ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের হাতে কেন মুসলমানরা মার খাচ্ছেঃ ব্যর্থ সালাত ও বায়জীদ খান পন্নীর বিশ্লেষন।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:১৫:১৪ বিকাল
দিনে পাঁচবার সালাতের মাধ্যমে অর্জিত গুণগুলি, অর্থাৎ সকলের একই উদ্দেশ্য, একই লক্ষ্য, লৌহকঠিন ঐক্য, ইস্পাত কঠিন শৃঙ্খলা, নেতার আদেশের সঙ্গে সঙ্গে, বিনা প্রশ্নে দ্বিধাহীনভাবে মৃত্যুর মুখে ঝাঁপিয়ে পড়ার আনুগত্য ও পর্বতের মত অটল সংকল্পের দৃঢ়তা (সবর) নিয়ে উম্মতে মোহাম্মদী পৃথিবীর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। আকীদার সঠিকতা অর্থাৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে সঠিক ধারণা ও তা অর্জনের সঠিক প্রক্রিয়া ও সালাতের মাধ্যমে অর্জিত চরিত্রের ফলে ঐ উম্মাহ মাত্র ৬০/৭০ বছরের মধ্যে অর্দ্ধেক পৃথিবীতে আল্লাহর দেয়া হেদায়াহ (সঠিক দিক নির্দেশনা) ও দীনুল হক (সত্যদীন) প্রতিষ্ঠা কোরেছিলো। যার ফলে ঐ অর্দ্ধেক পৃথিবী ন্যায়ে, সুবিচারে ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তায় ও শান্তিতে, এসলামে ভরে গিয়েছিলো। তারপর দুর্ভাগ্যক্রমে এই উম্মাহ তার ওপর আল্লাহর ও রসুলের দেয়া দায়িত্ব ভুলে যেয়ে দীন প্রতিষ্ঠার জেহাদ, যুদ্ধ ত্যাগ কোরে সাধারণ রাজা-বাদশাহদের মত রাজত্ব কোরতে আরম্ভ কোরলো। যুদ্ধই যখন ত্যাগ করা হোল তখন সেই যুদ্ধের প্রশিক্ষণও বিকৃত হোয়ে যাবে তা স্বাভাবিক কথা। উম্মতে মোহাম্মদীর অস্তিত্বের কারণ সম্বন্ধে আকীদা বিকৃত হোয়ে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা কোরে এবলিসকে পরাজিত কোরে আল্লাহকে জয়ী করা থেকে বদলে যেমন রাজত্ব করা হোয়ে গেলো, তেমন সালাতের উদ্দেশ্য মোজাহেদ চরিত্র গঠন থেকে বদলে উপাসনা করা হোয়ে গেলো। কাজেই সালাতের সেই কঠিন নিয়ম-কানুন, পালন কোরে সালাহ কায়েম করা থেকে বদলে যেমন তেমন কোরে আঁকা-বাঁকা লাইনে ঝুঁকে, জুবু-থুবু হোয়ে দাঁড়িয়ে, পিঠ বাঁকা কোরে রুকু-সাজদা কোরে নামায পড়ায় পর্যবসিত হোল, এবং এখন সমস্ত মোসলেম দুনিয়াতে এই প্রাণহীন নামায পড়া হয়, সালাহ কায়েম করা হয় না।
বিষয়: বিবিধ
২৬৪৪ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে জিহাদের ব্যাপার সত্য – ওটাও ফরয। প্রায় সবাই জঙ্গী তকমা এড়িয়ে চলার জন্য এ ব্যাপারে বিভিন্ন টাল-বাহানা করে এবং এ নিয়ে তাদের কোন আলোচনাই নাই। তবে তাদের সবাই-ই কিন্তু একটা জিহাদ করে যাচ্ছে – সম্পদ-ভোগসামগ্রী উপার্জনের জিহাদ, আর সেটাও তারা জিহাদের মাধ্যমে গণীমতের আদলে চায় না – চায় সেটা তাদের কাঙ্খিত গোলামীর গৌরবের মাধ্যমে।
তাদের দৃষ্টিভঙ্গীও অত্যন্ত সুন্দর – সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী তাদের কাছে। তাই স্বাভাবিক জীবন দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে গোলামীই তাদের নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে শ্রেয়, কেননা জিহাদে মূল্যবান জীবনটা রিস্কে চলে যায় আর গোলামীতে মূল্যবান জীবন স্বাভাবিকভাবে ত্যাগের (মৃত্যুর) গ্যারান্টি আছে তাদের চোখে।
আর মহান রবের দৃষ্টিতে – জীবনের চেয়ে সময়ের মূল্য অনেক বেশী এবং উনি এই সময়ের-ই হিসেব নিবেন; সময় যেভাবেই (জিহাদে অথবা গোলামীতে) ব্যয় করুক না কেন তাদের এ মহামূল্যবান জীবন তারা কোনক্রমেই টিকিয়ে রাখতে পারবে না।
বলতে যদি আপনি নামাজের ধ্যান-একাগ্রতাকে ব্যাঙ্গ করে থাকেন তবে বলব সাহাবায় কেরামগণ দিনের বেলা জিহাদ করতেন আর রাতের বেলা প্রত্যেকেই হয়ে যেতেন এমন ধ্যান-তপস্যার নামাজী, সুফি। এই ধ্যান-মুরাকাবা ছাড়া যেমন ইসলাম মাকাল ফল ঠিক তদ্রুপ জিহাদ ছাড়াও ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে না, যদিও জিহাদের প্রেক্ষাপট ও পারিপার্শিক বিভিন্ন অবস্থা ও বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাই দুটি নিয়েই পরিপূর্ণ ইসলাম আপনারা একটিকে অবজ্ঞা করছেন যা সম্পূর্ণ মুর্খতা। পন্নির বই ভাল করে পড়ে দেখুন তিনি যদিও তার বইতে বিভিন্ন ভাবে ইসলামের অধপতনের জন্য এই সুফিবাদকে দোষ দিয়েছেন আবার তিনিই এক জায়গায় বলতে বাধ্য হয়েছেন এই আত্মিক বিভাগটি ইসলামের অর্ধাংশ। অতএব আত্মিক বিভাগকে অবহেলা করে কখনোই জিহাদ কেন ইসলামের কিছুই অর্জিত হবে না।
বি:দ্র:আপনাদের এক ভাই বলেছে পন্নির নাকি মুজেযা ছিল। যা আপনাদের বিভিন্ন প্রকাশনীতেও উল্লেখ রয়েছে। আমরা জানি নবীগণ ব্যাতিত কারো দ্বারা মুজিযা প্রকাশ হতে পারেনা, এ ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি।
মাজহার ভাইকে বলছি- এর কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। এই লোক মাননীয় এমামুয্যামানের প্রকাশ্য বিরোধী, আর সবচেয়ে বড় কথা হোল এই লোক যুক্তি থেকে বিরোধীতা করে না। এই লোক বিরোধীতা করে বিরোধীতার খাতিরে।
১. তিনি ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে।
০২. তিনি দাড়ি, টুপি, কুলুখ, হায়েজ, নেফাস, পাঞ্জাবী, বিবি তালাকের ফতোয়া, ইত্যাদির চেয়ে জেহাদকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেন তাই।
০৩. তিনি বলে দিয়েছেন যে- বর্তমানের আলেম-মাওলানা, আল্লামা, ওয়ায়েজ শ্রেণিটি ইসলামের স্বর্ণযুগে অর্থাৎ প্রকৃত ইসলামের যুগে ছিল না, তখন কেউ প্যাণ্ডেল টানিয়ে ওয়াজ করত না সবাই জেহাদ নিয়ে ব্যস্ত ছিল- এই সত্য কথা বলার কারণে।
০৪. তিনি কোর'আন-হাদিস থেকে দেখিয়ে দিয়েছেন বর্তমানের এই মু'মিন, মুসলিম ও উম্মতে মোহাম্মদী নামধারী জাতিটি আল্লাহর চোখে কার্যত কাফের মোশরেক, মালাউন একটি জাতি।
০৫. তিনি সকল ফেরকা-মযহাব, দল-উপদলের মানুষকে এক তওহীদের (আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ঝাণ্ডাতলে আসার) আহ্বান করছেন তাই।
০৬. তিনি বর্তমানের ইসলামের নামে করা অপরাজনীতি মানুষের জান-মালের ক্ষতিসাধন করার সমালোচনা করে তাদেরকে প্রকৃত ইসলামের দিকে আহ্বান করেছেন তাই।
০৭. তিনি বর্তমান পৃথিবীর মহাপ্রতারক, সমস্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফেতনা এবং আল্লাহর সার্বভৌমত্ব হরণকারী দাজ্জালের পরিচয় মানবজাতির সামনে তুলে ধরেছেন তাই।
০৮. হেযবুত তওহীদের মোজাহেদরা তাদের জীবন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় সপে দিয়ে, খেয়ে-না খেয়ে,নিজেদের রক্ত পানি করা অর্থ থেকে আন্দোলন পরিচালনা করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের কাছে সত্য ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিচ্ছে এবং এতে করে ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা-পুরোহীতদের জমজমাট ধর্মবাণিজ্যেক ব্যাঘাত ঘটছে তাই।
০৩. তিনি বলে দিয়েছেন যে- বর্তমানের আলেম-মাওলানা, আল্লামা, ওয়ায়েজ শ্রেণিটি ইসলামের স্বর্ণযুগে অর্থাৎ প্রকৃত ইসলামের যুগে ছিল না, তখন কেউ প্যাণ্ডেল টানিয়ে ওয়াজ করত না সবাই জেহাদ নিয়ে ব্যস্ত ছিল- এই সত্য কথা বলার কারণে।''ভালতো। তো ভাইজান এই ব্লগে ক্যাচাল বাদ দিয়ে আফগান, সিরিয়া বা ইয়েমেনে গিয়ে জিহাদ করলেই তো পারেন। নাকি আপনাদের চোখে তালেবানরাও ভন্ড??
তারমানে রাসূল (স.) এর ইন্তিকালের ৭০ বছর পর থেকে পন্নীর আগ পর্যন্ত কেউ ই আর আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী ছিল না ?
যদি ৮ নম্বরটা বুঝে শুনে করেন , আল্লাহ আপনাকে সফল করুন।
তবে কর্মপন্থাটা নিয়ে সংশয় আছে।
এমামুয্যামানের দরকার ছিল এখন কারণ বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী মুসলিমরা অ্ন্যান্য জাতির খেলার বস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, আকীদা, ঈমান হারিয়ে কার্যত কাফের-মোশরেক জাতিতে পরিণত হয়েছে। এই জাতিকে সঠিক পথের দিশা দেওয়ার প্রয়োজনেই তিনি এসেছেন। যখন এই জাতি সঠিক পথে ছিল তখন তো তাঁর দরকার ছিল না, তাঁর দরকার হয়েছে এখন তাই আল্লাহ মানবজাতির রহমতসরূপ তাঁকে হারিয়ে যাওয়া হেদায়াহ দান করেছেন যাতে করে মানবজাতি সেই হেদায়াহ গ্রহণ করে শান্তিপূর্ণ পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে।
কত পার্সেন্টেস ছিল পথ ভ্রষ্ট আর সঠিক পথে ছিল কে কে, নির্দিষ্ট করে বলুন।
এখন নতুন এমাম অথবা প্রধান খলিফা কে?
আল্লাহই হিদায়াতের মালিক।
»"era bole ekhon jamater sathe namaz porar dorkar nai."
eta bolar por tader vondamir ar bindu matro sondeho thake na.
এই কথাটি কি সত্য। সত্য যদি হয় যুক্তি দিলে খুশি হব।
then post details.
মন্তব্য করতে লগইন করুন