শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানানো মতিয়া-ইনু গংরা কেন এখন শেখ মুজিবের পক্ষে সাফাই গায় এবং অন্যান্য বামরা কেন নিরব?

লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:১৩:৫১ দুপুর



বাংলাদেশে বাম রাজনীতি এখন জাদুঘরে রাখার অবস্থায় বিরাজ করছে। ৯৩ শতাংশ মুসলমানের দেশে বাম রাজনীতি প্রতিষ্টিত করা অসম্ভব দেরীতে হলেও বামরা বুঝতে পেরেছে। আদর্শভিত্তিক বামদের প্রধান শত্রু হলো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি তাই রাজনীতিতে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়া বামরা টিকে থাকার জন্য সমমনা দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেই বেছে নেয়।

আওয়ামীলীগের শক্তি হলো বংগবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যাবসা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আওয়ামীলীগের নেতা ও শেখমুজিবের ভুমিকা যদি প্রকাশ পায় তাহলে আওয়ামী লিগ রাজনীতির মাঠে অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে। আর আওয়ামী লীগ ধ্বংস হলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালকের আসনে বসবে, তখন বামরাজনীতি জাদুঘরেও স্থান পাবেনা। জাদুঘরে অবস্থান ধরে রাখার জন্যই ৭২-৭৫ সালে হাজার হাজার নেতাকর্মীর হত্যার প্রতিশোধ না নিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে আপোষ করে বেচে থাকার নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছে। তুলনামুলক ভাবে এটাই তাদের জন্য ভাল অন্যথায় তাদের রাজনীতির মৃত্য হবে। আর এই জন্যই শেখ মুজিবকে ইতিহাসের হিরো হিসেবে প্রতিষ্টা করতে আওয়ামী লীগের চেয়ে বামদেরই বেশী জরুরী। শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানানো মতিয়া ও ৭৫ সালে শেখমুজিবের হত্যার পর উল্লাসে ফেটে পড়া ইনুরা এখন রক্ষীবাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমেদের চেয়ে শেখ মুজিবের বড় ভক্ত।

দ্বিধাবিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য নিম্নের প্রশ্নগুলোর সদুত্তোর জানা দরকার।

১। মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের ভুমিকা কি ছিল এটা প্রকাশ করতে হবে জাতিকে জানাতে হবে।

২। শেখমুজিব স্বাধীনতা না সায়ত্বশাসন চেয়েছেন এটা পরিষ্কার করতে হবে?

৩। শেখ মুজিব বাংলাদেশের না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছেন?

৪। আওয়ামী লীগের নেতারা কি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন না প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?

বিষয়: বিবিধ

৩২৪৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

206397
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
এহসান সাবরী লিখেছেন : যত যাই বলেন ভাই,তালগাছটা শেখের বেটির
206414
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
নানা ভাই লিখেছেন : মতিয়া-ইনুর বীরত্বের ইতিহাস পড়ুনঃ

বহুরুপী রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরি: পল্টন ময়দানে উন্মুক্ত সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন `শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া ঢোল আর হাড্ডি দিয়া ডুগডুগি` বানানোর।http://akramsbd.blogspot.se/search/label/ইতিহাস?updated-max=2013-03-26T21:53:00+01:00&max-results=20&start=20&by-date=false

আরো পড়ুন,
Chudurbudur blog--চুদুরবুদুর ব্লগ
http://abuls.blogspot.com
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
155257
মাজহার১৩ লিখেছেন : চুদুরবুদুর ব্লগএ এই আপডেটগুলি নেই। এই ব্লগে মেম্বার হওয়া যায় কিভাবে?
ছাত্রলীগের রগ কাটল ছাত্রলীগ।
http://www.24livenewspaper.com/site/index.php?url=www.sheershanews.com/
ধর্ষণ করতে গিয়ে লিঙ্গ হারালেন যুবলীগ নেতা
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/73234
206651
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২০
মাজহার১৩ লিখেছেন : বংগবন্ধু এই বাংলাদেশ চাননি তাই তিনি স্বাধীনতা চাননি, চেয়েছেন স্বায়ত্বশাসন ।
বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে বিএসএফ’র নজিরবিহীন তান্ডব
কিন্ত ধুর্তরা তাকে খুশি করার জন্য ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বংগবন্ধু উপাধি দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ডেকেছ।
বংগবন্ধুও লোভ সামলাতে পারেনি, গ্রহন করেছেন স্তুতি।
206726
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪২
গোলাম মাওলা লিখেছেন : মানুষ দুই প্রকার । এক প্রকার "শেখ মুজিবর রহমান একাত্তুরে স্বাধীনতা চান নাই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন" এটাকে নেগেটিভলি দেখে। আরেক প্রকার পজিটিভলি দেখে। যারা নেগেটিভ্লি দেখে তারা আবার দুই প্রকার । এক প্রকার উনার ভক্ত, হেরা মনে করে এই বাস্তবতা স্বীকার করলে উনি ছোট হয়ে যাবেন। আরেক প্রকার উনার সমালোচক, হেরা উনাকে ছোট করার জন্যি এটা বলেন। কিন্তু "শেখ মুজিবর রহমান একাত্তুরে স্বাধীনতা চান নাই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন" এটাই বাস্তব, বাস্তবসম্মত এবং যৌক্তিক । জনগনের ভোটে উনি যখন পাকিস্তানের সর্বময় কর্তা হওয়ার বৈধ অধিকারী, উনি কেন এর একটা অংশ নিয়ে আলাদা হওয়ার চিন্তা করবেন? কোন যুক্তিতে, কোন বাস্তবতায়? কোন কন্টেক্সটে? কেউ যখন পাচ ঘরের বাড়ির একক মালিকানা পাওয়ার কথা, তখন কেন উনি এক ঘর নিয়ে আলাদা হওয়ার চিন্তা করবেন তাও ঘরটা যখন আবার তিন দিক থেকে পারিবারিক শত্রু বেষ্ঠিত ? পরিবারের শত্রু ঐ পরিবারের কোন সদস্যের বন্ধু হয়? বন্ধু হওয়ার ভান করতে পারে , কিন্তু বন্ধু হয় না, গত ৪৩ বছর কি সেই স্বাক্ষ্যই দেয় না? এটা বুঝার মত ক্ষমতা বা বুদ্ধি, জ্ঞান কি উনার ছিল না? যাই হোক, ক্ষমতা লোভী সেকুলারিষ্ট ভুট্টো আর হাটুতে বুদ্ধিওয়ালা পাকি আর্মিরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গনহত্যা শুরু করল তখন ত আর এক সাথে থাকার কোন যুক্তি ছিল না, সম্ভব ও ছিল। পাকিরা যে এত নিচে নেমে যাবে তা কি কারোর স্বাভাবিক চিন্তায় আসার কথা? (খালেদা জিয়া কে বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে দেওয়ার মত এত নিচে নেমে যাবে কেউ বিএনপি কি এটা ভাবতে পেরে ছিল ? ) না বলেই এই ধরনের গন হত্যা শুরুর আগেই প্রতিরোধের প্রস্তুতি আশা করাটাও ঠিক না। যুদ্ধের শুরুর দিকে তাই তখনকার নেতাদের দিক ভান্ত অবস্থাটাই কি স্বাভাবিক নয় ? তাই ২৫ মার্চের হত্যাকান্ড শুরুর আগ পর্যন্ত স্বাধীনতা না চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়াই বাস্তব সম্মত চাওয়া, যৌক্তিক চাওয়া। স্যবাধীনতা মানেই ভাল কিছু, চাইতে হবে এমন ত নয়। স্যবাধীনতা ভাল কি খারাপ, সেটা নির্ভর করে কন্টটেক্সটের উপর। ২৫ মার্চের আগ পর্যন্ত কন্টেক্সট ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রি হওয়ার পক্ষে আর ২৫ মার্চে হত্যাকান্ড শুরুর পরের কন্টেক্সট স্যবাধীনতা চাওয়াটা হয়ে গেল অপরিহার্য। কিন্তু জামাতসহ ইসলামিষ্ট দল্গুলি এই কন্টেক্সটের পরিবর্তনটা ধরতে পারল না। তাই এরা স্যবাধীনতার বিরোধিতায় লেগে গেল। যাই হোক। এই চাওয়া কে উনার ভক্ত সমালোচক কারোরই নেগেটিভলি দেখার কিছু নাই- চল আমরা সবাই ভাই ভাই দেশকে যার যত টুকু দেওয়ার দিয়ে যাই, কাছে বা দূরে থাকি যেথাই ।
০৮ মে ২০১৪ রাত ১২:৫১
166737
সমালোচক লিখেছেন : মানুষ দুই প্রকার বলে শুরুতে-ই ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে । মানুষ কতো প্রকার তার উত্তর কি হবে তা নির্ভর করে ঐ প্রশ্নটি কাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে । যেমন, সেক্সপিয়ার বলে গেছেন, "Some are born great, some achieve greatness, and some have greatness thrust upon 'em." (Shakespeare in Twelfth Night)। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, মানুষ তিন প্রকার ! একজন জীববিজ্ঞানী, একজন সমাজ বিজ্ঞানী, একজন নৃতত্ববিদ, একজন মনোবিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করলে মানুষের হরেক রকমের প্রকারভেদ জানা যাবে । যাহোক,

শেখ মুজিবর রহমান একাত্তুরে স্বাধীনতা চান নাই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন এটাই বাস্তব, বাস্তবসম্মত এবং যৌক্তিক ।

উপরোক্ত বক্তব্যটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা কিছু সাফাই গাওয়া হয়েছে তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না । কারণ যেখানে এ ব্যাপারে খোদ শেখ মুজিবের নিজের সাফাই বক্তব্য পাওয়া যায় চাক্ষুষ সাক্ষীদের কাছ থেকে -- সেখানে আমাদের 'কি করলে কি হতে পারতো', বা তাঁর কি “এটা বুঝার মত ক্ষমতা বা বুদ্ধি, জ্ঞান কি উনার ছিল না?” -- এ ধরণের সাফাই বক্তব্য দেবার কোনো সুযোগ নাই । "যদি মুজিব এটা করতেন তাহলে কি হতে পারতো ...” ইত্যাকার ধরণের সব "যদি” দিয়ে তৈরী কল্পনার ফানুশ “নদী”তে ফেলে দিতে হবে । আপনি যেটা করেছেন সেটাকে ইংরেজীতে বলে putting your words into his mouth । শেখ মুজিব অতো আগ-পাছ বিবেচনা করে ঐভাবে ব্যাপারগুলো দেখেননি ; তাঁর দুরদর্শিতার দৌড় "দেশদ্রোহিতা"র জালে আটকে যাওয়া এবং তজ্জন্য বিচার প্রক্রিয়ায় সম্মুখীন হওয়ার আশংকার মধ্যে যা আমরা তাজউদ্দীন আহমদ তনয়া শারমিন আহমদের বর্ণনা (অন্য অনেকে আগে-ই এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন) থেকে পাচ্ছিঃ

"তিনি আব্বুকে বললেন, বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশু দিন (২৭শে মার্চ) হরতাল ডেকেছি । পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন এবং টেপ রেকর্ডারও নিয়ে এসেছিলেন। টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান।
তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে। কারণ কালকে কি হবে, আমাদের সবাইকে যদি গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না, কি তাদের করতে হবে। এই ঘোষণা কোন না কোন জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাবো। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে। মুজিব কাকু তখন উত্তর দিয়েছিলেন-‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।' মুজিব কাকুকে স্বাধীনতার ঘোষণায় রাজি করাতে না পেরে রাত ৯টার দিকে আব্বু ঘরে ফিরলেন বিক্ষুব্ধ চিত্তে ।" (শারমিন আহমদ প্রণীত সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’)

লক্ষ্য করুন, শেখ মুজিব কিন্তু তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যাপারে অনীহাকে ঐভাবে ব্যাখ্যা করেননি যেভাবে আপনি করার প্রয়াস পেয়েছেন । ঠিক একইভাবে তিনি কেনো প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন তাঁর ব্যাখ্যা তিনি কোথাও করেছেন বলে আমি দেখিনি ; অন্তত আপনার মতো করে তিনি চিন্তা করতে যাননি বিশেষত পাঁচ ঘরের মালিকানা বাদ দিয়ে “তিন দিক দিয়ে শক্র পরিবেষ্টিত” এক ঘরের মালিকানা সংক্রান্ত উপমার মতো । ঐ উপমার মধ্যে-ও কিন্তু একটা সমস্যা দেখা যাচ্ছে - তিনি বা আওয়ামীরা কিন্তু ঐ সময় (এবং এখনো) ভারতকে শক্রজ্ঞান করতেন না !

যারা শেখ মুজিবকে পজিটিভলি দেখতে চায় তারা-ও কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করেন -- আরাধ্য ব্যক্তির উপর অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় ও অবাঞ্ঝিত দেবত্ব আরোপ (hero worship) করে তাঁকে অন্যদের সামনে উল্টো হাস্যোস্পদ করে তোলেন ।

অফ-টপিকঃ @মাজহার১৩--
ঐসব রূঢ় কথা বলার জন্য এখন কি শারমিন আহমদ বাংলাদেশের মাটিতে কখনো পদার্পণ করলে ছাত্র লীগের সোনার ছেলেরা তাঁর পিঠের চামড়া খুলে ডুগডুগি বাজাবে ?
207857
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৭
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : সরকারের কাছে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চাই ?

ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File