Double Standard Profile of Inu (Japanese Dog)
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ০৫ মার্চ, ২০১৪, ০৫:৫৪:০৩ বিকাল
শেখ হাসিনা ও ভারতের জন্য বাংলায় আর বিদেশী কমুনিষ্টদের জন্য। লেখকের ব্ল্যাক কোট নামে একটি বই আছে যেখানে পড়তে পারবেন মুজিব শব্দের বহুবিধ ব্যাবহার।
Click this link
বছরের শুরুর দিকে কোন এক পরিচ্ছন্ন বিকেলে ঢাকা মহানগরী পুলিশের শেখ মুজিব শাখার কর্মকর্তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে নাজেহাল করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
প্রশ্ন করার পর লোকটি জানায় সে শুধু তার বাড়িতে পৌঁছাতে চেয়েছিল। কেউ তাকে আগে থেকে নাজেহাল করতে শুরু না করলে সে কাউকেই নাজেহাল করতো না।
অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ করে বোঝা গেল লোকটি তাদের সবাইকে একই প্রশ্ন করেছে এবং তারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাকে সে প্রশ্নের সঠিক উত্তরটিই দিয়েছে।
তার প্রশ্নটি ছিল: ‘আমি এখন কোথায়?’
তারা একে একে বলেছে:
‘তুমি এখন শেখ মুজিব রোডে শেখ মুজিব পোস্ট অফিসের সামনে।’
‘তুমি এখন শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর ক্যাম্পাসে, এর বিখ্যাত শেখ মুজিব গবেষণাগারের বারান্দায়। ঐযে দেখ আমাদের বিশেষ মহাপরিচালক বুক ফুলিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তিনি শেখ মুজিবের চাচাতো ভাইয়ের বড় ছেলের মেঝো নাতি।’
‘তুমি এখন শেখ মুজিব শপিং মলের সোজা বিপরীতে শেখ মুজিব গলিপথের মুখে।’
‘তুমি এখন শেখ মুজিব পার্কের শেখ মুজিব গেইটে শেখ মুজিব ফোয়ারার পিছে। বল “শেখ মুজিব”, ফোয়ারার পানির ভেতরের লাইট রং পরিবর্তন করবে।’
‘তুমি এখন শেখ মুজিব জাতীয় টেলিভিশনের শেখ মুজিব স্টুডিও থেকে মাত্র কয়েকটি গজ দূরে।’
‘তুমি এখন শেখ মুজিব চত্বরে নব-স্থাপিত শেখ মুজিবের শাদা-মার্বেল ভাষ্কর্যের গোড়ায়।’
‘তুমি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক আমাদের সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের খোদ বৈঠকখানায় দাঁড়িয়ে আছ। এখানে শুধু শেখ মুজিবকেই পাবে তুমি। গর্ব করার মত বাংলাদেশের আর কিছু নেই।’
‘তুমি শেখ মুজিব গণগ্রন্থাগারের বেষ্টনির মধ্যে। ঐযে দেখ পতপত করে উড়ছে মুজিব কোট, কাঁচের তাকে রাখা হাজার “মুজিববাদ”।’
‘তুমি শেখ মুজিব সাংস্কৃতিক জোটের প্রধান গেইটে। সংস্কৃতি বিষয়ক সব আলোচনা ও পর্যালোচনার এখানেই শেষ।’
‘তুমি এখন শেখ মুজিব নাট্যালয়ে; আরো সূক্ষ্মভাবে বললে, নাট্যালয়ের টিকেট কাউন্টারে; আমাদের আজকের উপহার “শেখ মুজিবের বিশাল জীবন”; প্রযোজনা: শেখ মুজিব অভিনেতা ও অভিনেত্রী সমাজ; অভিনয়ে: শেখ মুজিব, শেখ মুজিব ও শেখ মুজিব।’
আশ্চার্যান্বিত ও বিরক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা লোকটির সবগুলো পকেট খুঁজে দেখলো। তারা তার কাছে আবিষ্কার করলো মাত্র একটি কাগজ, যা কিনা ইস্যু করেছে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিভাগ। কাগজটির মন্তব্যের অংশে লেখা আছে: ‘কয়েক বছরের সফল চিকিৎসার পর আজ তাকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেয়া হল। ভয় পাবার মোটেও কারণ নেই; হাসপাতালের বাইরের মানুষদের থেকে সে বেশি সুস্থ ও বিবেকবান।’
লোকটির অপরাধ খুব কঠিন, তাকে খুব করে শাস্তি দিতে হবে – অভিযোগকারীরা বললো। ‘কমপক্ষে একমাসের জেল, সাথে দিনে দুইবার করে বেত: এর চেয়ে কম কিছু হলে আমরা অবশ্যই মানবো না।’
গলা ছেড়ে কিছুক্ষণ হাসলো পুলিশ কর্মকর্তারা। ‘তার চেয়ে বরং আরো ভালো কিছু করবো আমরা,’ বললো তারা। ‘আজ রাতেই তাকে আবার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবো, তবে তার আগে এমন ব্যবস্থা নেবো যাতে আর কোনোদিন সে সুস্থ হতে না পারে।’
- See more at: http://neamatimam.com/sheikh-mujib/#sthash.pqqCALJs.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১১৯০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পার্থক্য কাদিয়ানীরা তাদের ভন্ডামী পাবলিকলী বলার সাহস রাখে, আওয়ামীলীগ পাবলিকলী বলার সাহস হারিয়ে ফেলেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন