দল ত্যাগীদের ফিরিয়ে এনে দলকে কি শক্তিশালী করতে পারবে?
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৭:০০ রাত
বি এন পি থেকে বের হয়ে দল গঠন করেছেন যারা
ডক্টর অলি আহমদ বীর বিক্রম-এলডিপি
অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী-বিকল্প ধারা
ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী্- পিডিপি
নাজমুল হুদা বি এন এফ।
লাভ ক্ষতিঃ
১।এদেরকে দলে নিয়ে আসলে দলের নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে এবং আন্দোলন চাংগা হবে, কিন্তু সন্ন্যাসীর সংখ্যা বাড়বে তখন অধিক সন্নাসীতে গাজন নষ্ট হবে।
২। সংস্কার পন্থীদের নিয়ে আসলে দলভারি হবে এবং আন্দোলন চাংগা হবে কিন্তু দলীয় কোন্দল বাড়বে যা যে কোন নির্বাচনে হারার কারন হবে। ত্যাগী নেতারা দলত্যাগ করে হাসিনার ভাঙ্গা নোকা জোড়া দিতে চাইবে।
৩। এখন যেমন চার জন চার দলের মুখপাত্র এবং সরকার বিরোধী চারটি অতিরিক্ত স্টেটমেন্ট দিতে পারেন তখন স্টেটমেন্ট হবে সর্বোচ্চ একটি।
৪। দলে ফিরে আসলেও ৪ জনই এম পি হবেন, জোটে থাকলেও ৪ জন এমপি হবেন। জোট অথবা দল ক্ষমতায় গেলে ৪ জনই মন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতি হবেন।
লাভ ক্ষতি বিচার করুন।
কিন্তু ইসলামপন্থী দলগুলোকে ছেড়ে দিলে দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে।
জনসমর্থন না থাকলেও অনেক পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদদের একই মঞ্চে এনে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ত্বরানিত করতে পারবে। ইসলামপন্থীদের ত্যাগ করলে আন্তজার্তিক সমর্থন পাবে।
জনসমর্থনহীন দলের বিখ্যাত রাজনীতিক যারা জোটভুক্ত হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ- কাদের সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি-মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি- আ স ম রব।
গণফোরাম-ড. কামাল হোসেন
এতে গনমাধ্যমে জোটের ভাবমুর্তি তৈরী হবে আপাতদৃষ্টিতে জোট শক্তিশালী হবে।
জামায়াত জোট থেকে বের হলে বি এন পি ২৩০ আসনের স্থলে ন্যুনতম ১৫১ আসন পেয়ে সরকার গঠন করতে পারবে।
সেখানে জামায়াত একক ভাবে ৪/৫টি আসন পেতে পারে।
আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামাতকে নিয়ে জোট করতে পারে কারন রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে না পারলেও শক্তিশালী বিরোধী দল হতে পারবে। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে জামায়াত, ভুতের মুখে রাম শুনতে ভালো লাগবে, এমনকি আওয়ামী লীগের কাছাকাছি যাওয়ার সুবাদে তাদের অনেক শয়তানী জেনে ফেলবে যা পরে কাজে লাগবে।
জামায়াতের ক্ষতি ও বেশী হবে কারন ইমেজ সঙ্কট হবে।
জামাতের উচিত দুই দল থেকে বের হয়ে সর্বোচ্ছ ছাড় দিয়ে ইসলামী সমমনা দলগুলো নিয়ে জোট করা, প্রয়োজনে অরাজনৈতিক জোট।
কারন বিসমিল্লাহ বলে পান করলে যেমন মুত দুধ হবে না, তেমনি মানব রচিত সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহ থাকলে তা আল্লাহর আইন হবে না এবং সেরুপ ফলদায়ক হবে না।
সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে যারা রাজনীতি করে হয় তারা ভন্ড না হয় তারা মুর্খ।
আওয়ামীলীগকে সাধুবাদ জানাতে হয় তারা এই ক্ষেত্রে কোন ভন্ডামী করে নাই বরং বি এনপি হলো মোনাফেক কারন তারা এটাকে সংবিধানে সংযোজন করে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মত মুসলমানদের সেন্টিমেন্টের সাথে প্রতারনা করেছে।
জিন্নাহ যেমন দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে দেশ ভাগ করে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করে নাই বরং সেকুলার সরকার প্রতিষ্টা করেছে যার ফলশ্রুতিতে পাকিস্থান এখন ব্যর্থ রাষ্ট হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। তেমনি বি এনপিও মুসলমানদের বিশ্বাসকে প্রতারিত করে ক্ষমতা লাভ করেছে।
জামায়াত যদি ইসলাম প্রতিষ্টা করতে চায় অবশ্যই ইসলামকে ব্যাবহারকারী বি এনপি ও ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী জোট থেকে দূরে থেকে নিজের মত করে রাজনীতি করবে। আওয়ামী লীগকে একমাত্র প্রতিপক্ষ বা ইসলামবিদ্বেষী ভাবা যেমন বোকামী তেমনি বি এনপিকে ইসলামের অনুসারী মনে করা বোকামী। প্রয়োজনে যতবার দরকার ততবার দলের নাম পরিবর্তন করবে। কিন্তু আদর্শ পরিবর্তন করা কি ঠিক। যদি নিবন্ধন না পাওয়া যায়, দরকার নে্ই কারন মানবরচিত সংবিধানের আওতায় ইসলামের সাথে আপোষ করে আদর্শ পরিবর্তন করা অনেকটা এক বালতি দুধের মধ্যে এক ফোটা ছনা পড়লে যেমন হয়।
তাই যতদ্রুত সম্ভব গনতন্ত্রের রাজনীতি থেকে বের হয়ে রসুল (সঃ) ,খোলাফায়ে রাশেদা যেভাবে ইসলাম প্রতিষ্টা করেছে সেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে চেষ্টা চালাতে হবে, বাকীটুকু আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন। হকের সাথে বাতিল চিন্তা চেতনা মেশানো যাবে না।
দুঃখিত, মনে যা আসে তাই লিখি-মনের আলো।
মাথার সাথে দেহের মিল নাই-আবোলতাবল।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দল হিসাবে বিএনপি মুনাফিক কিনা - তা প্রমানিত নয়। কিন্তু আওয়ামীলীগ যে আপাদমস্তক মুনাফিক, প্রতারক ও জংগী নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন একটি দল - জানাশোনা মানুষ সত্যি কথা বলতে গেলে - তা অস্বীকার করতে পারবেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন