অর্বাচীন তারেক ও কিছুকথা
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২৫ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৫৪:৪৭ দুপুর
১। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র প্রস্ততকারীরা বা হত্যাকারীরাই শেখ হাসিনার নেতা বা মন্ত্রী।
যুক্তিঃ ক) ইনু কিংবা মতিয়া মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাতে চেয়েছিলেন।
খ) মিডিয়ায় সাক্ষাতকারে ইনুরা বলেছিলেন-শেখ মুজিব ছিলেন স্বৈরাচারী,
ঘ)কাদের সিদ্দিকীর একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘১৪ আগস্ট দিবাগত রাতে শেখ মুজিবের জ্ঞাতসারেই তিনটি ট্যাংক ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাজপথে বেরিয়ে এসেছিলো। ইনু বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতেই এইসব ট্যাংক নামাতে বাধ্য হয়েছিলেন শেখ মুজিব। কারণ ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।’ ‘রাজপথে ট্যাংক নামানোর মতো এই পরিস্থিতি তৈরী করলো কারা? কোন দল? কোন বাহিনী?’
২।আওয়ামী লীগ আসলে কুলাঙ্গারদেরই দল।
যুক্তিঃ
“মুজিব হত্যার পর আওয়ামী লীগ নেতা মুশতাক রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক সমাবেশে বলেছেন, ‘মুশতাক আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার।’
যারা মুশতাক মন্ত্রীসভার শপথে গিয়েছিলেন, শপথ পরিচালনা করেছিলেন, সেইসব লোকরাই এখন শেখ হাসিনার নেতা-মন্ত্রী।
৩।শেখ মুজিবের পরিবার খুনি পরিবার।
যুক্তিঃ
ক)শেখ মুজিব পাকিস্তান আমলে সংসদের তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীকে সংসদ কক্ষে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল।
খ)স্বাধীনতার পর ৩০ হাজার মানুষকে হত্যার জন্য দায়ী শেখ মুজিব।
গ)১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগই বিচারবহির্ভূত ক্রসফায়ার চালু করেছিল। ক্রসফায়ারে ভিন্নমতাবলম্বী সিরাজ সিকদারকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর শেখ মুজিব সংসদে দাঁড়িয়ে আইন আদালতের তোয়াক্কা না করেই বলেছিলেন-কোথায় আজ সেই সিরাজ সিকদার?”
ঘ)মার্কিন মাসিক রিডার্স ডাইজেস্ট ১৯৭৫-এর মে মাসের একটি প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে শেখ মুজিব সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, “পত্রিকটি লিখেছিলো- ‘শেখ মুজিব দু’টি বেসামরিক সংগঠনের ওপর নির্ভরশীল। একটি হচ্ছে তার ভাগ্নে শেখ মনির এক লাখ সশস্ত্র একগুঁয়ে যুবকের সংগঠন যুবলীগ, আর একটি হলো নিষ্ঠুর রক্ষীবাহিনী।”
ঙ) ‘ঢাকা বিশ্ব¦বিদ্যালয়ে একটি হলের সামনে ৭ খুনের জন্য দায়ী শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল। বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায়ও শেখ কামালের নাম ইতিহাসে লেখা।’
চ) বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় সামরিক বাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী অফিসারসহ ৫৪ জনের হত্যার পেছনে শেখ হাসিনা জড়িত। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ হাসিনা হাসাহাসি করতে করতে পা বিস্কুট খাচ্ছিলেন এ কথা জানিয়েছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার প্রিয় মঈন।’
ছ)‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার খায়েশ পূরনের জন্য লগি-বৈঠা নিয়ে রাজপথে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।’
৪। বিবিধ
ক) ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন-অপহরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।’
খ) ‘শেখ মুজিবের আমলে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে বটমলেস বাস্কেট হিসেবে পরিচিত পেয়েছিলো।
গ) শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ বিশ্বে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের কলঙ্কজনক তালিকায় প্রথম হয়েছিলো।
ঘ) পদ্মাসেতু প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা চুরি করতে গিয়ে বিশ্বব্যাংকের হাতে ধরা পড়ে বাংলাদেশের ইমেজ বিশ্বে কলঙ্কিত করেছে।
ঙ)২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে হামলার ব্যপারে তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ না করে দেড় ঘন্টার নোটিশে কি উদ্দেশ্যে দলীয় সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করেছিল? এটি প্রমাণ করে শেখ হাসিনা ওইদিনের হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানতেন। তিনি ২১ আগষ্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।’
চ), ‘তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের এই সুবর্ণ সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪৮তম।’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে শেখ হাসিনা দেশে বিদেশে পারিবারিক ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে কিনা সেই হিসেব নেয়ার অধিকার জনগণের রয়েছে।’
উপরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যে অভিযোগগুলো করেছে তার স্বপক্ষে কোন যুক্তিটি অযোক্তিক যার কারনে তারেক রহমানকে অর্বাচীন বলা যেতে পারে।
প্রিয় পাঠক এ বিষয়ে আপনার মুল্যবান মন্তব্য কামনা করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৩ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বরং দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়েও দলগুছাতে না পারা এবং আন্দোলন পরিচালনায় অক্ষমতার জন্যও তাকে অর্বাচীন বা অন্য কোন আখ্যা দেয়া যায়!
উনি তো আর টক-শো-সুশীল নন যে তাঁর বক্তৃতাকেই মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্তে আসতে হবে!
তিনি রাজনৈতিক দলের নেতা- রাজনীতির ময়দানে কাজ দেখাতে না পারলে আমজনতার কাছে ওসব দামীকথার মূল্য দু-পয়সাও নয়!
সিদ্ধান্তহীনতা আর দলগুছানোর ব্যর্থতা, দলের গঠনতন্ত্র কার্যকর রাখতে না পারা....
আরো অনেক কিছু নাই-বা বললাম
আমি চাই উনি এখন জাতির ঐক্যের প্রতীক হোন- বিভেদের নট নয়!
আর এজন্য অ-নে-ক কিছুই তিনি বাইরে থেকেই করতে পারেন যা করছেন না!
প্যাঁচার অপছন্দে সূর্যোদয় আটকে থাকেনা-
যদিও অনেকের অনেক কিছুই তাঁর অপছন্দ- কিন্তু বাস্তবতা উপেক্ষা করা তাঁর ও বিএনপির জন্য আত্মহত্যার সামিল!
বলব কত আর,
চোখ খুললে যায়না দেখা,
মুজলে পরিষ্কার৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন