গনতন্ত্রের জীবন্ত মানসপুত্র এরশাদ

লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৪:৩২:৪৭ বিকাল

এরশাদ ৯০ এর পটপরিবর্তনের সময় থেকেই নিজেকে গনতন্ত্রের জন্য উতসর্গ করেছেন।



১।দু একটি লাশ পড়ার পর পরই গনমানুষের দাবী তথা গনতন্ত্রকে সম্মান দেখিয়ে ক্ষমতা ত্যাগ করে জনতার কাতারে দাঁড়ান পল্লীবন্ধু এরশাদ। তবে এই হত্যাকান্ড নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। মতিউর রহমান রেন্টুর "আমার ফাঁসি চাই" বই পড়লে জানতে পারবেন। তবে তথাকথিত গনতান্ত্রিক সরকার গুলো ক্ষমতার পালাবদলের জন্য যে পরিমান মানুষ খুন করেছেন যার ইয়ত্তা নেই। এর পরও তারা গনতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশনেত্রী বা জননেত্রী উপাধি গ্রহন করতে লজ্জাবোধ করেন না।

২। গনতান্ত্রিক নিয়মে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা একটি রাজনইতিক শিষ্টাচার। সেটা উপলদ্ধি থেকেই সাবেক সেনানায়ক হাসিনার কথায় আশ্বস্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। যার জন্য রাজনীতির উচ্চিষ্ট পুরুষ ইনু জনাব এরশাদকে গনতান্ত্রিক নেতা হিসেবে উল্ল্যেখ করেছেন।

৩। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর অধিকাংশ মানুষ এবং সর্বাধিক রাজনইতিক দল নির্বাচন বর্জন করে এবং সারাদেশে দুর্বার আন্দোলনে লাশের মিছিল বাড়তে থাকে তখনই জনদরদী এরশাদের মনে পড়ে নুর হোসেনের কথা। আর তৎক্ষণাৎ অধিকাংশ মানুষের দাবীকে মর্যাদা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করে অশীতিপর এরশাদ জীবন সায়াহ্নে এসে গনতন্ত্রের জন্য সকল ধরনের লোভ ত্যাগ করে জনতার কাতারে শামিল হয়েছেন।

এরপরও কি আমরা এরশাদকে স্বৈরাচার বলব? হোসেন শহীদ সোহরার্দীর পর গনতন্ত্রের জন্য স্বাধীন বাংলায় কেউ যদি কিছু করে থাকে তিনি হলেন এরশাদ। তাই গতকালের পর থেকে গনতন্ত্রের জীবন্ত মানস পুত্র লেঃ জেঃ হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। যতদিন বাংলাদেশে গনতন্ত্র থাকবে ততদিন এরশাদ বেচে থাকবে আমাদের হ্রদয়ে।

বিষয়: বিবিধ

২০৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File