রক্তপাতহীন নিরুঙ্কুশ বিজয়ের পথে আওয়ামী লীগ ।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:১১:০৫ বিকাল
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ একটি নাম, একটি ইতিহাস। জন্মলগ্ন থেকেই রাজনীতির চক্রবাকে কালজয়ী এই দলটি আবারো ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগনের ভোটে নিরুঙ্কুশভাবে জয়ী দলটি এবারো নিরুঙ্কুশ বিজয় লাভ করবে,তবে ভিন্নভাবে।
ইতোমধ্যে ৩৩ টি আসনে বিজয় নিশ্চিত হয়েছে, ১৩ তারিখের মধ্যে এরশাদের বাকি প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে শ খানেক আসনে বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন, এমনকি গীনিচ বুকে রেকর্ড হতে পারে। আসন সংখ্যার বিচারে এই রেকর্ডকে চিরস্থায়ী করতে গেলে যা করতে হবে।
১। যেহেতু বেইমানী করেছে, এরশাদের সাথে আর কোন আপোষ নয়।
২। নির্বাচন কমিশনকে মনোনয়ন বাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিবেন যাতে আরো কিছু সংখ্যক আসনে একক প্রার্থী সৃষ্টি হয়।
৩। বাকী আসনগুলোতে দলীয় অথবা স্বতন্ত্র প্রাথীদের বুঝিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে। অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান বানিয়ে আসন ভাগাভাগি করা যেতে পারে।
তাহলেই কেবল রক্তপাতহীন বিজয় নিশ্চিত করবে যা নির্বাচনী গনতন্ত্রের ক্ষেত্রে নুতন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। পালিয়ে বিয়ে করলে যেমন কোন পক্ষেরই খরচ হয় না তেমনি এই ধরনের নির্বাচনে প্রার্থী ও সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা বেচে যাবে।
নির্বাচনের প্রাককালীন বিরোধীদলের পিকেটিং এ গড়ে ৭-৮ জনের মৃত্যুকে ধর্তব্য মনে না করলেও চলবে, কারন হরতাল বিহীন দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় এর থেকে অনেক বেশী মানুষ মারা যায়। যেহেতু সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুকে গনহত্যা বলা হয় না সেহেতু হরতালে এর চেয়ে কমসংখ্যক মৃত্যুকে গনহত্যা বলা সমীচিন হবে না। এটা নির্বাচনী ট্রেনের দুর্ঘটনা।
আর নির্বাচনের তফসিল সংশোধন করে ৫ ই জানুয়ারীর পরিবর্তে ১৭ ই ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করলে নির্বাচনী ট্রেনের দূর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অর্ধেক কমানো যাবে যা মিলেনিয়াম ডেভেলপম্যান্ট গোল অর্জনে সহায়ক হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন