ইসলামী বিপ্লবের পথে অন্তরায় জামায়ত ও পরিবর্তনশীল জামায়াত।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২০ মে, ২০১৪, ১১:৫২:০৭ সকাল
৭৫ জন ব্যাক্তি থেকে শুরু হওয়া জামাত এখন লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিল যা পাক-ভারত উপমহাদেশে বিস্তৃত। ৬৪ বছরে রাজনৈতিক ইসলাম বা ইসলামে রাজনীতির সমর্থন বাড়লেও দূর ভবিষ্যতে সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীন থেকে ক্ষীনতর। খেলাফতে ইসলাম বা ইসলামী শাষনতন্ত্র প্রতিষ্টার ততপরতার তুলনায় অপততপরতা, অপপ্রচার ও মিডিয়া সন্ত্রাস অনেক গুন বেশী। পাশাপাশি ইসলামী নেতৃত্বের অদূরদর্শী কর্মসূচী , অনৈক্য ও উচ্চাবিলাষী চিন্তা এবং তাগুতী সংবিধান বা পদ্ধতির সাথে আপোষ করে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাই ইসলামী বিপ্লবের পথ রুদ্ধ করে দেয়। ফলশ্রুতিতে একই বৃত্তের মধ্যে আবর্তিত হতে থাকে ইসলামপন্থীদের কর্মকান্ড।
জামায়াত ইসলামীর একগুঁয়েমি ও ইসলামী বিপ্লবের মুল স্রোত থেকে দূরে এসে বন্ধুর তুলনায় শত্রু বাড়িয়েছে। এক দিকে আলেম ওলামা্রা যেমন বিরোধিতা করে অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের শক্তিশালী মিডিয়াসেল অপপ্রচারের মাধ্যমে জামায়াতের প্রতি বিষেদাগার তৈরী করেছে।
জামায়াত তার কর্মসূচীর পরিবর্তন করেছে ইসলামী বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তৈরীর অনেক আগে। এই জন্য পর্যালোচনা করার দরকার জামায়াত গঠনের গোড়ার কথা।
"ঐ সময়ে দুইটি পরস্পর বিরোধী শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। ক . পুরাতন ধর্ম ভিত্তিক( মাদ্রাসা)স্কুল খ. নতুন পশ্চিমা ধারার স্কুল। প্রথমটার বৈশিষ্ট্য ছিল সময় অনুপযোগিতা বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিচারে(ইংরেজিতে বলে suffered from stagnation) এবং অন্ধঅনুকরন (তাকলিদ)যা সমাজে দুর্বল চেতা খুবই রক্ষনশীল মুসলমান তৈরি করছিল। অন্যদিকে দ্বীতিয় মাধ্যম ছিল বিদেশি সংস্কৃতির উপর নির্ভরশীল এবং একেবারে ইসলামিক চিন্তা চেতনা থেকে দুরে।
একটা মাধ্যম যে সমস্ত লোক তৈরি করছিল তারা বাস্তবিক অর্থে সমাজের দায়িত্ব নেয়া ও নেতৃত্ব দেয়ার অনুপযোগি এবং তা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন লোক তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছিল।অন্যদিকে অন্য মাধ্যম দুনিয়াবী যোগ্যতা সম্পন্ন লোক তৈরি করছিল বটে কিন্তু তা ধর্মের দিকনির্দেশনা অনুসারে ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন লোক তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছিল। ঐ পরিবেশে অবস্থা দাড়িয়েছিল এই যে, দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা দুই ধরনের ভিন্ন spirit বা মানসিকতার লোক তৈরি করছিল যাদের চিন্তা চেতনা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীতমুখি।ফলে এটা সমাজের অভ্যন্তরে মারাত্নক conflict তৈরি করছিল।(1)
এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে মাওলানা মওদুদী “দারুল ইসলাম” প্রতিষ্ঠা করেন যার লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল নিন্মরুপ ;
অর্থাৎ, “আধুনিক যুগের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় এবং ধর্মীয় বিজ্ঞানে যাদের গভীর দখল রয়েছে,এমন মানুষকে একটা প্লাট ফরমে নিয়ে আসার ব্যাপারে আমরা সীদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এই ধরনের লোক গুলো অবশ্যই অতি উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন এবং বুদ্ধিভিত্তিক দক্ষতা সম্পন্ন হবে। তারা খুবই ভাল চরিত্রের অধিকারী একজন মেন্টরের নেতৃত্বে কাজ করবেন যিনি কিনা অল্প সময়ের মধ্যেই নিযুক্ত হবেন। পবিত্র কোরআনের অন্তর্নীহিত এবং পরিপূর্ন অন্তদৃষ্টি সম্পুর্ন জ্ঞানের পাশাপাশি তিনি আধুনিক বিপ্লব এবং বিভিন্ন সাম্রাজ্য বা শক্তির পরিবর্তন সম্পর্কেও জানবেন।তিনি ঐ লোকদেরকে আল্লাহ প্রদত্ত ওহীর স্পিরিট ও রাসুলের সুন্নাহর আলোকে সব কিছু সবিস্তারে বর্ণনা করবেন। তিনি তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামিক চিন্তার পূনর্গঠনেও সাহায্য করবেন, ঐ সমস্ত বিষয়ের মধ্যে থাকবে দর্শন, হিকমা,এথিকস(মূল্যবোধ), রাষ্ট্র বিজ্ঞান, অর্থনীত,যার ফলে তাদের নেতৃত্বে দাওয়াতী কাজ এবং প্রচেষ্টায় ইসলামের স্বর্নময় যুগের পূনর্জাগরণ ঘটবে।”
কিন্তু এক্ষেত্রে জামায়াত কিছুটা সফল হলেও ইসলামী বিপ্লবের ক্ষেত্র তৈরী হওয়ার কয়েক যুগ আগেই রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
গনতান্ত্রিক পদ্ধতি বা নির্বাচনী গনতন্ত্রে ইসলাম প্রতিষ্টা সম্ভব নয় এই বোধোদয় না হলে ইসলাম প্রতিষ্টা সম্ভব নয়। কারন একজন অজ্ঞ মানুষের ভোটের মূল্য ও একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষের ভোট যেখানে এক সেই ধরনের নির্বাচনী গনতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম প্রতিষ্টা অসম্ভব এটা বুঝার জন্য খুব বেশী জ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই।
তাই জামায়াতের উচিত রাজনৈতিক ইসলাম থেকে সরে এসে ইসলামী শিক্ষার প্রচার প্রসারের মাধ্যমে মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন ঘটানো যেভাবে শুরু করেছিল ১৯৪১ সালে দারুল ইসলামের মাধ্যমে।
বর্তমানে শিবিরের মাধ্যমে যে পরিমান শিক্ষার্থী আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে যদি জামায়াত রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়াতো তাহলে আর দু দশক আগে ইসলামী বিপ্লব হতে পারত। জানিনা জামায়াত কি এখনো একই চক্রে আবর্তিত হবে না মুল চেতনায় ফিরে যাবে।
পরবর্তী পর্বে ভবিষ্যত কর্মপন্থা নিয়ে পোষ্ট দিব।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৯ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই জামায়াতের উচিত রাজনৈতিক ইসলাম থেকে সরে এসে ইসলামী শিক্ষার প্রচার প্রসারের মাধ্যমে মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন ঘটানো যেভাবে শুরু করেছিল ১৯৪১ সালে দারুল ইসলামের মাধ্যমে।
যেমন ধরুণ- বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি আওয়ামীলীগ বনাম জামায়াত (দ্বিদলীয়) নির্বাচন করে সুষ্ঠভাবে তবে নিশ্চিতভাবে আওযামীলীগ হারবে। কিন্তু সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়ার কি কোনো জো আছে।
দেশের ধরুণ ৯০ % লোক জামায়াত প্রচারণা চালিয়ে ইসলামের পথে নিয়ে আসলো। কিন্তু যাবতীয় অস্ত্র ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বিরোধী মতের দখলে। তাহলে শুধু জনসমর্থন কি ক্ষমতা দখলে আদৌ কোনো কাজে আসবে?
