অবৈধ ভাবে ক্ষমতাগ্রহনের জন্য শেখ হাসিনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ।

লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:৪৫:০১ দুপুর

এই ধন্যবাদে কোন কার্পন্য নেই। নেই কোন আশ্চার্যবোধক চিহ্ন। আওয়ামী লীগের তথা শেখ হাসিনাকে কখনোই সমর্থন করিনি তবে আওয়ামী লীগের এই বিতর্কিত সরকারকে সমর্থন করি এমনকি এই সরকারকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সমর্থন করি।

প্রথম দিকে মেনে নিতে কষ্ট হলে এখন বিষয়টি প্রয়োজন মনে করি।

কারন আওয়ামী লিগে ক্ষমতায় আরোহন ইসলামপন্থীদের যে চপেটাঘাত করেছে তাতে ইসলামীপন্থীদের রাজনীতি সম্পর্কে ভাবতে শেখাবে। যেখানে নমরুদ সেখানে ইব্রাহীম (আঃ),যেখানে ফেরাউন সেখানে মুসা (আঃ), যেখানে রেজা শাহ সেখানে খোমেনী (রঃ)। কিন্তু যেখানে হাসিনা সেখানে কে? তবে পূর্বে যেরুপ ইসলামী বিপ্লবের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল তখন সাহায্যকারী এসেছেন, আহবান করেছেন এবং বিজয় লাভ করেছেন। কিন্ত বাংলাদেশে সেই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার জন্য দারুন নদোয়ার সদস্যদের দীর্ঘ ক্ষমতায় থাকা আবশ্যক।

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ইসলামী দল ও নেতা রয়েছেন কিন্তু সর্বজন গ্রহনযোগ্য নেতা নেই। তাই নিকট ভবিষ্যতে ইসলামী বিপ্লবে অংশগ্রহনের জন্য অসংখ্য ত্যাগী নেতা কর্মী প্রস্তুত আছে শুধু দরকার নেতার।

গত কয়েকদিন ব্লগে ইসলামপন্থীদের চিন্তারজগতে যেই পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি এতে প্রতীয়মান হয় নির্বাচনী গনতন্ত্রে ইসলাম প্রতিষ্টা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার ইসলাম বিদ্বেষী জালিম সরকারের জুলুমের তীব্রতা এর বিপরীতে মজলুমদের এক নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ।

আওয়ামী বা হাসিনা গংরা যদি এভাবে টিকে যায় তাহলে যা হবে

১। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাসিনা সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে, প্রয়োজনে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিবে।

২। দেশপ্রেমিক আওয়ামীলীগারদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিবে যা ৭৫ও দেখেছি। সেনাবাহিনীতেও অসন্তোষ দেখা দিবে যা জনগনের বিরুদ্ধে গুলি করা থেকে বিরত থাকবে।

৩।বি এনপি ভেংগে চুরমার হয়ে যাবে তবে এরা আওয়ামী বিদ্বেষী হওয়ায় বিকল্প রাস্তা খুজবে। অধিকাংশ নিশ্চুপ হবে।

কিছু সংখ্যক স্বার্থ হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগে যোগ দিবে কিন্তু হাসিনা বিপদে পড়লে মুখ ঘুরিয়ে নিবে।

৪। ইসলামের মৌলিক বিষয়ে আঘাতের ফলে ইসলামীপন্থীরা মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন প্লাটফর্মে গ্রহনযোগ্য নেতার নেতৃত্বে আন্দোলন করবে। আওয়ামী ও ভারত বিদ্বেষী মানুষগুলো দুর্বল ও হতাশ বি এনপির পরিবর্তে ইসলামপন্থীদের কাতারে শামিল হবে। হাসিনার পতন হবে। ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়ে হাসিনার নাম লেখা থাকবে।

কয়েক দশকের জন্য বাঙ্গালাদেশে ইসলামী শাষন চালু থাকবে।

পরিষেশে হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই আর একজন নেতার আশায় প্রহর গুনব যিনি তাগুতী শক্তির বিরুদ্ধে বাংলার ইসলামপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৫১৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

176943
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
মাজহার১৩ লিখেছেন : ইসলাম্পন্থীদের বর্তমানে ইসলাম বিরোধী আইনের চেয়েও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী নিম্নলিখিত বিষয়ে আন্দোলন করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সহজ এমনকি সরকারে ভিত কাঁপিয়ে দেয়া সম্ভব।
বাংলাদেশকে ভারতের বাজারে পরিণত করার নিমিত্তে সীমান্ত খুলে দিয়েছে। ফলে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পণ্য বাংলাদেশের বাজারে অবাধে প্রবেশ করছে।
• সরকারের সমর্থনে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে ভারত বাংলাদেশের পানি সরিয়ে নিচ্ছে।
• সুন্দরবন ধ্বংস করে ভারতীয় কোম্পানির স্বার্থে বাগেরহাটের রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি।
• টিপাই মুখে বাধের ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীন ভূমিকা।
• ভারতের স্বার্থ রক্ষার্তে বিএসএফ এর তুলানায় বি ডি আরকে নিস্ক্রিয় করতে বিজিবি গঠন।
• জাতীয় স্বার্থবিরোধী পিএসসি’র অধীনে বঙ্গোপসাগরে কনোকো-ফিলিপসকে গ্যাসব্লক ইজারা দেয়া।
• ট্রানজিটের ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনাই প্রধান বিষয় এই দিকগুলো বিবেচনা না করে এমনকি কোন ফি ছাড়াই বাংলাদেশের নৌ ও সড়ক পথ এবং নৌ-বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ দেয়ার জন্য গত ২০১০ সালের ৩০ নবেম্বর ভারতের সাথে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তি সম্পাদন করে।
• বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রজাতির বেগুন রয়েছে। তা সত্ত্বেও এর একটি প্রজাতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে জিএম বীজ তৈরী করেছে মার্কিন বহুজাতিক কুখ্যাত কোম্পানী মনসান্টো। এই বীজ ও বেগুন জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আসবে এবং পরিবেশগত ভারসাম্যের গুরুতর ক্ষতি করবে বলে পরিবেশবিদ ও কৃষিবিদরা মনে করেন।
• ভারতের সাথে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তি করেও ৫ লাখ টন চাল-গম পাওয়া যায়নি।
• সর্বশেষ চুক্তি হয়েছে বর্ডারহাট' এবং ‘ট্রাক চলাচল'।
• ১ বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি হয়েছে।
• বাংলাদেশে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রীডকে ভারতের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে।
• ত্রিপুরায় পলাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ভারী-যন্ত্রপাতি পরিবহনসহ বছরে এককোটি টন পণ্য চালানোর জন্যে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর ও সড়ক পথ ব্যবহার করা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
• আদিবাসী সংগঠনের কাছে দেশের বড় একটি অংশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে ভারতের ফাঁদে পা দিয়ে জনগণের স্বার্থ বিরোধী পার্বত্য শান্তি চুক্তি করা হয়েছে।শান্তির নামে একটি অপশক্তির কাছে মাথা নত করা হয়েছে।
176967
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
মাজহার১৩ লিখেছেন : ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায়
হার কারবালা কি বাদ।
176975
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
নীল জোছনা লিখেছেন : সবই জানা কথা। অজানা কিছু থাকলে বয়ান করেন।
176989
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আমিন৷ সহমতই থাকল৷
176992
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৬
মাজহার১৩ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
176999
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার লেখার পয়েন্টগুলোর প্রথম লাইন পড়া যাচ্ছেনা। আপনি পয়েন্টের নাম্বার এভাবে লিখতে পারেন।
১)

২)

৩)

১।

২।

৩।

এভাবে লিখার কারনে লেখাটা পুরোটা পড়া যাচ্ছেনা।

আর আপনার জবাবের নোটিফিকশনও সংশ্লিষ্ট ব্লগার পাচ্ছেন না। এটাও ঠিক করে দেন। ধন্যবাদ।
177040
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভালো লাগলো
177363
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
সালাহ লিখেছেন : লিখেছেন দারুন , কিন্তু ইসলামপন্থীদের ঘুম এত সহসা ভাঙ্গবে বলে মনে হয়না , ধন্যবাদ রইল লিখনীর জন্য
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
130503
মাজহার১৩ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ।
177420
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : হে আল্লাহ্‌ আমাদের কর্তাব্যক্তিদের সঠিক পথে পরিচালিত করে এদেশ ও জাতীকে রক্ষা করুণ, আলেমদেরকে এক হওয়ার তৌফিক দিন আমিন।

অনেক ধন্যবাদ
১০
177430
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
মাজহার১৩ লিখেছেন : আমার মুল লেখার ২ নম্বর পয়েন্টের প্রমান দেখা যাচ্ছে নিচের লিঙ্কে। এখন শুধু আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা শিখতে হবে।
Click this link

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File