হাসিনা সরকারের গোয়ার্তুমির জন্য বাংলাদেশকে টপকে পোষাক রপ্তানীতে হাসিনাদের জানেমান ভারত দ্বিতীয়।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ০৪ জুন, ২০১৪, ১১:২৩:৫৪ সকাল
হাসিনা গংদের ক্ষমতার লিপ্সার শিকার বাংলাদেশের পোষাকশিল্প । মনমোহন ও শরনদের কুটকোশলে শিশু বনে যাওয়া ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতা দখলে নেয়া হাসিনা-ইনুরা দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বজায় রেখেছিল। এই সুযোগে ভারত বিভিন্ন প্রদেশ ৫০টি ইপিজেড নির্মান করেছে যেখানে ৪০০০টি গার্মেন্টস প্রতিষ্টা সম্ভব যা বাংলাদেশের মোট গার্মেন্টস সংখ্যার সমান।
বাঙ্গালাদেশে বর্তমানে হরতাল ধর্মঘট না থাকলেও নিয়মতান্ত্রিক গনতন্ত্রের অভাবে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আস্থার সঙ্কটে ভুগছে তাই একটু দাম বেশী হলেও তারা ভারতের দিকে ঝুকছে।
গত কয়েক মাসে ২০০র মত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে যেখানে লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে পড়বে যার ফলে ২ কোটিরো বেশী মানুষ না খেয়ে মরবে যা জাতির পিতা,বংগবন্ধুর ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষকে গনতন্ত্রের মানস্কন্য দিন বদলের সনদে বিশ্বাসী নতুন প্রজন্মকে অনুধাবন করতে অসুবিধা হবে না।
দুষ্ট লোকেরা বলে ত্বকের ব্যবসা রমরমা হবে,সহজলভ্য হবে। আবার কেউ চিন্তিত খদ্দের পাবে কোথায়, খদ্দের পেলেও টাকা পাবে কোথায়? ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি বলবে কেন রপ্তানী করব।
তখন হয়ত হনু তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলবে রাশিয়ার ১নং ব্যাবসা পতিতাবৃত্তি, ব্রিটেনেরও ৩য় আয়ের উৎস । ব্রাজিলে ইতোমধ্যে ১৫ লক্ষ পতিতা অবস্থান করছে। আমরা যেহেতু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র পতিতা বৃত্তিতে আমাদের সাংবিধানিক বাধা নেই। উন্নত রাষ্ট্র যেহেতু এই ব্যাবসা করে উন্নত হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক দামে আমরা বিশ্বে ১ নম্বর হওয়ার সুযোগ আছে, গার্মেন্টসের ২ নং অবস্থানের স্থলে এখানে ১ নম্বর হব। তখন বুদ্ধিজীবিরা একযোগে হলুদ মীডিয়ার মাধ্যমে বলবে Failure is the pillar of success. চীনাপন্থীরা কনফুসিয়াসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলবে, ব্যর্থতার মাঝে লুকিয়ে আছে সাফল্যের বীজ।
ইমরানরা গনজাগরন মঞ্চের মাধ্যমে জনমত তৈরী করবে।
বাঙ্গালদেশ বাই প্রোডাক্ট হিসেবে এইডস আক্রান্ত দেশের তালিকাতেও শীর্ষে অবস্থান করবে।
পরিশেষে বলতে চাই নিয়মতান্ত্রিক গনতন্ত্র চর্চা না থাকার কারনে আমাদের অর্থনীতি ঝুকিপূর্ন। ইতোমধ্যে সিপিডি গবেষনার মাধ্যমে জানিয়েছে পটপরিবর্তন না হলে বিনিয়োগ বাড়বেনা কারন বিদেশীরা স্বৈরতান্ত্রিক দেশে বিনিয়োগ করে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের একমাত্র উপায় সবদলের অংশগ্রহনে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এই নির্বাচন দিতে দেরী হলে অনেক সুযোগই হাত ছাড়া হয়ে যাবে। আর ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিনাশর্তে দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি করবে যেমন টিকফা চুক্তি , ভারতের সাথে সকল ধরনের চুক্তি।
রপ্তানীতে বাংলাদেশকে টপকে
বিষয়: বিবিধ
১৩১২ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসবে কিচ্ছু হবে না । ২০২১ সালের আগে ক্ষমতা ছাড়বো না!
দিদির বয়স কমনা
নয়াদিল্লি মগজ রেখে
ঘোরেন ঢাকা রমনা।
জাতি ভাইকে মেরে কেটে
দেশটা জুড়ে গন্ডগোল
ওপাড়ীরা নিচ্ছে ফায়দা
ছাড়েন দিদি ভন্ড বোল!
দুজনই দাদাদের তুষ্ট করতেছেন। একজন ছিন্নভিন্ন হয়েছে আরেকজনের কি হয় দেখার অপেক্ষায়----
মন্তব্য করতে লগইন করুন