উপজেলা নির্বাচনেও প্রমাণ হয়েছে- জামায়াতের জনসমর্থন খুব বেড়েছে। কিন্তু লাভ হলো কি?
হাচাঁ কথা কইছেন বদ্দা।
জামাত যদি তার পলিসির পরিবর্তন না করে তবে ভবিষ্যতে তারা যেভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আরোহনের মাধ্যমে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বে! স্বপ্নে বিভোড় আছেন তাদের স্বপ্ন হয়তো স্বপ্নই থেকে যাবে। জামাতীদের সাথে মারাত্মক আক্বিদাগত মতভেদের দুরত্ব রয়েছে দেওবন্দীদের সাথে। আবার রাজনৈতিকভাবেই জামাতের সহযোগী অথবা সমগোত্রীয় বলতে প্রকৃত অর্থেই অন্য কোন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠেনি। প্রক্ষান্তরে ভারতে বিজেপির উত্থানের পেছনে কংগ্রেসের হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে বেশী। এ ধরনের বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলাকে বরাবরই জামাতীরা পথের কাঠা মনে করেছে। অথচ মিশর, তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া এমনকি আমাগো প্রতিবেশী ভারতেও রয়েছে বিকল্প ফ্লাটফর্মের উন্মেষ ঘটানোর দূরদর্শি কর্মসূচী। বর্তমানে যাদের সাথে জামাতের প্রকাশ্য সখ্যতা রয়েছে বলে রাজনৈতিক ঐক্য দৃশ্যমান তা প্রকৃত অর্থে কোন ঐক্যই নয়। বরং এ ঐক্য জামাতীদের বাংলাদেশের রাজপথে দাড়ানোর যেমন সার্বিক ক্ষমতা হারিয়েছে, তেমনি আদর্শিকভাবেই জামাত হীনমন্যতায় আক্রান্ত হয়েছে। মাঝখানে হঠাৎ হেফাজতীদের বায়বীয় জজবায় জামাতও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল এই বুঝি দড়িচেড়া হাম্বা বাচুরদের গলায় আবারো দড়ি পড়ানোর মওকা মিলে গেল! অথচ ঐক্যের স্থায়ী বন্ধন রচনা করার যাবতীয় উপদান এবং লজিস্টিক সাপোর্ট ছিল কথিত হেফাজতিদের সাথেই। কিন্তু না, জামাত সেদিকে নজর না দেয়ার অতীতের একগুয়েমী ত্যাগ করার মানসিকতা অর্জন করতে শিখেনি। বাইয়ুনপি এবং হাম্বালীগের মধ্যে আদর্শগত মৌলিক কোন পার্থক্য না থাকলেও জামাতীরাই এই পার্থক্যের রেখা আবিস্কার করে দিয়েছিল। হাম্বার বাচুরা সেকিউলার! আর বায়ুনপির আবালরা নন-সেকিউলার!! কি অদ্ভুত সমীকরণ!
জাতীয় পর্যায়ের কথা বাদ দেন। বাংলাদেশের যেকোন একটি জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের এ দু'দলের নেতা কর্মীদের একটি তুলনামূলক চিত্রের বিশ্লেষণ করে দেখুন তো! তাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রা এবং পাবলিক ডিলিংয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা? পার্থক্য শুধু রাজনৈতিক দলের নাম। চিন্তা চেতনা, রুচিবোধ, শিক্ষা-দিক্ষা ও সামাজিক আচার আচারণে কোথায় পার্থক্য আছে বাইয়ুনপি এবং হাম্বালীগার মধ্যে? অথচ জামাতিরা রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার গরজ অনুভব করেছিল শুধু একটি পক্ষের সাথে! তাও আবার যারা রাজনৈতিক ময়দানে দেলিয়পনার চেয়েও নিকৃষ্টতর! অথচ অন্যদিকে মাঠে ময়দানে প্রবল একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তিকে নিজের শত্রু বানানোর মত বোকামীর পরিচয় দিয়ে আসছে জামাতিরা!
আরেকটি বিষয় হচ্ছে জামাতীদের সাথে দেওবন্দীদের মতবিরোধ। দেশের অধিকাংশ ক্বাউমী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দেওবন্দীদের হাতে। দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব মাদ্রাসা। হয়তো এসব মাদ্রাসার সংখ্যা কম্পক্ষে দু'লক্ষের কম হবে না। এসব মাদ্রসাগুলো পরিচালিত হয় পয়সাওয়ালা মুসলমানদের দান খয়রাতে। হোক না সে পয়সাওয়ালা মুসলমানরা নামে মুসলমান নতুবা কাজে মুসলমান। এসব মুসলমানদের সাথেই রয়েছে মজবুত কানেকশন বায়ুনপি এবং হাম্বালীগের রাজনৈতিক হোমরা চোমরাদের সাথে। যার ফলে সহজেই এদেরকে টোপ দিয়ে আদার খাওয়ায়ে ব্যবহার করতে পারে যে কোন উসিলায়। এর জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে অতি সাম্প্রতিককালের হেফাজতীদের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা।
এ কথা অশ্বীকার করার কোন সুযোগ নেই দেওবন্দীদের আদর্শিক প্রভাব প্রতিপত্তি এদেশের মুসলমানদের অন্তরে কত গভীর! দেওবন্দী আলেম ওলামারাও একটি জিনিস বা আদর্শ বহন করে বেড়ায়। সেটা হয়তো তাদের সহজ সরল মাজারী পর্যায়ের আলেম ওলামারা হয়তো বেখবর। তা হলো এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ইসলাম বলতে যা কিছু বুঝায়, অথবা ইসলামী শরীয়ত বলতে যেসব নিয়ম কানুন রয়েছে তার একমাত্র পেটেন্ট দেওবন্দীদের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু জামাতীরা এই বিষয়টি গভীর অন্তর দৃষ্টি দিয়ে বুঝার চেষ্টা করেন বলে মনে হয় না। জামাতীরা আছেন শুধু মাত্র মওদুদী সাহেব যা কিছু বলেছেন বা মওদুদী সাহেব যা কিছু শিখিয়ে গেছেন তার বাইরে যাওয়া যাবে না। কেন? কি সমস্যা? ইসলাম কি শুধু মওদুদী সাহেব একজনই বুঝেছেন? দেওবন্দী আকাবেররা কি কিছুই বুঝেননি? জামাতীরা পাঠ্যপুস্তক হিসেবে মওদুদী সাহেবের সাহিত্যই রেখেছেন। দেওবন্দীদের কোন মুরুব্বির সাহিত্য পাঠ্য হিসেবে রাখলে হয়তো হেফাজতীদের অন্তরঝালা কিছুটা প্রসমিত হতো।
জামাতিরা অনেক ক্ষেত্রে বোকামির পরিচয় দিয়ে আসছেন সেটা তাদেরকে বোঝানো মুশকিল। দেওবন্দীদের কি কি কারণে হাম্বাবাচুর এবং বায়ুনপি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয় নিয়ে স্টাডিও করে না। স্টাডি করলেও তার সমাধানে এগিয়ে আসে না।
অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য। তাই আর গ্যাঞ্জাম বাড়াতে চাই। এখানেই শেষ করছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
যেমন ধরুণ- বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি আওয়ামীলীগ বনাম জামায়াত (দ্বিদলীয়) নির্বাচন করে সুষ্ঠভাবে তবে নিশ্চিতভাবে আওযামীলীগ হারবে। কিন্তু সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়ার কি কোনো জো আছে।
দেশের ধরুণ ৯০ % লোক জামায়াত প্রচারণা চালিয়ে ইসলামের পথে নিয়ে আসলো। কিন্তু যাবতীয় অস্ত্র ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বিরোধী মতের দখলে। তাহলে শুধু জনসমর্থন কি ক্ষমতা দখলে আদৌ কোনো কাজে আসবে?
উপজেলা নির্বাচনেও প্রমাণ হয়েছে- জামায়াতের জনসমর্থন খুব বেড়েছে। কিন্তু লাভ হলো কি?
ইসলামকে ভালবেসে জামায়াতকে কয়জন অথবা জামায়াতের ইশ্তেহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কত পারসেন্ট ভোট পেয়েছে সেটা বিবেচ্য বিষয়।
আপনি বরং মন্তব্যটিকে পোষ্ট করুন।
ইমাম মালেক (র)এর একটা বিখ্যাত উক্তি আছে যে,এই উম্মতের পরবর্তী যামানার সমস্যার সমাধান একমাত্র ঐ পথেই হতে পারে যে পথে প্রথম যামানার সমস্যার সমাধান হয়েছিল।
অনেকে ভুল বুঝায়,দ্বীন ক্বায়েম মানে রাষ্ট্র দখল। দেশের বেশীরভাগ মানুষের ভোট যদি পাওয়া যায়ও তারপরেও দেখা যাবে অধিকাংশ মানুষ হয়তো নামযই পড়ে না ঠিকমত,দন্ডবিধান কার উপর ক্বায়েম করবেন ?
আমি পাচ ওয়াক্ত নামায পড়ব,শির্ক বিদা'ত থেকে দুরে থাকব,হালাল হারাম মেনে চলব,যতটুকু আল্লাহ আমাকে ক্ষমতা দিয়েছেন (আমার পরিবার)তার মধ্যে শরিয়তের বিধান ক্বায়েম করব। তাহলে কি আমি আমার জীবনে দ্বীন ক্বায়েম করলাম না ?
এভাবেই মুসলিমদের অধিকাংশ লোক যদি নিজে ঠিক হয় আর তার পরিবার ঠিক করে তাহলেই একটা ইসলামী সমাজ তৈরী হবে তার ফলশ্রূতিতে একটা ইসলামী রাষ্ট্র তৈরী হবে।
উপোরক্ত উক্তির আলোকেই আমাদের নির্বাচনী গনতন্ত্রের পথ থেকে সরে এসে দাওয়াতে তাবলীগের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্টার চেষ্টা করতে হবে।
সহমত। মানুষ ভোট দিবেনা! ক্ষমতায় যাওয়া যাবেনা বলে শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্টা তথা আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর রাসুলের দেখানো পথ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার কোন অবকাশ নেই। এটা হচ্ছে মুসলমানের মিশন অনবরত আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর রাসুলের দেখানো পথে নিজেকে অবিচল রাখবে। ক্ষমতা প্রদানের মালিক আল্লাহ। এক লক্ষ বা দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রাসুলগণ যাঁদেরকে আল্লাহ যুগে যুগে বিভিন্ন জায়গায় প্রেরণ করেছিলেন। যাঁদের প্রায় সবাই আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্টার সংগ্রাম করে গেছেন। কিন্তু তাঁদের কয়জন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন? আমার জানামতে কোরআন শরীফে উল্লেখিতদের মধ্যে মাত্র ৪ জন নবী-রাসুল ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করতে পেরেছিলেন (ভুল হলে সংশোধনের অনুরোধ রইল)। সুতরাং এখানে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এধরণের আলোচনার এটা উপযুক্ত জায়গা নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন