে কোরান ও হাদীস দ্বারা বিচার বিশ্লেষন করবে এবং সে অনুযায়ী যথাযথ কার্যপ্রনালীর উদ্ভাবন করবে এবং মুসলিমদেরকে দিকনির্দেশনা দেবে ও নেতৃত্ব দেবে, শুধু মাত্র জামায়াত কে নয়।
পত্রিকা বা ব্লগে লিখে সমস্যার সমাধান দেয়া হচ্ছে।
বিষয়টা কেমন হল না।
গনতন্ত্রকে যেভাবে দারুন নদওয়ার সাথে মিলালেন। দারুন হয়েছে। কিন্তু ভাই
সমাধানটা হল কিসে?
গনতন্ত্র নাই
বিপ্লব নাই
আন্দোলন নাই
আমার কাছে কেমন লাগছে।
ব্যবহৃত হব কার দ্বারা।
কাদের লাঠিয়াল হব।
কাদেরকে ভোট দেব।
তাবলীগ জামায়াতের ভাইরা কি ভোট দেয় না।? এটা প্রশ্ন।তিন কেটি মানুষ তাবলীগের সাথে আছেন। বাংলাদেশে মোট ভোটের অর্ধেক।
আবার ও বলছি কেমন যেন লাগছে।
ধন্যবাদ।
৯০% মানুষই অমুসলিমদের থেকে একটু বেশি বোঝে এবং মানে। আমাদের দাওয়াত টা ক্লাসিফাইড হওয়া উচিত। আমরা এখন মক্কী জীবনের পর্যায়ে নেই, আমাদেরকে দাওয়াত দিতে মানুষ ইসলাম সম্পর্কে যে গ্যাপ আছে সেটাকে এড্রেস করে।
যদি জামায়াত রাজনীতি নাও করে আওয়ামী লীগ জঙ্গি তত্ত্ব থেকে ফিরে আসবে না। ইসলাম ধর্মকে উল্টো ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ! ধর্মতত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতির পায়দা পুরো নিচ্ছে। এবং নিবে। সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী।
আমার উল্লেখিত আয়াতটির আমি কোন ব্যাখ্যাই দেইনি সেখানে আপনি অপব্যাখ্যা পেলেন কোথায়? বরং জামায়াত রাসুল কর্তৃক ইহুদীদের সাথে করা সন্ধির অপব্যাখ্যা করে বিএনপির সাথে জোট করেছে। জোট আর সন্ধি যে এক নয় তার ব্যাখ্যা আপনার পোষ্টেই রয়ে গেছে। আর তাছাড় জোট আর সন্ধি শব্দ দুটির পার্থক্যটা বুঝলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন